ঢাকা , বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বন্দরে ওসি-দারোগার বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তরে ইউপি সদস্যের অভিযোগ Logo রূপগঞ্জে ডহরগাওয়ে আলেম-ওলামাদের উদ্যোগে গান-বাজনা বন্ধ Logo বন্দর ইউনিয়ন বিএনপি’র কর্মী সভা ও তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ Logo স্বৈরাচারের দোসর নূর জাহানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন ছাত্র-জনতা Logo টঙ্গীবাড়ি থানায় চুরির ঘটনা Logo নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা Logo ফতুল্লায় বাসের ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু, আহত ২ : বাস ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ Logo জনগণের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন আবু জাফর আহমেদ বাবুল Logo প্রাইম বাবুলের পক্ষ থেকে তারেক রহমানে ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ Logo আরসিসি রাস্তার ঢালাই কাজের উদ্বোধন করেন চেয়ারম্যান হাজ্বী আব্দুল্লাহ আল মামুন

জৌলুস হারিয়ে অচেনা রূপে প্রমত্তা পদ্মা

চার দশক আগেও কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে শোনা প্রমত্তা পদ্মার গর্জন। পদ্মার সেই যৌবন আর নেই। এই নদীর অববাহিকায় গড়ে উঠেছে এ অঞ্চলের সভ্যতা ও সংস্কৃতি। বৃহত্তর রাজশাহী এবং আশপাশের এই অঞ্চলের মানুষের জীবিকারও অন্যতম আশ্রয়স্থলও ছিল এ নদী।

ভারতে নির্মিত ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে পদ্মা হারিয়েছে সেই চিরচেনা রূপ ও জৌলুস। পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় আয়তন কমেছে অর্ধেক। কমেছে গভীরতাও। পদ্মার বুকজুড়ে এখন শুধু বালু আর বালু। ফলে অববাহিকায় কমেছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। বেড়েছে এ অঞ্চলের তাপমাত্রাও। ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ১৯৭৭ সালের ১৬ মে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ফারাক্কা অভিমুখে হয় ঐতিহাসিক লংমার্চ। এদিকে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদ এবং বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। আবাসস্থল হারিয়েছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। নেমে গেছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। ফলে বরেন্দ্র অঞ্চলে দেখা দিয়েছে কৃষিজমিতে সেচ এবং খাবার পানির সংকট। পাশাপাশি পদ্মার পার দখল করে প্রভাবশালীরা তৈরি করেছেন অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা।

গবেষকরা বলছেন, বর্তমানে রাজশাহী অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ১২৫ ফুট নিচে অবস্থান করছে। গভীর নলকূপে পানি উঠছে না। রাজশাহী এবং এর পাশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার বরেন্দ্র এলাকায় শীত শেষ না হতেই পানি শূন্যতায় চৌচির হয়ে পড়েছে খাল, বিল এবং পুকুর। খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া দেশের বৃহত্তম গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পসহ পশ্চিমের অন্যান্য সেচ প্রকল্পও হুমকির মুখে।

এদিকে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড কনজারভেশন গত ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ১৯৮৪ সালের তুলনায় শুকনো মৌসুমে পদ্মা নদীর আয়তন কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। পানির গভীরতা কমেছে ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ। পাশাপাশি প্রবাহ কমেছে ২৬ দশমিক ২ শতাংশ।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

বন্দরে ওসি-দারোগার বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তরে ইউপি সদস্যের অভিযোগ

জৌলুস হারিয়ে অচেনা রূপে প্রমত্তা পদ্মা

আপডেট সময় ১০:০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চার দশক আগেও কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে শোনা প্রমত্তা পদ্মার গর্জন। পদ্মার সেই যৌবন আর নেই। এই নদীর অববাহিকায় গড়ে উঠেছে এ অঞ্চলের সভ্যতা ও সংস্কৃতি। বৃহত্তর রাজশাহী এবং আশপাশের এই অঞ্চলের মানুষের জীবিকারও অন্যতম আশ্রয়স্থলও ছিল এ নদী।

ভারতে নির্মিত ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে পদ্মা হারিয়েছে সেই চিরচেনা রূপ ও জৌলুস। পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় আয়তন কমেছে অর্ধেক। কমেছে গভীরতাও। পদ্মার বুকজুড়ে এখন শুধু বালু আর বালু। ফলে অববাহিকায় কমেছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। বেড়েছে এ অঞ্চলের তাপমাত্রাও। ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ১৯৭৭ সালের ১৬ মে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ফারাক্কা অভিমুখে হয় ঐতিহাসিক লংমার্চ। এদিকে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদ এবং বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। আবাসস্থল হারিয়েছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। নেমে গেছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। ফলে বরেন্দ্র অঞ্চলে দেখা দিয়েছে কৃষিজমিতে সেচ এবং খাবার পানির সংকট। পাশাপাশি পদ্মার পার দখল করে প্রভাবশালীরা তৈরি করেছেন অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা।

গবেষকরা বলছেন, বর্তমানে রাজশাহী অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ১২৫ ফুট নিচে অবস্থান করছে। গভীর নলকূপে পানি উঠছে না। রাজশাহী এবং এর পাশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার বরেন্দ্র এলাকায় শীত শেষ না হতেই পানি শূন্যতায় চৌচির হয়ে পড়েছে খাল, বিল এবং পুকুর। খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া দেশের বৃহত্তম গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পসহ পশ্চিমের অন্যান্য সেচ প্রকল্পও হুমকির মুখে।

এদিকে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড কনজারভেশন গত ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ১৯৮৪ সালের তুলনায় শুকনো মৌসুমে পদ্মা নদীর আয়তন কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। পানির গভীরতা কমেছে ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ। পাশাপাশি প্রবাহ কমেছে ২৬ দশমিক ২ শতাংশ।