ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ত্বকী হত্যার স্পট ও টর্চার সেলে আসামিকে নিয়ে পরিদর্শন

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ত্বকী হত্যার ঘটনায় আসামির দেওয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে ত্বকী হত্যায় ব্যবহৃত টর্চার সেল ও লাশ শনাক্ত হওয়া স্থান আসামি শাফায়েত হোসেন শিপনকে নিয়ে পরিদর্শন করেছে র‍্যাব-১১।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের আল্লামা ইকবাল রোড এলাকার আজমেরী ওসমানের তৎকালীন উইনার ফ্যাশন (টর্চার সেল) এবং শহরের চারার গোপ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী শাখা খাল (যেখানে ত্বকীর মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল) এলাকা পরিদর্শন করেন র‍্যাব সদস্যরা।

এ সময় র‍্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, ২০১৩ সালে ত্বকী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিন এই মামলার তদন্তভার র‍্যাবের হাতে রয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। তদন্তের শুরুতে এর অগ্রগতি ছিল। মাঝখানে বেশ কয়েকদিন স্থবির থাকার পর মামলার তদন্ত আবারও শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, র‍্যাব হেডকোয়ার্টারের সহায়তা আমরা পাচ্ছি। তারা আমাদের ব্যাটালিয়নকে সহায়তা করছে। সম্প্রতি আমরা এ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছি। এর মধ্যে একজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি ও জিজ্ঞাসাবাদে আমরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। সেই তথ্য অনুযায়ী আমরা আজ এখানে এসেছি। তাকে যেখানে হত্যা করা হয় এবং যেখানে লাশ ফেলা হয়, আমরা সেইসব জায়গা তদন্তের স্বার্থে পরিদর্শন করছি। আশা করছি, আমরা খুব দ্রুত একটি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারব।

র‌্যাবের অধিনায়ক বলেন, যাকে (আসামি) আমরা নিয়ে এসেছি তিনি আটক আছেন এবং রিমান্ডে আছেন। তিনি আমাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করছেন। এখন পর্যন্ত আমরা যা জেনেছি, তিনি এ ঘটনায় সম্পৃক্ত। উইনার ফ্যাশনের (কলেজ রোডে) বিল্ডিংটি এখন আর নেই। তবে সে সময়কার তথ্য রয়েছে, সে সময়কার অফিসাররা নেই। তবে আমরা স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য নিচ্ছি। তার দেওয়া তথ্যের সঙ্গে স্থানীয়দের তথ্যের মিল পেয়েছি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ত্বকী হত্যার স্পট ও টর্চার সেলে আসামিকে নিয়ে পরিদর্শন

আপডেট সময় ০৮:০২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ত্বকী হত্যার ঘটনায় আসামির দেওয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে ত্বকী হত্যায় ব্যবহৃত টর্চার সেল ও লাশ শনাক্ত হওয়া স্থান আসামি শাফায়েত হোসেন শিপনকে নিয়ে পরিদর্শন করেছে র‍্যাব-১১।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের আল্লামা ইকবাল রোড এলাকার আজমেরী ওসমানের তৎকালীন উইনার ফ্যাশন (টর্চার সেল) এবং শহরের চারার গোপ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী শাখা খাল (যেখানে ত্বকীর মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল) এলাকা পরিদর্শন করেন র‍্যাব সদস্যরা।

এ সময় র‍্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, ২০১৩ সালে ত্বকী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিন এই মামলার তদন্তভার র‍্যাবের হাতে রয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। তদন্তের শুরুতে এর অগ্রগতি ছিল। মাঝখানে বেশ কয়েকদিন স্থবির থাকার পর মামলার তদন্ত আবারও শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, র‍্যাব হেডকোয়ার্টারের সহায়তা আমরা পাচ্ছি। তারা আমাদের ব্যাটালিয়নকে সহায়তা করছে। সম্প্রতি আমরা এ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছি। এর মধ্যে একজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি ও জিজ্ঞাসাবাদে আমরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। সেই তথ্য অনুযায়ী আমরা আজ এখানে এসেছি। তাকে যেখানে হত্যা করা হয় এবং যেখানে লাশ ফেলা হয়, আমরা সেইসব জায়গা তদন্তের স্বার্থে পরিদর্শন করছি। আশা করছি, আমরা খুব দ্রুত একটি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারব।

র‌্যাবের অধিনায়ক বলেন, যাকে (আসামি) আমরা নিয়ে এসেছি তিনি আটক আছেন এবং রিমান্ডে আছেন। তিনি আমাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করছেন। এখন পর্যন্ত আমরা যা জেনেছি, তিনি এ ঘটনায় সম্পৃক্ত। উইনার ফ্যাশনের (কলেজ রোডে) বিল্ডিংটি এখন আর নেই। তবে সে সময়কার তথ্য রয়েছে, সে সময়কার অফিসাররা নেই। তবে আমরা স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য নিচ্ছি। তার দেওয়া তথ্যের সঙ্গে স্থানীয়দের তথ্যের মিল পেয়েছি।