ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মুশফিকদের ফাইনালে তুললেন ‌‘বুড়ো’ ইউসুফ

তরুণদের সামনে দাঁড়িয়ে ‘বুড়ো হাড়ের ভেলকি’ দেখিয়েছেন সাবেক ভারতীয় হার্ডহিটার ব্যাটার ইউসুফ পাঠান। টুর্নামেন্ট-টাই যে ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট জিম-আফ্রো টি-টেন লিগ। জয় পাওয়া যেখানে প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছিল, সেই ম্যাচটা একাই টেনে নিয়ে গেলেন ইউসুফ। মাত্র ২৬ বলের ইনিংসে তিনি ৮০ রানের তাণ্ডব তুলেছেন। ফলে ৬ উইকেটের জয়ে মুশফিকুর রহিমদের দল জোবার্গ বাফেলোস জিম-আফ্রোর ফাইনালে ওঠে গেল।

জিম্বাবুয়ের এই টি-টেন লিগের প্রথম কোয়ালিফায়ারে আজ (শুক্রবার) ডার্বান কালান্দার্সের মুখোমুখি হন মুশফিকরা। তবে আগে ব্যাট করতে নেমে ডার্বান বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায়। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে নির্ধারিত ১০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে তাদের পুঁজি ১৪০ রান। যা ইউসুফ পাঠানের ঝড়ো ইনিংসে ১ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় জোবার্গ।
এদিন টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন জোর্বার্গের অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ। শুরুটা তাদের ভালো হয়েছিল। বোলারদের নৈপুণ্যে প্রথম ৪ ওভারে ডার্বান মাত্র ২৮ রানে ১ উইকেট হারায়। এরপরই ক্যারিবীয় ব্যাটার আন্দ্রে ফ্লেচারের তাণ্ডব শুরু। ১৪ বলে তিনি ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মারে ৩৯ রান করেন। এরপর মাঝে ডার্বান দ্রুত উইকেট হারালেও সেই ধাক্কা ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন পাকিস্তানি ‘ছক্কা বিশেষজ্ঞ’ আসিফ আলী ও নিক ওয়েলস। ১২ বলে আসিফ ৩২ এবং ওয়েলস ৯ বলে ২৪ রান করেন।

জোবার্গ বোলারদের বেদম মার খাওয়ার দিনেও উজ্জ্বল আফগানিস্তানের স্পিনার নূর আহমেদ ও জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি। নূর আহমেদ ২ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়েই ২টি উইকেট তুলে নেন। সমান ওভার করে মুজারাবানি ১৩ রানে নেন ১ উইকেট।

রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই ১৭ রান তোলেন জোবার্গ অধিনায়ক হাফিজ ও টম ব্যান্টন। এরপরই অবশ্য হাফিজ (৮ বলে ১৭) আউট হয়ে যান। এরপর একে একে সাজঘরে ফেরেন ব্যান্টন (৪), উইল স্মিদ (৯ বলে ১৬) ও রবি বোপারা (১)। তখনও একপ্রান্তের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখেন ইউসুফ। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন টাইগার উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিক। সপ্তম ওভারে দুইটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন টাইগার ব্যাটার। এরপর মঞ্চ পুরোপুরি নিজের দখলে রাখেন ইউসুফ।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত মুশফিক করেন ১০ বলে ১৪ রান। ৮০ রানের ইনিংস খেলার পথে ইউসুফ ৫টি চার ও ৮টি ছয়ের বাউন্ডারি খেলেন। ৪১ বছরের এই অলরাউন্ডারের কাছে যেন বয়স নেহাতই সংখ্যা মাত্র। ১ বল হাতে রেখে দলকে তিনি ফাইনালে নিয়ে যান। যদিও এখনও তাদের প্রতিপক্ষ নির্ধারণ হয়নি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

মুশফিকদের ফাইনালে তুললেন ‌‘বুড়ো’ ইউসুফ

আপডেট সময় ০৪:২২:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

তরুণদের সামনে দাঁড়িয়ে ‘বুড়ো হাড়ের ভেলকি’ দেখিয়েছেন সাবেক ভারতীয় হার্ডহিটার ব্যাটার ইউসুফ পাঠান। টুর্নামেন্ট-টাই যে ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট জিম-আফ্রো টি-টেন লিগ। জয় পাওয়া যেখানে প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছিল, সেই ম্যাচটা একাই টেনে নিয়ে গেলেন ইউসুফ। মাত্র ২৬ বলের ইনিংসে তিনি ৮০ রানের তাণ্ডব তুলেছেন। ফলে ৬ উইকেটের জয়ে মুশফিকুর রহিমদের দল জোবার্গ বাফেলোস জিম-আফ্রোর ফাইনালে ওঠে গেল।

জিম্বাবুয়ের এই টি-টেন লিগের প্রথম কোয়ালিফায়ারে আজ (শুক্রবার) ডার্বান কালান্দার্সের মুখোমুখি হন মুশফিকরা। তবে আগে ব্যাট করতে নেমে ডার্বান বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায়। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে নির্ধারিত ১০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে তাদের পুঁজি ১৪০ রান। যা ইউসুফ পাঠানের ঝড়ো ইনিংসে ১ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় জোবার্গ।
এদিন টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন জোর্বার্গের অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ। শুরুটা তাদের ভালো হয়েছিল। বোলারদের নৈপুণ্যে প্রথম ৪ ওভারে ডার্বান মাত্র ২৮ রানে ১ উইকেট হারায়। এরপরই ক্যারিবীয় ব্যাটার আন্দ্রে ফ্লেচারের তাণ্ডব শুরু। ১৪ বলে তিনি ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মারে ৩৯ রান করেন। এরপর মাঝে ডার্বান দ্রুত উইকেট হারালেও সেই ধাক্কা ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন পাকিস্তানি ‘ছক্কা বিশেষজ্ঞ’ আসিফ আলী ও নিক ওয়েলস। ১২ বলে আসিফ ৩২ এবং ওয়েলস ৯ বলে ২৪ রান করেন।

জোবার্গ বোলারদের বেদম মার খাওয়ার দিনেও উজ্জ্বল আফগানিস্তানের স্পিনার নূর আহমেদ ও জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি। নূর আহমেদ ২ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়েই ২টি উইকেট তুলে নেন। সমান ওভার করে মুজারাবানি ১৩ রানে নেন ১ উইকেট।

রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই ১৭ রান তোলেন জোবার্গ অধিনায়ক হাফিজ ও টম ব্যান্টন। এরপরই অবশ্য হাফিজ (৮ বলে ১৭) আউট হয়ে যান। এরপর একে একে সাজঘরে ফেরেন ব্যান্টন (৪), উইল স্মিদ (৯ বলে ১৬) ও রবি বোপারা (১)। তখনও একপ্রান্তের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখেন ইউসুফ। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন টাইগার উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিক। সপ্তম ওভারে দুইটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন টাইগার ব্যাটার। এরপর মঞ্চ পুরোপুরি নিজের দখলে রাখেন ইউসুফ।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত মুশফিক করেন ১০ বলে ১৪ রান। ৮০ রানের ইনিংস খেলার পথে ইউসুফ ৫টি চার ও ৮টি ছয়ের বাউন্ডারি খেলেন। ৪১ বছরের এই অলরাউন্ডারের কাছে যেন বয়স নেহাতই সংখ্যা মাত্র। ১ বল হাতে রেখে দলকে তিনি ফাইনালে নিয়ে যান। যদিও এখনও তাদের প্রতিপক্ষ নির্ধারণ হয়নি।