স্টাফ রিপোর্টার: স্বৈরাচারের দোসর ‘গণহত্যার ষড়যন্ত্রকারী একাধিক মামলার আসামি সোনারগাঁ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. নূর জাহানকে’ অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ছাত্র-জনতা। তারা নূর জাহান সহ সকল আওয়ামী দোসরদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচার না করলে সামনে কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
গত ৮ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জ সদর ও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ সহ ডিবির একাধিক টিম তাকে গ্রেফতার করতে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করলেও ছলেবলে কৌশলে নূর জাহান সেই ভবন (ময়না ভবন) থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
স্থানীয় ছাত্র-জনতার দাবি, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও এখনও দেশে ফ্যাসিবাদের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে রয়েছে আর বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। তেমনি নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. নূর জাহানও ধরাছোয়ার বাহিরে থেকে তার বাহিনী দিয়ে জুলাই আন্দোলনে নিরীহ মানুষের উপর হামলা চালিয়েছে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে আওয়ামী দোসর এড. নূর জাহান সহ সকল স্বৈরাচারের দোসরদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। নারায়ণগঞ্জে নাশকতা ঠেকাতে প্রশাসনের কঠোরতা যেমন প্রয়োজন তেমনি নিষিদ্ধ কার্যক্রমের আওয়ামী দোসরদের গ্রেফতার করাও জরুরী।
জানা যায়, গত ৮ই সেপ্টেম্বর থেকে পলাতক রয়েছে নূর জাহান। তবে প্রায়শই তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির বার ভবনে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। শোনা যায় বিএনপিপন্থী কিছু আইনজীবীর সাথে সখ্যতার চেষ্টা করছেন তিনি।
এবিষয়ে এনসিপির জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহমেদুর রহমান তনু বলেন, ফ্যাসিস্টের দোসর কারা সেটা আমরা জানি আপনারাও জানেন, এটা আঙুল দিয়ে দেখানোর কিছু নেই? যারা অপরাধী, যাদের আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি এবং সকল নারায়ণগঞ্জবাসী ও প্রশাসনের কাছে ভিডিও ফুটেজ ও প্রমাণাদি আছে। আওয়ামী দোসরদের বিরুদ্ধে এতো প্রমাণ থাকার পরেও আমরা কেনো প্রশাসনকে গ্রেফতার করতে দেখছি না?
তনু আরও বলেন, প্রশাসনের প্রতি আমাদের দাবী, যারা বৈষম্যবিরোধী মামলা বা গণহত্যা মামলার সাথে জড়িত তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। অনেকে কিছুদিন পরেই জামিনে বেড়িয়ে আসছে, এ ক্ষেত্রেও আমাদের কাজ করার অনেক ব্যাপার আছে। যে অপরাধী তাকে প্রশাসন ধরার পরেও যারা জামিনে বেড়িয়ে আসছে সে কিন্তু আবার কলারটা টান টান করার চেষ্টা করতেছে। সেই সুযোগে ফ্যাসিস্টরা আবার রাস্তায় নামার চেষ্টা করছে। আইন ও আদালতের ক্ষেত্রে তাদের আরও সজাগ হতে হবে এবং প্রশাসনকে দায়িত্ব নিয়ে তাদের কাজ স্বাধীনভাবে করতে দিতে হবে।