ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মেসির নতুন ঠিকানা ইন্টার মিয়ামি

লিওনেল মেসি পিএসজি ছাড়ার পর বার্সেলোনায় ফেরার একটা জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। একই সঙ্গে শোনা যাচ্ছিল সাউদী ক্লাব আল হিলালের নাম। তবে মেসিকে পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি বার্সার আর আল হিলালের। ফুটবল বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে সুদীর্ঘ ইউরোপের ফুটবল অধ্যায় শেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে যাচ্ছেন আর্জেন্টাইন তারকা। মেসির ফেরার রাস্তা তৈরি করার জন্য বার্সাকে খেলোয়াড় বিক্রি করতে হতো এবং অনেক খেলোয়াড়ের বেতন কমানো জরুরি ছিলো। এমনটা চাননি ৭ বারের ব্যালন ডি-অর জয়ী তারকা।
মেসি প্রতি বছর ৫০ মিলিয়ন ডলার বেতন পাবেন মিয়ামিতে। তাছাড়া ক্লাবটির সাথে অ্যাপল ও অ্যাডিডাসের চুক্তির যে প্রফিট তা শেয়ার করা হবে আর্জেন্টিয়ান তারকার সথে। একই সঙ্গে সিজন টিকেটের প্রফিটও শেয়ার করা হবে। আল হিলালে আর্থিকভাবে এর চেয়ে কিছু বেশি পেতেন তিনি। তবে মেসি সম্ভবত নিজের পরিবার নিয়ে সাউদীতে বাস করতে চাননি। যুক্তরাষ্ট্র তাদের জন্য আরও ভালো অপশন। এই সিধান্তে তাঁর স্ত্রীরও একটা বড় ভূমিকা ছিল। বার্সেলোনা তাদের বাড়ি, সেটা সবসময়েই তারা বলেছেন। তবে মেসি পুরোপুরি অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রই তাদের ঠিকানা। আর তিন বছর পর এখানেই পরের বিশ্বকাপ, এটাও হয়তো মেসির এই সিদ্ধান্তে কিছুটা ভূমিকা রেখেছে।
বার্সেলোনায় ফিরতে তিনি বেশ আগ্রহী ছিলেন, কিন্তু ব্যাটে-বলে না মেলায় সেটি আর হলো না। তার জন্য যেন অন্য কাউকে মূল্য না চুকাতে হয় সেটি নিশ্চিত করেছেন মেসি। স্পেনের দুটি ক্রীড়া পত্রিকা মুন্দো দেপোর্তিভো ও স্পোর্তকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি জানান, ‘আমি জানতে পেরেছি যে আমি যদি বার্সায় ফিরতে চাই তাহলে তাদের কয়েক জন খেলোয়াড় বিক্রি করতে হবে। কয়েকজনের বেতনও কমাতে হবে। আমি কখনোই এমন কিছু চাই না। ভেবেছিলাম এবার ফিরতে পারলে সবাইকে সাথে নিয়ে বিদায় বলতে পারব ফুটবলকে। কিন্তু সেটি এখন আর সম্ভব নয়। সাউদী থেকে আমার কাছে অনেক টাকার প্রস্তাব ছিলো। তবে পরিবারকে আরো বেশি সময় দেওয়ার জন্যই আমি যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নিয়েছি।’
তবে বার্সেলোনায় না হলেও ইউরোপের অন্য অনেক ক্লাবের প্রস্তাব ছিলো মেসির কাছে। তিনি সেগুলোর কোনোটি বেছে নেননি শুধুমাত্র বার্সেলোনার কথা ভেবেই, ‘আমি ইউরোপে খেললে শুধু বার্সার জন্যই খেলতাম। অন্য ক্লাব থেকেও প্রস্তাব ছিলো, কিন্তু ইউরোপে আমার একমাত্র বার্সার জন্যই থাকা হতো।’
মেসির ফুটবল থেকে অবসরের এটা শুরুর ধাপ। তিনি আর্জেন্টিনার হয়ে আরও কিছুদিন খলা চালিয়ে যাবেন। পরের কোপা খেলবেন এমনকি হয়তো খেলবেন বিশ্বকাপও। মেজর লিগে ইউরোপের মতো চাপ থাকবে না নিশ্চিতভাবেই। অন্যদিকে লিগে তাঁর নতুন ক্লাব মিয়ামির অবস্থা ভালো নয়, এবার শেষ করেছে তলানিতে। তাদেরকে সেখান থেকে উঠিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ আছে মেসির সামনে।

ক্যাপশন : গতবছর ইন্টার মিয়ামির আমন্ত্রণে আমেরিকা সফর করেছিল আর্জেন্টিনা। কে জানতো বছর না ঘুরতেই বিশ্বসেরা ফুটবলারই হয়ে যাচ্ছেন তাদের ঘরের ছেলে?-টুইটার

