ঢাকা , বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo যা ভালো লাগে তাই করতে চাই : ভাবনা Logo রিয়ালের দুর্ভেদ্য প্রাচীর ভেঙে লিভারপুলের উৎসব Logo নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন জোহরান মামদানি Logo সিদ্ধিরগঞ্জে হেরোইনসহ মাদক কারবারি নাদিম গ্রেপ্তার Logo রূপগঞ্জে বিদেশি অস্ত্র ও বিপুল মাদক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১ Logo নারায়ণগঞ্জে এইচএসসির ফল বিপর্যয় উত্তরণে ডিসির মতবিনিময় সভা Logo মনোনয়ন না পেয়েও বাবুলের নির্দেশ খানপুর হাসপাতালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলমান Logo সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান আজহারুল ইসলাম মান্নান Logo বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকা: ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা Logo নারায়ণগঞ্জ উদ্যোক্তা কল্যাণ গ্রুপ পরিবারের ২য় বর্ষ পদার্পণ উপলক্ষে চায়ের আড্ডা অনুষ্ঠিত

সৌদিতে বৈঠকে বসছে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর জন্য একটি শান্তি চুক্তির খসড়া প্রস্তুতের কাজ শুরু করতে চায় ওয়াশিংটন। সম্ভাব্য সেই খসড়া নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধিরা।
আগামী সপ্তাহে সৌদিতে হবে এ বৈঠক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ গতকাল শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর ওভাল অফিসে আয়োজিত সেই ব্রিফিংয়ে মাইক ওয়াল্টজ বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তির খসড়া প্রস্তুতের জন্য আমরা ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছি। আগামী সপ্তাহে সৌদিতে হবে সেই বৈঠক। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং আমি সেখানে উপস্থিত থাকব।”

“আপনারা সবাই জানেন যে আমাদের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার স্পষ্টভাবে বলেছেন যে এই যুদ্ধ থামাতে হবে। ওয়াশিংটন এখন একটি শাটল কূটনীতিতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে; অর্থাৎ আমরা ইউক্রেন ও রাশিয়ার বক্তব্য শুনব এবং উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে চুক্তির নথি প্রস্তুত করা হবে।”

ওয়াল্টজ আরও জানান, রাশিয়া-ইউক্রেনের সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুট আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন।

২০২৪ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর গত ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার ২৩ দিন পর, ১২ ফেব্রুয়ারি পুতিনকে টেলিফোন করেন ট্রাম্প এবং প্রায় দেড়ঘণ্টা কথা হয় তাদের মধ্যে। তার ৬ দিন পর ১৮ ফেব্রুয়ারি সৌদির রাজধানী রিয়াদে বৈঠক করেন ট্রাম্প এবং পুতিন। ইউক্রেনে যুদ্ধের অবসান এবং যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন ছিল সেই বৈঠকের প্রধান আলোচ্যসূচি।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

যা ভালো লাগে তাই করতে চাই : ভাবনা

সৌদিতে বৈঠকে বসছে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন

আপডেট সময় ১১:০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর জন্য একটি শান্তি চুক্তির খসড়া প্রস্তুতের কাজ শুরু করতে চায় ওয়াশিংটন। সম্ভাব্য সেই খসড়া নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধিরা।
আগামী সপ্তাহে সৌদিতে হবে এ বৈঠক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ গতকাল শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর ওভাল অফিসে আয়োজিত সেই ব্রিফিংয়ে মাইক ওয়াল্টজ বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তির খসড়া প্রস্তুতের জন্য আমরা ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছি। আগামী সপ্তাহে সৌদিতে হবে সেই বৈঠক। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং আমি সেখানে উপস্থিত থাকব।”

“আপনারা সবাই জানেন যে আমাদের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার স্পষ্টভাবে বলেছেন যে এই যুদ্ধ থামাতে হবে। ওয়াশিংটন এখন একটি শাটল কূটনীতিতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে; অর্থাৎ আমরা ইউক্রেন ও রাশিয়ার বক্তব্য শুনব এবং উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে চুক্তির নথি প্রস্তুত করা হবে।”

ওয়াল্টজ আরও জানান, রাশিয়া-ইউক্রেনের সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুট আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন।

২০২৪ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর গত ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার ২৩ দিন পর, ১২ ফেব্রুয়ারি পুতিনকে টেলিফোন করেন ট্রাম্প এবং প্রায় দেড়ঘণ্টা কথা হয় তাদের মধ্যে। তার ৬ দিন পর ১৮ ফেব্রুয়ারি সৌদির রাজধানী রিয়াদে বৈঠক করেন ট্রাম্প এবং পুতিন। ইউক্রেনে যুদ্ধের অবসান এবং যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন ছিল সেই বৈঠকের প্রধান আলোচ্যসূচি।