ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনকে ২ ভাগে বিভক্ত করার প্রতিবাদে বন্দরবাসীর আয়োজনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন Logo বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের Logo সোনারগাঁয়ে পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাস স্থাপন Logo বন্দরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় যুবকের আত্মসমর্পণ Logo সিদ্ধিরগঞ্জে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী আহত Logo সিদ্ধিরগঞ্জে হেরোইনসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার Logo জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: জনআকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা Logo জুলাই আমাদের আন্দোলনের প্রতীক, আগস্ট আমাদের বিজয়ের প্রত্যয় Logo অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে পদোন্নতি পেলেন সদর ইউএনও জাফর সাদিক, নতুন ইউএনও তাছলিমা শিরিন Logo ডিএনডির জলাবদ্ধতার নিরসনের দাবিতে জেলা প্রশাসককে গিয়াসউদ্দিনের স্মারকলিপি

সোনারগাঁয়ে পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাস স্থাপন

স্টাফ রিপোর্টারঃ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি এবং বিসমিল্লাহ এন এম জুলফিকার ফাউন্ডেশন।

৪ আগস্ট সোমবার দুপুরে সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন (সোনারগাঁও জাদুঘর) প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় একটি পরিবেশবান্ধব কর্মসূচির। যেখানে গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি ঝুলিয়ে পাখিদের নিরাপদ বাসস্থান বা ‘নিবাস’ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলম।

তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন— “এই মহৎ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আজ যখন শহর ও গ্রামে পাখিরা বসবাসের জায়গা হারাচ্ছে, তখন এমন প্রকল্প পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যতের জন্য আলোর পথ দেখাবে। শুধু এই হাঁড়িগুলো ঝুলিয়ে দিলেই হবে না, আমাদের সকলেরই দায়িত্ব পাখিদের নিরাপত্তা ও স্বস্তিকর পরিবেশ নিশ্চিত করা। সোসাইটির এই ব্যতিক্রমী চিন্তা ও বাস্তব উদ্যোগ সত্যিই অনুকরণীয়।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও জাদুঘরের উপ পরিচালক এ.কে.এম আজাদ সরকার।

আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন।

তিনি বলেন, “পাখি শুধু প্রকৃতির অলংকার নয়, তারা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু দিন দিন পাখির আবাসস্থল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের এই উদ্যোগ গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি টানিয়ে পাখিদের নিরাপদ নিবাস তৈরি। এটি একটি প্রতীকী নয়, কার্যকর সামাজিক আন্দোলন। আমরা চাই, এই আন্দোলন প্রতিটি গ্রাম, শহর, বিদ্যালয়, পার্ক ও প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ুক।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন মানব কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, “মানুষের পাশাপাশি প্রকৃতির প্রতিটি প্রাণীর বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। পাখি আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, যারা আমাদের পরিবেশকে সজীব ও ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। আজকের এই পাখি নিবাস কর্মসূচি শুধু একটি প্রতীকী উদ্যোগ নয়, এটি একটি মানবিক দায়বদ্ধতা। আমি মনে করি, যারা প্রকৃতির কথা ভাবে, তারাই প্রকৃত অর্থে মানবতার কথা ভাবে। পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির এই মহৎ কাজকে আমি আন্তরিকভাবে সাধুবাদ জানাই।”

এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির মহাসচিব মিযানুর রহমান, প্রতিবন্ধী শিশু ও যুব কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মহিন, বাংলাদেশ তথ্য ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোঃ শামীম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কাউসার আহমেদ, সাংবাদিক এমডি অনিক, কামরুল হাসান, মীমরাজ, খ্যাতিমান কবি ও সাহিত্যিক খন্দকার পনির, সোনারগাঁও যুব কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ফয়সাল আহমেদ, পরিবেশকর্মী আল আমিন, সিফাতসহ পরিবেশপ্রেমী ও তরুণ স্বেচ্ছাসেবকগণ।

উল্লেখ্য, এ ধরনের উদ্যোগ শুধু একটি কর্মসূচি নয়, এটি একটি সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রজন্ম গঠনের কার্যকর পদক্ষেপ। পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি আশা করছে, ভবিষ্যতে এই কর্মসূচি সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে এবং পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি পাবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনকে ২ ভাগে বিভক্ত করার প্রতিবাদে বন্দরবাসীর আয়োজনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

সোনারগাঁয়ে পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাস স্থাপন

আপডেট সময় ০৭:০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টারঃ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি এবং বিসমিল্লাহ এন এম জুলফিকার ফাউন্ডেশন।

৪ আগস্ট সোমবার দুপুরে সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন (সোনারগাঁও জাদুঘর) প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় একটি পরিবেশবান্ধব কর্মসূচির। যেখানে গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি ঝুলিয়ে পাখিদের নিরাপদ বাসস্থান বা ‘নিবাস’ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলম।

তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন— “এই মহৎ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আজ যখন শহর ও গ্রামে পাখিরা বসবাসের জায়গা হারাচ্ছে, তখন এমন প্রকল্প পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যতের জন্য আলোর পথ দেখাবে। শুধু এই হাঁড়িগুলো ঝুলিয়ে দিলেই হবে না, আমাদের সকলেরই দায়িত্ব পাখিদের নিরাপত্তা ও স্বস্তিকর পরিবেশ নিশ্চিত করা। সোসাইটির এই ব্যতিক্রমী চিন্তা ও বাস্তব উদ্যোগ সত্যিই অনুকরণীয়।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও জাদুঘরের উপ পরিচালক এ.কে.এম আজাদ সরকার।

আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন।

তিনি বলেন, “পাখি শুধু প্রকৃতির অলংকার নয়, তারা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু দিন দিন পাখির আবাসস্থল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের এই উদ্যোগ গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি টানিয়ে পাখিদের নিরাপদ নিবাস তৈরি। এটি একটি প্রতীকী নয়, কার্যকর সামাজিক আন্দোলন। আমরা চাই, এই আন্দোলন প্রতিটি গ্রাম, শহর, বিদ্যালয়, পার্ক ও প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ুক।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন মানব কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, “মানুষের পাশাপাশি প্রকৃতির প্রতিটি প্রাণীর বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। পাখি আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, যারা আমাদের পরিবেশকে সজীব ও ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। আজকের এই পাখি নিবাস কর্মসূচি শুধু একটি প্রতীকী উদ্যোগ নয়, এটি একটি মানবিক দায়বদ্ধতা। আমি মনে করি, যারা প্রকৃতির কথা ভাবে, তারাই প্রকৃত অর্থে মানবতার কথা ভাবে। পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির এই মহৎ কাজকে আমি আন্তরিকভাবে সাধুবাদ জানাই।”

এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির মহাসচিব মিযানুর রহমান, প্রতিবন্ধী শিশু ও যুব কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মহিন, বাংলাদেশ তথ্য ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোঃ শামীম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কাউসার আহমেদ, সাংবাদিক এমডি অনিক, কামরুল হাসান, মীমরাজ, খ্যাতিমান কবি ও সাহিত্যিক খন্দকার পনির, সোনারগাঁও যুব কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ফয়সাল আহমেদ, পরিবেশকর্মী আল আমিন, সিফাতসহ পরিবেশপ্রেমী ও তরুণ স্বেচ্ছাসেবকগণ।

উল্লেখ্য, এ ধরনের উদ্যোগ শুধু একটি কর্মসূচি নয়, এটি একটি সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রজন্ম গঠনের কার্যকর পদক্ষেপ। পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি আশা করছে, ভবিষ্যতে এই কর্মসূচি সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে এবং পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি পাবে।