নিজস্ব সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ধামগড় ইউনিয়ণ পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য সফুরদ্দিন মেম্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বন্দর থানার সাবেক ওসি তরিকুল ইসলাম সহ দুই দারোগা ও বিএনপির তিন নেতার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভুগী মেম্বার পুলিশ সদর দপ্তরে সাবেক বন্দর থানার ওসি ও বর্তমানে রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম, ধামগড় ফাঁড়ির এস আই মাহমুদ ও এস আই জলিলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য গত ৪ অক্টোবর গভীর রাতে বন্দর থানা পুলিশ গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসারও অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০২১ইং সালের ইউপি নির্বাচনে সফুরদ্দিন মেম্বার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার পদে নির্বাচন করেন। ততকালীন সময় ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতি নবীর হোসেন মেম্বার ও জাতীয় পার্টির আমিনুল বিপুল ভোটে হেরে যান ভুক্তভুগী মেম্বারের সাথে। হেরে গিয়ে ৫ আগষ্টের আগে পরে পুলিশের সাথে যোগসাজস করে সফুরদ্দিন মেম্বারকে বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি সহ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অভিযুক্তরা। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে বন্দর থানার সাবেক ওসি তরিকুল ইসলাম (বর্তমানে রূপগঞ্জ থানায় কর্মরত) ছেড়ে দেয়ার কথা বলে নগদ ২ লক্ষ টাকা নিয়েছেন ভুক্তভুগীর স্ত্রী সেলিনার কাছ থেকে। সাবেক বন্দর থানার এস আই জলিল নগদ ঘুষ নিয়েছে ১ লক্ষ টাকা মেয়ে সোনিয়া ও স্ত্রী সেলিনার কাছ থেকে। ধামগড় ফাঁড়ির এস আই মাহমুদ নিয়েছে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ১ লক্ষ টাকার একটি চেক। এছাড়া বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজারুল ইসলাম হিরন এসপি ও ওসিকে দেয়ার কথা বলে ৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এবং উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক লিটন ওরুফে বরিশাইল্লা লিটন, ধামগড় ইউনিয়ণ বিএনপির সভাপতি জায়েদ নগদ নিয়েছে ১৩ লক্ষ টাকা। বিভিন্ন ভয়ভিতী ও মামলা থেকে নাম কাটানো সহ থানা থেকে কোনো প্রকার হয়রানী না করার জন্য সর্বমোট ২৫ লক্ষ টাকারও বেশি ভুক্তভুগী সফুরদ্দিন মেম্বারের পরিবারের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ওই চক্রটি এমন নির্মম অবিচারের বর্ননা দেয়ো হয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরে দাখিলকৃত অভিযোগে।
আরও জানা গেছে, বিগত দিনগুলোতে স্থানীয় বিএনপির সভাপতি হিরন, সেক্রেটারি লিটন ও ইউনিয়ণ বিএনপির সভাপতি জায়েদ ভুক্তভুগি মেম্বারকে ষড়যন্ত্র করে জেলে রেখে মোটা টাকা বানিজ্য সহ তার নিয়ন্ত্রনে থাকা টোটাল ফ্যাশনের লেবেল ফ্যাক্টরিটি নিজেদের দখলে নিয়েছে। সাবেক আওয়ামীগের নেতা ও পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজস করে সফুরদ্দিন মেম্বারকে নানাভাবে গভীর ষড়যন্ত্র করেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভুগী সফুরদ্দিন মেম্বার জানান, বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম, ধামগড় ফাঁড়ির এস আই মাহমুদ ও এস আই জলিল আমাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী সহ মোটা অংকের টাকা ঘুষ গ্রহন করেছে। সেই সাথে স্থানীয় বিএনপির তিন নেতা হিরন, লিটন ও জায়েদ এসপি-ওসির কথা বলে আমার স্ত্রী-সন্তানের নিকট থেকে ২৫ লক্ষেরও বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যার সকল তথ্য ও প্রমান আমার কাছে রয়েছে। সেই সাথে আমি ওসি-দারোগাদ্বয়ের বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছি এই কারনে গত গত ৪ অক্টোবর বন্দর পুলিশ গভীর রাতে আমার বাসায় গিয়ে আবারো মিথ্যা মামলা দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আমি পুলিশের আইজপি ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমাকে হয়রানি ও টাকার আত্মসাতের বিচার কামনা করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক বন্দর থানার ওসি ও বর্তমানে রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলামের সরকারি মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে অপর অভিযুক্ত ধামগড় থানার এস আই মাহমুদ মুঠোফোনে জানান, ওই মেম্বার একজন ফ্যাসিষ্ট। আমি গাড়ির মধ্যে আছি পড়ে কথা বলবো।
ঢাকা
,
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :










বন্দরে ওসি-দারোগার বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তরে ইউপি সদস্যের অভিযোগ
-
রুদ্রকন্ঠ ডেস্ক :
- আপডেট সময় ১১:০৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
- 4
জনপ্রিয় সংবাদ