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

মেসির নতুন ঠিকানা ইন্টার মিয়ামি

আপডেট সময় ০৪:২০:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩

লিওনেল মেসি পিএসজি ছাড়ার পর বার্সেলোনায় ফেরার একটা জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। একই সঙ্গে শোনা যাচ্ছিল সাউদী ক্লাব আল হিলালের নাম। তবে মেসিকে পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি বার্সার আর আল হিলালের। ফুটবল বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে সুদীর্ঘ ইউরোপের ফুটবল অধ্যায় শেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে যাচ্ছেন আর্জেন্টাইন তারকা। মেসির ফেরার রাস্তা তৈরি করার জন্য বার্সাকে খেলোয়াড় বিক্রি করতে হতো এবং অনেক খেলোয়াড়ের বেতন কমানো জরুরি ছিলো। এমনটা চাননি ৭ বারের ব্যালন ডি-অর জয়ী তারকা।
মেসি প্রতি বছর ৫০ মিলিয়ন ডলার বেতন পাবেন মিয়ামিতে। তাছাড়া ক্লাবটির সাথে অ্যাপল ও অ্যাডিডাসের চুক্তির যে প্রফিট তা শেয়ার করা হবে আর্জেন্টিয়ান তারকার সথে। একই সঙ্গে সিজন টিকেটের প্রফিটও শেয়ার করা হবে। আল হিলালে আর্থিকভাবে এর চেয়ে কিছু বেশি পেতেন তিনি। তবে মেসি সম্ভবত নিজের পরিবার নিয়ে সাউদীতে বাস করতে চাননি। যুক্তরাষ্ট্র তাদের জন্য আরও ভালো অপশন। এই সিধান্তে তাঁর স্ত্রীরও একটা বড় ভূমিকা ছিল। বার্সেলোনা তাদের বাড়ি, সেটা সবসময়েই তারা বলেছেন। তবে মেসি পুরোপুরি অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রই তাদের ঠিকানা। আর তিন বছর পর এখানেই পরের বিশ্বকাপ, এটাও হয়তো মেসির এই সিদ্ধান্তে কিছুটা ভূমিকা রেখেছে।
বার্সেলোনায় ফিরতে তিনি বেশ আগ্রহী ছিলেন, কিন্তু ব্যাটে-বলে না মেলায় সেটি আর হলো না। তার জন্য যেন অন্য কাউকে মূল্য না চুকাতে হয় সেটি নিশ্চিত করেছেন মেসি। স্পেনের দুটি ক্রীড়া পত্রিকা মুন্দো দেপোর্তিভো ও স্পোর্তকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি জানান, ‘আমি জানতে পেরেছি যে আমি যদি বার্সায় ফিরতে চাই তাহলে তাদের কয়েক জন খেলোয়াড় বিক্রি করতে হবে। কয়েকজনের বেতনও কমাতে হবে। আমি কখনোই এমন কিছু চাই না। ভেবেছিলাম এবার ফিরতে পারলে সবাইকে সাথে নিয়ে বিদায় বলতে পারব ফুটবলকে। কিন্তু সেটি এখন আর সম্ভব নয়। সাউদী থেকে আমার কাছে অনেক টাকার প্রস্তাব ছিলো। তবে পরিবারকে আরো বেশি সময় দেওয়ার জন্যই আমি যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নিয়েছি।’
তবে বার্সেলোনায় না হলেও ইউরোপের অন্য অনেক ক্লাবের প্রস্তাব ছিলো মেসির কাছে। তিনি সেগুলোর কোনোটি বেছে নেননি শুধুমাত্র বার্সেলোনার কথা ভেবেই, ‘আমি ইউরোপে খেললে শুধু বার্সার জন্যই খেলতাম। অন্য ক্লাব থেকেও প্রস্তাব ছিলো, কিন্তু ইউরোপে আমার একমাত্র বার্সার জন্যই থাকা হতো।’
মেসির ফুটবল থেকে অবসরের এটা শুরুর ধাপ। তিনি আর্জেন্টিনার হয়ে আরও কিছুদিন খলা চালিয়ে যাবেন। পরের কোপা খেলবেন এমনকি হয়তো খেলবেন বিশ্বকাপও। মেজর লিগে ইউরোপের মতো চাপ থাকবে না নিশ্চিতভাবেই। অন্যদিকে লিগে তাঁর নতুন ক্লাব মিয়ামির অবস্থা ভালো নয়, এবার শেষ করেছে তলানিতে। তাদেরকে সেখান থেকে উঠিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ আছে মেসির সামনে।

ক্যাপশন : গতবছর ইন্টার মিয়ামির আমন্ত্রণে আমেরিকা সফর করেছিল আর্জেন্টিনা। কে জানতো বছর না ঘুরতেই বিশ্বসেরা ফুটবলারই হয়ে যাচ্ছেন তাদের ঘরের ছেলে?-টুইটার