ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের প্রকৃত রিজার্ভ সাড়ে ২৩ বিলিয়ন ডলার

দেশে এখন প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৩৫৬ কোটি (২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন) ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) নিয়মানুসারে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের এই তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের রিজার্ভ ২ হাজার ৯৯৭ কোটি ডলার (২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন) ডলার। আইএমএফ’র শর্ত অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী রিজার্ভ থেকে ৬৪০ কোটি ডলার বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রকৃত রিজার্ভ নেমে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে। প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।

সারা বিশ্বে প্রচলিত আইএমএফ’র ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬) অনুযায়ী, রিজার্ভ গণনায় বাংলাদেশ ব্যাংক গঠিত বিভিন্ন তহবিলের পাশাপাশি বিমানের জন্য প্রদত্ত ঋণ গ্যারান্টি, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মুদ্রা বিনিময়, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ঋণ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকে আমানত এবং নির্দিষ্ট গ্রেডের নিচে থাকা সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ অন্তর্ভুক্ত নয়। এসব খাতের বিনিয়োগ ৬৪০ কোটি ডলার। যা বাদ দিয়ে রিজার্ভ হিসাব করা হয়েছে।

অর্থনৈতিক মন্দার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের জন্য শর্ত দিয়ে ৪৭০ কোটি ( ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন) ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে আইএমএফ। এই ঋণ সাত কিস্তিতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত দেওয়া হবে। এই ঋণের সুদের হার দুই দশমিক দুই শতাংশ। এই ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ইতোমধ্যে পেয়েছে বাংলাদেশ। পরবর্তী কিস্তি পেতে সংস্থাটির দেওয়া শর্ত পূরণ করছে। এরই অংশ হিসেবে প্রকৃত রিজার্ভ ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শেষ দিক থেকে রিজার্ভ কমে এ পর্যায়ে নেমেছে। এর আগে ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ বেড়েছে। ১০ বছর আগে ২০১৩ সালের জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। পাঁচ বছর আগে ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বেড়ে ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছায়। ওই বছর ৮ অক্টোবর ৪০ বিলিয়ন ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রম করে। এরপর তা বেড়ে ক‌রোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড গড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট। ওইদিন রিজার্ভ ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার বা চার হাজার ৮০৪ কোটি ডলাররে উঠে যায়। এরপর ডলার সংকটে গত বছর থেকে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

দেশের প্রকৃত রিজার্ভ সাড়ে ২৩ বিলিয়ন ডলার

আপডেট সময় ০৫:০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩

দেশে এখন প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৩৫৬ কোটি (২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন) ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) নিয়মানুসারে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের এই তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের রিজার্ভ ২ হাজার ৯৯৭ কোটি ডলার (২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন) ডলার। আইএমএফ’র শর্ত অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী রিজার্ভ থেকে ৬৪০ কোটি ডলার বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রকৃত রিজার্ভ নেমে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে। প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।

সারা বিশ্বে প্রচলিত আইএমএফ’র ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬) অনুযায়ী, রিজার্ভ গণনায় বাংলাদেশ ব্যাংক গঠিত বিভিন্ন তহবিলের পাশাপাশি বিমানের জন্য প্রদত্ত ঋণ গ্যারান্টি, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মুদ্রা বিনিময়, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ঋণ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকে আমানত এবং নির্দিষ্ট গ্রেডের নিচে থাকা সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ অন্তর্ভুক্ত নয়। এসব খাতের বিনিয়োগ ৬৪০ কোটি ডলার। যা বাদ দিয়ে রিজার্ভ হিসাব করা হয়েছে।

অর্থনৈতিক মন্দার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের জন্য শর্ত দিয়ে ৪৭০ কোটি ( ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন) ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে আইএমএফ। এই ঋণ সাত কিস্তিতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত দেওয়া হবে। এই ঋণের সুদের হার দুই দশমিক দুই শতাংশ। এই ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ইতোমধ্যে পেয়েছে বাংলাদেশ। পরবর্তী কিস্তি পেতে সংস্থাটির দেওয়া শর্ত পূরণ করছে। এরই অংশ হিসেবে প্রকৃত রিজার্ভ ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শেষ দিক থেকে রিজার্ভ কমে এ পর্যায়ে নেমেছে। এর আগে ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ বেড়েছে। ১০ বছর আগে ২০১৩ সালের জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। পাঁচ বছর আগে ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বেড়ে ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছায়। ওই বছর ৮ অক্টোবর ৪০ বিলিয়ন ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রম করে। এরপর তা বেড়ে ক‌রোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড গড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট। ওইদিন রিজার্ভ ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার বা চার হাজার ৮০৪ কোটি ডলাররে উঠে যায়। এরপর ডলার সংকটে গত বছর থেকে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।