ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গৃহবধূকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী-শাশুড়ি পলাতক

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলায় কানুনিয়া গ্রামে গৃহবধূ নাজমা আক্তারকে (১৯) যৌতুক দিতে না পারায় বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নাজমা আক্তার এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নাজমার মা ফরিদা বেগম ও বোন ময়না বেগম হত্যার অভিযোগ করেন। ঘটনার পর থেকে নাজমার স্বামী জাহিদ হোসেন ও শাশুড়ি পলাতক রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে নাজমাকে বিষ খাওয়ানো হয় এবং বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে তার মৃত্যু হয়। নাজমা পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার গুয়াটন কলেজ এলাকার আবুল বাসারের মেয়ে ও ঝালকাঠি সদর উপজেলার গুয়াটন কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। অভিযুক্ত স্বামী মুদি দোকানি জাহিদ হোসেন উপজেলার কানুনিয়া গ্রামের আবু বকরের ছেলে।

নাজমার মা ফরিদা বেগম ও বোন ময়না বেগম জানান, গত ৮ মার্চ পারিবারিকভাবে নাজমার বিয়ে হয়। এরপর থেকে যৌতুক হিসেবে দামি জিনিস দিতে না পারায় নাজমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বামী ও শাশুড়ি মিলে নাজমাকে মারধরের এক পর্যায়ে জোর করে বিষ খাওয়ায়। নাজমার স্বামী জাহিদ হোসেন মোবাইল জুয়ায় আসক্ত ও নেশাগ্রস্ত বলে জানান তারা।

রাজাপুর থানার এসআই বিপুল জানান, অভিযুক্ত জাহিদ ও তার মা পলাতক রয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

গৃহবধূকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী-শাশুড়ি পলাতক

আপডেট সময় ০২:৪৮:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলায় কানুনিয়া গ্রামে গৃহবধূ নাজমা আক্তারকে (১৯) যৌতুক দিতে না পারায় বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নাজমা আক্তার এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নাজমার মা ফরিদা বেগম ও বোন ময়না বেগম হত্যার অভিযোগ করেন। ঘটনার পর থেকে নাজমার স্বামী জাহিদ হোসেন ও শাশুড়ি পলাতক রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে নাজমাকে বিষ খাওয়ানো হয় এবং বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে তার মৃত্যু হয়। নাজমা পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার গুয়াটন কলেজ এলাকার আবুল বাসারের মেয়ে ও ঝালকাঠি সদর উপজেলার গুয়াটন কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। অভিযুক্ত স্বামী মুদি দোকানি জাহিদ হোসেন উপজেলার কানুনিয়া গ্রামের আবু বকরের ছেলে।

নাজমার মা ফরিদা বেগম ও বোন ময়না বেগম জানান, গত ৮ মার্চ পারিবারিকভাবে নাজমার বিয়ে হয়। এরপর থেকে যৌতুক হিসেবে দামি জিনিস দিতে না পারায় নাজমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বামী ও শাশুড়ি মিলে নাজমাকে মারধরের এক পর্যায়ে জোর করে বিষ খাওয়ায়। নাজমার স্বামী জাহিদ হোসেন মোবাইল জুয়ায় আসক্ত ও নেশাগ্রস্ত বলে জানান তারা।

রাজাপুর থানার এসআই বিপুল জানান, অভিযুক্ত জাহিদ ও তার মা পলাতক রয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।