ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ইরানে আবারও হামলার হুমকি ট্রাম্পের Logo জুলাই সনদ বাস্তবায়নে যে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হবে Logo চাঁদাবাজীর সংস্কৃতি রাজনীতিকে কলুষিত করছে Logo রূপগঞ্জ উপজেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভা আয়োজন করা হয়। Logo সোনারগাঁয়ে ‘পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি’র নামে প্রতারণা: কথিত চেয়ারম্যান হুসাইনকে ঘিরে বিতর্কের ঝড় Logo কিন্ডারগার্টেন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের দাবীতে মানববন্ধন Logo নারায়ণগঞ্জ শহরের যানজট নিরসনে জোরালো উদ্যোগ গ্রহণের দাবি ব্যবসায়ী সংগঠনের Logo র‌্যাবের পোশাকে রূপগঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মালামালসহ নগদ টাকা লুট Logo রূপগঞ্জে দেশীয় অস্ত্রসহ মাদক কারকারি ও ডাকাত দলের সদস্য গ্রেপ্তার Logo গ্রুপিং থাকতে পারে, ত্যাগী নেতাকর্মীরা যেন অবহেলিত না হয় : সাখাওয়াত

সোনারগাঁয়ে ‘পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি’র নামে প্রতারণা: কথিত চেয়ারম্যান হুসাইনকে ঘিরে বিতর্কের ঝড়

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সোনারগাঁয়ে ‘পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি’ নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এ সোসাইটির কথিত সোনারগাঁ শাখার চেয়ারম্যান মোঃ হোসাইনকে ঘিরে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্কের ঝড়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া পোস্টে তাকে “ভন্ড চেয়ারম্যান ও নীরব চাঁদাবাজ” হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। একটি পোস্টে সরাসরি লেখা হয়, সোনারগাঁয়ে এক ভন্ডার কাছে সকল নেতারা কট। হোসাইনও এক নীরব চাঁদাবাজ—গুলশানের রিয়াদ থেকে কোনো অংশে কম না।” এমন মন্তব্য ঘিরে স্থানীয় জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মোঃ হোসাইন নিজেকে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি-র সোনারগাঁ শাখার চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ফ্যাক্টরি ও দপ্তরে গিয়ে চাঁদা দাবি করছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিকবার ব্যবসায়ী ও কারখানা মালিকদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, তিনি রাজনৈতিক সুযোগসন্ধানী হিসেবেও পরিচিত। স্থানীয়রা বলছেন, “যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, হোসাইন তখনই সেই দলের ব্যানারে নিজেকে প্রভাবশালী হিসেবে তুলে ধরেন এবং শুরু করেন দালালি।

অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এই সংগঠনের আইনগত বৈধতা আসলে কী? আদৌ কি সোসাইটিটি সরকার অনুমোদিত, নাকি এটি কেবল একটি নামসর্বস্ব সংগঠন যার ব্যানারে প্রতারণা চালানো হচ্ছে?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় শিক্ষক বলেন, একটি ব্যক্তি যদি মিথ্যা পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে, আর প্রশাসন যদি নীরব থাকে, তাহলে প্রশ্ন উঠবে-এই নীরবতা কার স্বার্থ রক্ষায়।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, বিতর্কিত এই ব্যক্তির বিভিন্ন কর্মসূচিতে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতার সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, একটি বিতর্কিত ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়ে নেতারা কী বার্তা দিচ্ছেন? এর ফলে জনগণ কী শেখার বার্তা পাচ্ছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানে আবারও হামলার হুমকি ট্রাম্পের

সোনারগাঁয়ে ‘পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি’র নামে প্রতারণা: কথিত চেয়ারম্যান হুসাইনকে ঘিরে বিতর্কের ঝড়

আপডেট সময় ০৭:৩৩:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সোনারগাঁয়ে ‘পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি’ নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এ সোসাইটির কথিত সোনারগাঁ শাখার চেয়ারম্যান মোঃ হোসাইনকে ঘিরে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্কের ঝড়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া পোস্টে তাকে “ভন্ড চেয়ারম্যান ও নীরব চাঁদাবাজ” হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। একটি পোস্টে সরাসরি লেখা হয়, সোনারগাঁয়ে এক ভন্ডার কাছে সকল নেতারা কট। হোসাইনও এক নীরব চাঁদাবাজ—গুলশানের রিয়াদ থেকে কোনো অংশে কম না।” এমন মন্তব্য ঘিরে স্থানীয় জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মোঃ হোসাইন নিজেকে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি-র সোনারগাঁ শাখার চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ফ্যাক্টরি ও দপ্তরে গিয়ে চাঁদা দাবি করছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিকবার ব্যবসায়ী ও কারখানা মালিকদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, তিনি রাজনৈতিক সুযোগসন্ধানী হিসেবেও পরিচিত। স্থানীয়রা বলছেন, “যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, হোসাইন তখনই সেই দলের ব্যানারে নিজেকে প্রভাবশালী হিসেবে তুলে ধরেন এবং শুরু করেন দালালি।

অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এই সংগঠনের আইনগত বৈধতা আসলে কী? আদৌ কি সোসাইটিটি সরকার অনুমোদিত, নাকি এটি কেবল একটি নামসর্বস্ব সংগঠন যার ব্যানারে প্রতারণা চালানো হচ্ছে?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় শিক্ষক বলেন, একটি ব্যক্তি যদি মিথ্যা পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে, আর প্রশাসন যদি নীরব থাকে, তাহলে প্রশ্ন উঠবে-এই নীরবতা কার স্বার্থ রক্ষায়।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, বিতর্কিত এই ব্যক্তির বিভিন্ন কর্মসূচিতে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতার সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, একটি বিতর্কিত ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়ে নেতারা কী বার্তা দিচ্ছেন? এর ফলে জনগণ কী শেখার বার্তা পাচ্ছে।