ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

এবারের আন্দোলন হবে চূড়ান্ত মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এবারে জনগণ যে আন্দোলন করবে তার লক্ষ্য একটাই, তা হচ্ছে- এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, সেই সঙ্গে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে এবং নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করে ওই নির্বাচন করতে হবে। এবারের আন্দোলন হবে চূড়ান্ত আন্দোলন।

গতকাল বুধবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রাত সোয়া ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই বৈঠক হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এই আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যুগপৎ আন্দোলন যারা করছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। সকল দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে শিগগিরই চূড়ান্ত কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করব। একটা কথা নিশ্চিত- এবারের যে আন্দোলন হবে তা চূড়ান্ত আন্দোলন। এবারে আন্দোলনে সব মানুষ সম্পৃক্ত হবে এবং জনগণ তার অধিকার আদায় করে নেবে। আরপিও সংশোধনীর বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার তার ক্ষমতাকে নিজের হাতে রাখা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাটাকে সম্পূর্ণরূপে করায়ত্ব করার জন্য ভোট বন্ধে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনী করেছে। এই সংশোধনী সম্পূর্ণরূপে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিপন্থী।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগের নির্বাচনগুলোতে কোনো অনিয়ম হলে নির্বাচন কমিশন ইচ্ছে করলে একটা এলাকার নির্বাচন বাতিল করতে পারত। সেখানে আবার পুনঃনির্বাচন ঘোষণা করতে পারত। এই সংশোধনীতে এই ব্যবস্থা রহিত করে সরকার আবারও প্রমাণ করল- তারা জোর করেই এবং তাদের মতো করেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চায়। জনগণকে পুরোপুরিভাবে হতাশ করতে চায়। জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চায়। এই ভোটের অধিকার হরণ করেই এই সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে।

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য যা যা করা দরকার আমরা তাই করব। আমরা একমত হয়েছি যে, বিএনপি আগামীতে যে কর্মসূচি ঘোষণা করবে আমরাও সেই কর্মসূচি পালন করব এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষে মির্জা ফখরুল ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে সমমনা জোটের পক্ষে ড. ফরহাদ ছাড়া জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি কুমার মন্ডল, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এমএন শাওন সাদেকী, বিকল্পধারা বাংলাদেশের একাংশের মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (একাংশের) ব্যারিস্টার নাসিম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

এবারের আন্দোলন হবে চূড়ান্ত মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৩:২৪:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এবারে জনগণ যে আন্দোলন করবে তার লক্ষ্য একটাই, তা হচ্ছে- এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, সেই সঙ্গে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে এবং নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করে ওই নির্বাচন করতে হবে। এবারের আন্দোলন হবে চূড়ান্ত আন্দোলন।

গতকাল বুধবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রাত সোয়া ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই বৈঠক হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এই আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যুগপৎ আন্দোলন যারা করছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। সকল দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে শিগগিরই চূড়ান্ত কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করব। একটা কথা নিশ্চিত- এবারের যে আন্দোলন হবে তা চূড়ান্ত আন্দোলন। এবারে আন্দোলনে সব মানুষ সম্পৃক্ত হবে এবং জনগণ তার অধিকার আদায় করে নেবে। আরপিও সংশোধনীর বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার তার ক্ষমতাকে নিজের হাতে রাখা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাটাকে সম্পূর্ণরূপে করায়ত্ব করার জন্য ভোট বন্ধে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনী করেছে। এই সংশোধনী সম্পূর্ণরূপে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিপন্থী।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগের নির্বাচনগুলোতে কোনো অনিয়ম হলে নির্বাচন কমিশন ইচ্ছে করলে একটা এলাকার নির্বাচন বাতিল করতে পারত। সেখানে আবার পুনঃনির্বাচন ঘোষণা করতে পারত। এই সংশোধনীতে এই ব্যবস্থা রহিত করে সরকার আবারও প্রমাণ করল- তারা জোর করেই এবং তাদের মতো করেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চায়। জনগণকে পুরোপুরিভাবে হতাশ করতে চায়। জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চায়। এই ভোটের অধিকার হরণ করেই এই সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে।

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য যা যা করা দরকার আমরা তাই করব। আমরা একমত হয়েছি যে, বিএনপি আগামীতে যে কর্মসূচি ঘোষণা করবে আমরাও সেই কর্মসূচি পালন করব এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষে মির্জা ফখরুল ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে সমমনা জোটের পক্ষে ড. ফরহাদ ছাড়া জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি কুমার মন্ডল, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এমএন শাওন সাদেকী, বিকল্পধারা বাংলাদেশের একাংশের মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (একাংশের) ব্যারিস্টার নাসিম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।