ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সরকার কি প্রমাণ করতে চায়, আমরা হা-ভাতে: গয়েশ্বরের প্রশ্ন

আপ্যায়নের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া নিম্ন রুচির পরিচায়ক বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি এও মনে করেন, এটি তামাশাপূর্ণ নাটক, যার মাধ্যমে সরকার প্রমাণ করতে চায়, বিএনপির নেতারা হা-ভাতে।

গয়েশ্বর বলেন, ‘ডিবির প্রধান আমাকে বলেন, রুই মাছটি তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। আর যেহেতু ডিবিপ্রধান নিজেই খাবারটি খাচ্ছেন, তখন আমার মনে হলো এটা যদি গ্রহণ করি তাহলে সমস্যা হবে না। তবে আপ্যায়ন করে সেটার ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া অত্যন্ত ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড।‘

রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, ‘ডিবি কার্যালয়ে সংস্থাটির পক্ষ থেকে যে খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল, সে খাবার খাইনি। ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদের জন্য বাসা থেকে যে খাবার পাঠানো হয়েছে, সে খাবার খেয়েছি। ডিবির প্রধানের অনুরোধে ও সৌজন্যতা রক্ষায় ভাতসহ হালকা সবজি ও রুই মাছ গ্রহণ করি।’

অ্যাপায়ন করিয়ে তার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়াকে তামাশাপূর্ণ নাটক বলেও মনে করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি বলেন, ‘সরকার কি প্রমাণ করতে চায় যে, আমরা হা-ভাতে? ভিক্ষা করে খাই? গ্রামের ভাষায় বলা হয়, খাইয়ে খোটা দেওয়া। ডিবি অফিসে আমার সঙ্গে যা করা হলো তা ওই রকমই। আমার বাড়িতে তো বিভিন্ন সময় অনেক লোক খায়। এটা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের। কিন্তু এই খাবারের ছবি উঠিয়ে কি আমি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেব? এটা কি আমার জন্য ভালো হবে?’

তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘সরকারের কোনো প্রলোভন গয়েশ্বরকে কিনতে পারবে না। সরকার গ্রেপ্তার করতে পারে, এমনকি প্রাণও নিতে পারে। এই শক্তি সরকারের রয়েছে। কিন্তু গয়েশ্বরকে কিনতে পারবে না। ঈশ্বরের কাছে আমার প্রার্থনা চিতায় উঠার আগে যেন, এই সরকারের পতন দেখে যেতে পারি।’

উল্লেখ্য, শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে ‘সোনারগাঁও হোটেলের’ খাবার এনে আপ্যায়ন করার একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, গয়েশ্বরের প্লেটে খাবার তুলে দিচ্ছেন ডিবি প্রধান। ওই দিন বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষের পর দুপুর ১২টার দিকে তাকে নিয়ে আসা হয় ডিবি কার্যালয়ে। পরে বেলা ৩টার দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হন তিনি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

সরকার কি প্রমাণ করতে চায়, আমরা হা-ভাতে: গয়েশ্বরের প্রশ্ন

আপডেট সময় ০৪:২৩:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

আপ্যায়নের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া নিম্ন রুচির পরিচায়ক বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি এও মনে করেন, এটি তামাশাপূর্ণ নাটক, যার মাধ্যমে সরকার প্রমাণ করতে চায়, বিএনপির নেতারা হা-ভাতে।

গয়েশ্বর বলেন, ‘ডিবির প্রধান আমাকে বলেন, রুই মাছটি তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। আর যেহেতু ডিবিপ্রধান নিজেই খাবারটি খাচ্ছেন, তখন আমার মনে হলো এটা যদি গ্রহণ করি তাহলে সমস্যা হবে না। তবে আপ্যায়ন করে সেটার ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া অত্যন্ত ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড।‘

রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, ‘ডিবি কার্যালয়ে সংস্থাটির পক্ষ থেকে যে খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল, সে খাবার খাইনি। ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদের জন্য বাসা থেকে যে খাবার পাঠানো হয়েছে, সে খাবার খেয়েছি। ডিবির প্রধানের অনুরোধে ও সৌজন্যতা রক্ষায় ভাতসহ হালকা সবজি ও রুই মাছ গ্রহণ করি।’

অ্যাপায়ন করিয়ে তার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়াকে তামাশাপূর্ণ নাটক বলেও মনে করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি বলেন, ‘সরকার কি প্রমাণ করতে চায় যে, আমরা হা-ভাতে? ভিক্ষা করে খাই? গ্রামের ভাষায় বলা হয়, খাইয়ে খোটা দেওয়া। ডিবি অফিসে আমার সঙ্গে যা করা হলো তা ওই রকমই। আমার বাড়িতে তো বিভিন্ন সময় অনেক লোক খায়। এটা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের। কিন্তু এই খাবারের ছবি উঠিয়ে কি আমি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেব? এটা কি আমার জন্য ভালো হবে?’

তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘সরকারের কোনো প্রলোভন গয়েশ্বরকে কিনতে পারবে না। সরকার গ্রেপ্তার করতে পারে, এমনকি প্রাণও নিতে পারে। এই শক্তি সরকারের রয়েছে। কিন্তু গয়েশ্বরকে কিনতে পারবে না। ঈশ্বরের কাছে আমার প্রার্থনা চিতায় উঠার আগে যেন, এই সরকারের পতন দেখে যেতে পারি।’

উল্লেখ্য, শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে ‘সোনারগাঁও হোটেলের’ খাবার এনে আপ্যায়ন করার একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, গয়েশ্বরের প্লেটে খাবার তুলে দিচ্ছেন ডিবি প্রধান। ওই দিন বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষের পর দুপুর ১২টার দিকে তাকে নিয়ে আসা হয় ডিবি কার্যালয়ে। পরে বেলা ৩টার দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হন তিনি।