ঢাকা , বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা চুরির মামলায় মুন ডাইং এর মালিক সহ দু’জন গ্রেফতার Logo গজারিয়ায় অবৈধ চুনা কারখানায় তিতাসের উচ্ছেদ অভিযান Logo ঝিকুট ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি সাইয়্যেদুল বাশার সাধারণ সম্পাদক শাহিদুল হাসান শাওন Logo লৌহজংয়ে কলমা ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন জায়গা দখল নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ Logo না.গঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানাল আইন কলেজের শিক্ষার্থীরা Logo মুন্সীগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ Logo মুন্সীগঞ্জে দুই দিনে ৯ মরদেহ উদ্ধার Logo রূপগঞ্জে শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা Logo সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের একদিন পর শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার Logo মুন্সীগঞ্জে নানা আয়োজনে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

মুন্সীগঞ্জে দুই দিনে ৯ মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি- মুন্সীগঞ্জে গত দুই দিনে নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রোববার (৩১ আগস্ট) ৬ জন ও সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকেলে মুন্সিগঞ্জ শহরের খালইস্টে নির্মাণাধীন সবুজ কাজীর দ্বিতল ভবনের ভূগর্ভস্থ সেপটিক ট্যাংক থেকে তিন নির্মাণ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ফায়ার সার্ভিস। এদের মধ্যে ছিলেন বগুড়ার ইব্রাহিম (৪৮), গাইবান্ধার ফিরোজ (১৯) এবং পঞ্চগড়ের শাহিন ইসলাম (২২)। ময়নাতদন্তের পর সোমবার পরিবারের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিরাজদিখান ও শ্রীনগর উপজেলায় আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার হয়।

পুলিশের ও স্থানীয় সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকাল ৮টায় সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া গ্রামের ঋষিপাড়ায় নিজ বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আকাশ ঋষি (২২) নামে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আকাশ নীল কৃষ্ণ ঋষির ছেলে। পরিবারের ধারণা, আকাশ গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

এদিকে, এক দিন নিখোঁজ থাকার পর রোববার সকাল ৮টায় শ্রীনগর উপজেলার পূর্ব আটপাড়া এলাকায় প্রতিবেশীর বাড়ির পাশ থেকে কৃষক আয়নাল হকের (৭০) লাশ উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া দুপুর ১টায় সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইলের উত্তর পাথরঘাটা গ্রামের ধলেশ্বরী নদী থেকে আমজাদ হোসেন ঢালীর (৪৫) লাশ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আমজাদ হোসেন ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার হযরতপুর ইউনিয়নের মৃত শহীদ ঢালীর ছেলে এবং হযরতপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শিমুল আহমেদ সাদ্দামের বড় ভাই।

অন্যদিকে সোমবার শ্রীনগর উপজেলা থেকে আরও তিন লাশ উদ্ধার হয়েছে। জেলার শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ও ব্রাম্মণপাইকসা থেকে পৃথক ঘটনায় এই লাশগুলো পাওয়া যায়।

পুলিশ জানায়, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের ষোলঘর রেল লাইনের আন্ডারপাসের পাশে এক মধ্যবয়সী নারীর কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, যার পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু হয়েছে।

এর কিছু সময় পর শ্রীনগরের ব্রাম্মণপাইকসা গ্রামে মামুন কাজী (৭০) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ির ১০ গজ দূরের একটি বাড়ির পেছনের গাছের সঙ্গে হেলানো অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। এই ঘটনায় পাশের বাড়ির এক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে সাতটায় শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘরের দেওয়ানপাড়ায় নিজ বাড়িতে ছুরি নিয়ে বাবাকে আঘাত করতে আসার সময় সেই ছুরি দিয়ে বাবাই ছেলেকে আঘাত করেন। ঘটনার পর অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী বাবা আবুল হোসেন (৭০) লাশের পাশে বসে ছিলেন। পুলিশ আসার পর তিনি নিজেই আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে।

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান জানান, এসব ঘটনা বিচ্ছিন্ন। পুলিশ সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে। মৃতদেহগুলোর ময়নাতদন্ত হয়েছে, যা থেকে মৃত্যুর সঠিক কারণ আরও স্পষ্ট হবে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা চুরির মামলায় মুন ডাইং এর মালিক সহ দু’জন গ্রেফতার

মুন্সীগঞ্জে দুই দিনে ৯ মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ১১:০৩:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি- মুন্সীগঞ্জে গত দুই দিনে নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রোববার (৩১ আগস্ট) ৬ জন ও সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকেলে মুন্সিগঞ্জ শহরের খালইস্টে নির্মাণাধীন সবুজ কাজীর দ্বিতল ভবনের ভূগর্ভস্থ সেপটিক ট্যাংক থেকে তিন নির্মাণ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ফায়ার সার্ভিস। এদের মধ্যে ছিলেন বগুড়ার ইব্রাহিম (৪৮), গাইবান্ধার ফিরোজ (১৯) এবং পঞ্চগড়ের শাহিন ইসলাম (২২)। ময়নাতদন্তের পর সোমবার পরিবারের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিরাজদিখান ও শ্রীনগর উপজেলায় আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার হয়।

পুলিশের ও স্থানীয় সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকাল ৮টায় সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া গ্রামের ঋষিপাড়ায় নিজ বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আকাশ ঋষি (২২) নামে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আকাশ নীল কৃষ্ণ ঋষির ছেলে। পরিবারের ধারণা, আকাশ গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

এদিকে, এক দিন নিখোঁজ থাকার পর রোববার সকাল ৮টায় শ্রীনগর উপজেলার পূর্ব আটপাড়া এলাকায় প্রতিবেশীর বাড়ির পাশ থেকে কৃষক আয়নাল হকের (৭০) লাশ উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া দুপুর ১টায় সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইলের উত্তর পাথরঘাটা গ্রামের ধলেশ্বরী নদী থেকে আমজাদ হোসেন ঢালীর (৪৫) লাশ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আমজাদ হোসেন ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার হযরতপুর ইউনিয়নের মৃত শহীদ ঢালীর ছেলে এবং হযরতপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শিমুল আহমেদ সাদ্দামের বড় ভাই।

অন্যদিকে সোমবার শ্রীনগর উপজেলা থেকে আরও তিন লাশ উদ্ধার হয়েছে। জেলার শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ও ব্রাম্মণপাইকসা থেকে পৃথক ঘটনায় এই লাশগুলো পাওয়া যায়।

পুলিশ জানায়, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের ষোলঘর রেল লাইনের আন্ডারপাসের পাশে এক মধ্যবয়সী নারীর কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, যার পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু হয়েছে।

এর কিছু সময় পর শ্রীনগরের ব্রাম্মণপাইকসা গ্রামে মামুন কাজী (৭০) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ির ১০ গজ দূরের একটি বাড়ির পেছনের গাছের সঙ্গে হেলানো অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। এই ঘটনায় পাশের বাড়ির এক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে সাতটায় শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘরের দেওয়ানপাড়ায় নিজ বাড়িতে ছুরি নিয়ে বাবাকে আঘাত করতে আসার সময় সেই ছুরি দিয়ে বাবাই ছেলেকে আঘাত করেন। ঘটনার পর অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী বাবা আবুল হোসেন (৭০) লাশের পাশে বসে ছিলেন। পুলিশ আসার পর তিনি নিজেই আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে।

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান জানান, এসব ঘটনা বিচ্ছিন্ন। পুলিশ সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে। মৃতদেহগুলোর ময়নাতদন্ত হয়েছে, যা থেকে মৃত্যুর সঠিক কারণ আরও স্পষ্ট হবে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।