ঢাকা , শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ভিন্নমত প্রকাশকে ‘নিরাপত্তা হুমকি’ দেখত হাসিনার সরকার Logo সব ছেড়ে আধ্যাত্মিকতায় মন দিলেন জ্যাকুলিন! Logo জোড়া সেঞ্চুরিতে স্বস্তি নিয়ে দিন পার করল বাংলাদেশ Logo ‘ইসরায়েলের আকাশসীমা আমাদের দখলে’, দাবি ইরানের Logo ফতুল্লায় ড্রেন থেকে যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার Logo সোনারগাঁয়ে রাস্তার পাশ থেকে শ্রমিকের লাশ উদ্ধার Logo আড়াইহাজারে যুবদলের আহবায়কের পেটে ১২শ’ পিস ইয়াবা Logo রূপগঞ্জে রাজনৈতিক কোন্দলে ফার্মেসিতে গুলিবর্ষণ: গার্মেন্টস শ্রমিক গুলিবিদ্ধ Logo ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ও করোনা সচেতনতায় ২৩ ও ২২নং ওয়ার্ডে আশার মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ Logo ইসরায়েলে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের দুঃসংবাদ দিলো মার্কিন দূতাবাস

জৌলুস হারিয়ে অচেনা রূপে প্রমত্তা পদ্মা

চার দশক আগেও কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে শোনা প্রমত্তা পদ্মার গর্জন। পদ্মার সেই যৌবন আর নেই। এই নদীর অববাহিকায় গড়ে উঠেছে এ অঞ্চলের সভ্যতা ও সংস্কৃতি। বৃহত্তর রাজশাহী এবং আশপাশের এই অঞ্চলের মানুষের জীবিকারও অন্যতম আশ্রয়স্থলও ছিল এ নদী।

ভারতে নির্মিত ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে পদ্মা হারিয়েছে সেই চিরচেনা রূপ ও জৌলুস। পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় আয়তন কমেছে অর্ধেক। কমেছে গভীরতাও। পদ্মার বুকজুড়ে এখন শুধু বালু আর বালু। ফলে অববাহিকায় কমেছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। বেড়েছে এ অঞ্চলের তাপমাত্রাও। ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ১৯৭৭ সালের ১৬ মে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ফারাক্কা অভিমুখে হয় ঐতিহাসিক লংমার্চ। এদিকে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদ এবং বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। আবাসস্থল হারিয়েছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। নেমে গেছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। ফলে বরেন্দ্র অঞ্চলে দেখা দিয়েছে কৃষিজমিতে সেচ এবং খাবার পানির সংকট। পাশাপাশি পদ্মার পার দখল করে প্রভাবশালীরা তৈরি করেছেন অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা।

গবেষকরা বলছেন, বর্তমানে রাজশাহী অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ১২৫ ফুট নিচে অবস্থান করছে। গভীর নলকূপে পানি উঠছে না। রাজশাহী এবং এর পাশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার বরেন্দ্র এলাকায় শীত শেষ না হতেই পানি শূন্যতায় চৌচির হয়ে পড়েছে খাল, বিল এবং পুকুর। খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া দেশের বৃহত্তম গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পসহ পশ্চিমের অন্যান্য সেচ প্রকল্পও হুমকির মুখে।

এদিকে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড কনজারভেশন গত ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ১৯৮৪ সালের তুলনায় শুকনো মৌসুমে পদ্মা নদীর আয়তন কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। পানির গভীরতা কমেছে ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ। পাশাপাশি প্রবাহ কমেছে ২৬ দশমিক ২ শতাংশ।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

ভিন্নমত প্রকাশকে ‘নিরাপত্তা হুমকি’ দেখত হাসিনার সরকার

জৌলুস হারিয়ে অচেনা রূপে প্রমত্তা পদ্মা

আপডেট সময় ১০:০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চার দশক আগেও কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে শোনা প্রমত্তা পদ্মার গর্জন। পদ্মার সেই যৌবন আর নেই। এই নদীর অববাহিকায় গড়ে উঠেছে এ অঞ্চলের সভ্যতা ও সংস্কৃতি। বৃহত্তর রাজশাহী এবং আশপাশের এই অঞ্চলের মানুষের জীবিকারও অন্যতম আশ্রয়স্থলও ছিল এ নদী।

ভারতে নির্মিত ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে পদ্মা হারিয়েছে সেই চিরচেনা রূপ ও জৌলুস। পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় আয়তন কমেছে অর্ধেক। কমেছে গভীরতাও। পদ্মার বুকজুড়ে এখন শুধু বালু আর বালু। ফলে অববাহিকায় কমেছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। বেড়েছে এ অঞ্চলের তাপমাত্রাও। ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ১৯৭৭ সালের ১৬ মে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ফারাক্কা অভিমুখে হয় ঐতিহাসিক লংমার্চ। এদিকে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদ এবং বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। আবাসস্থল হারিয়েছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। নেমে গেছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। ফলে বরেন্দ্র অঞ্চলে দেখা দিয়েছে কৃষিজমিতে সেচ এবং খাবার পানির সংকট। পাশাপাশি পদ্মার পার দখল করে প্রভাবশালীরা তৈরি করেছেন অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা।

গবেষকরা বলছেন, বর্তমানে রাজশাহী অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ১২৫ ফুট নিচে অবস্থান করছে। গভীর নলকূপে পানি উঠছে না। রাজশাহী এবং এর পাশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার বরেন্দ্র এলাকায় শীত শেষ না হতেই পানি শূন্যতায় চৌচির হয়ে পড়েছে খাল, বিল এবং পুকুর। খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া দেশের বৃহত্তম গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পসহ পশ্চিমের অন্যান্য সেচ প্রকল্পও হুমকির মুখে।

এদিকে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড কনজারভেশন গত ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ১৯৮৪ সালের তুলনায় শুকনো মৌসুমে পদ্মা নদীর আয়তন কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। পানির গভীরতা কমেছে ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ। পাশাপাশি প্রবাহ কমেছে ২৬ দশমিক ২ শতাংশ।