ঢাকা , রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মোস্তাফিজের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাল আইপিএলের ৩ দল Logo নিজের রাজনৈতিক মতাদর্শ পরিষ্কার করলেন শবনম ফারিয়া Logo পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত Logo মুন্সীগঞ্জে র‌্যাব-১০ এর অভিযান অস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ ৩ আসামি গ্রেফতার Logo জীবনের শেষ প্রান্তে এসে জনগণের জন্য রাজনীতি মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়ন চান সিনহা, লৌহজংয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন Logo লৌহজংয়ে মিলাদুন্নবী (সা.) রেলি ও মোনাজাতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অংশগ্রহণ Logo দুর্নীতির রাজনীতি নয়, সেবার রাজনীতি চাই লৌহজংয়ে রিপনের ঘোষণা Logo আমাদের প্রাণের দাবি ছিল এই এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের,সরকার সেটা করেছে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী Logo মুন্সিগঞ্জে দু’ই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৬ Logo মরহুম মাওলানা শামসুদ্দিন হুজুরের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান

বন্দরে পলিথিনে সাটানো ঘরে অসহায় বৃদ্ধার বসবাস

বন্দর(নারায়নগঞ্জ)উপজেলা সংবাদদাতাঃ- পলিথিনে মুড়ানো ঘরে অসহায় বৃদ্ধার বসবাস।
ধামগড় ইউপি ইস্পাহানী বাজার থেকে লাঙ্গলবন্দ স্নানের ঘাটে যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে চৌরারবাড়ি এলাকায় সাটানো জরাজীর্ণ ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম।
বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্বামীকে নিয়ে পর এই ঘরেই বসবাস করতেন তিনি ।
স্বামীর মৃত্যুর পর, স্বামীর রেখে যাওয়া শেষ স্মৃতি নিয়েই বেচে আছেন এই বৃদ্ধা। এক সময় স্বামীকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল আনোয়ারা বেগমের। বেশ কিছু দিন আগে স্বামীর মৃত্যুর পর এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে তিনি। এখন বার্ধক্যের কারণে তিনি নিজের কাজ করতে পারেন না, সংসার চলে মানুষের দান দক্ষিণায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পলিথিনে সাটানো ভাঙ্গা জরাজীর্ণ ঘরে মাটির বিছানায় শুয়ে আছেন তিনি। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া এই বৃদ্ধা ঠিকমতো স্পষ্ট করে কথাও বলতে পারেন না।
ঘরের এক পাশে মাটিতে বিছানা বিছিয়ে শুয়ে বসে এবাদত বন্দেগী করে সময় কাটিয়ে দিচ্ছেন। সেখানেই পার করছেন বছরের পর বছর। মানুষের দান সদগার টাকায় চলে বৃদ্ধা আনোয়ারার সংসার।
স্থানীয়রা জানায়, এক ছেলে ও মেয়ে সন্তানের জননী আনোয়ারা বেগম। অন্যের সহযোগীতায় কোন রকম মেয়েকে বিয়ে দিতে পেরেছেন। এক ছেলে বিয়ে করে শশুড় বাড়িতেই থাকেন। সব কিছু হারিয়ে আনোয়ারা বেগম এখন দিশেহারা।

অসহায় বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম বলেন, একদিকে স্বামী মারা গিয়েছে অন্যদিকে সন্তান আমার পাশে নেই, তাই স্বামী সন্তান সবই গেছে। এখন শুধু জড়াজীর্ন ঘরে বসবাস। সরকার কিংবা দানশীল সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন সহ কোন দয়ালু ব্যাক্তি যদি আমার ঘরটি মেরামত করে দিতেন তাহলে হয়ত শেষ জীবনটা ইবাদত বন্দেগীর মধ্যে দিয়ে কাটিয়ে দিতাম

স্থানীয় ধামগড় ইউপি কামাল চেয়ারম্যান বলেন, আনোয়ারা বেগম দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙ্গা ঘরে থেকে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন । সরকারি সহযোগিতা পেলে কিছু স্বস্তি পাবে। জড়াজীর্ন ভাঙ্গা ঘরে ময়লা আবর্জনার সঙ্গে দিন কাটছে তার। আমরা মাঝেমধ্যে সামান্য সহযোগিতা করি কিন্তু তা দিয়ে কিছুই হয় না। সরকারিভাবে বড় বরাদ্দ দিয়ে ঘরটি মেরামত করেনদিলে হয়ত তার শেষ জীবনটা ভালোভাবে কাটতে পারে।
এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বৃদ্ধা আনোয়ারার খোঁজ নিয়ে তাকে সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া পরবর্তীতে তাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঘর দেওয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

মোস্তাফিজের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাল আইপিএলের ৩ দল

বন্দরে পলিথিনে সাটানো ঘরে অসহায় বৃদ্ধার বসবাস

আপডেট সময় ১১:২২:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বন্দর(নারায়নগঞ্জ)উপজেলা সংবাদদাতাঃ- পলিথিনে মুড়ানো ঘরে অসহায় বৃদ্ধার বসবাস।
ধামগড় ইউপি ইস্পাহানী বাজার থেকে লাঙ্গলবন্দ স্নানের ঘাটে যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে চৌরারবাড়ি এলাকায় সাটানো জরাজীর্ণ ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম।
বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্বামীকে নিয়ে পর এই ঘরেই বসবাস করতেন তিনি ।
স্বামীর মৃত্যুর পর, স্বামীর রেখে যাওয়া শেষ স্মৃতি নিয়েই বেচে আছেন এই বৃদ্ধা। এক সময় স্বামীকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল আনোয়ারা বেগমের। বেশ কিছু দিন আগে স্বামীর মৃত্যুর পর এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে তিনি। এখন বার্ধক্যের কারণে তিনি নিজের কাজ করতে পারেন না, সংসার চলে মানুষের দান দক্ষিণায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পলিথিনে সাটানো ভাঙ্গা জরাজীর্ণ ঘরে মাটির বিছানায় শুয়ে আছেন তিনি। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া এই বৃদ্ধা ঠিকমতো স্পষ্ট করে কথাও বলতে পারেন না।
ঘরের এক পাশে মাটিতে বিছানা বিছিয়ে শুয়ে বসে এবাদত বন্দেগী করে সময় কাটিয়ে দিচ্ছেন। সেখানেই পার করছেন বছরের পর বছর। মানুষের দান সদগার টাকায় চলে বৃদ্ধা আনোয়ারার সংসার।
স্থানীয়রা জানায়, এক ছেলে ও মেয়ে সন্তানের জননী আনোয়ারা বেগম। অন্যের সহযোগীতায় কোন রকম মেয়েকে বিয়ে দিতে পেরেছেন। এক ছেলে বিয়ে করে শশুড় বাড়িতেই থাকেন। সব কিছু হারিয়ে আনোয়ারা বেগম এখন দিশেহারা।

অসহায় বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম বলেন, একদিকে স্বামী মারা গিয়েছে অন্যদিকে সন্তান আমার পাশে নেই, তাই স্বামী সন্তান সবই গেছে। এখন শুধু জড়াজীর্ন ঘরে বসবাস। সরকার কিংবা দানশীল সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন সহ কোন দয়ালু ব্যাক্তি যদি আমার ঘরটি মেরামত করে দিতেন তাহলে হয়ত শেষ জীবনটা ইবাদত বন্দেগীর মধ্যে দিয়ে কাটিয়ে দিতাম

স্থানীয় ধামগড় ইউপি কামাল চেয়ারম্যান বলেন, আনোয়ারা বেগম দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙ্গা ঘরে থেকে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন । সরকারি সহযোগিতা পেলে কিছু স্বস্তি পাবে। জড়াজীর্ন ভাঙ্গা ঘরে ময়লা আবর্জনার সঙ্গে দিন কাটছে তার। আমরা মাঝেমধ্যে সামান্য সহযোগিতা করি কিন্তু তা দিয়ে কিছুই হয় না। সরকারিভাবে বড় বরাদ্দ দিয়ে ঘরটি মেরামত করেনদিলে হয়ত তার শেষ জীবনটা ভালোভাবে কাটতে পারে।
এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বৃদ্ধা আনোয়ারার খোঁজ নিয়ে তাকে সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া পরবর্তীতে তাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঘর দেওয়া হবে।