ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জে গোডাউনের অভাব, পেলেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত কমিশন

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রায় সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এখনো ব্যালট ও নির্বাচনী সামগ্রী সংরক্ষণের জন্য নির্ধারিত গোডাউনের অভাব রয়ে গেছে।

এই ঘাটতি পূরণ হলেই পুরোপুরি প্রস্তুত থাকবে কমিশন।
জেলা নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. রাকিবুজ্জামান (রেনু) জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। এখন শুধু কেন্দ্রীয় নির্দেশনার অপেক্ষা। নির্বাচনের যাবতীয় কাজ করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।

তবে বড় একটি সমস্যার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনী সামগ্রী বিশেষ করে ব্যালট বাক্স ও কাগজ রাখার জন্য একটি নিরাপদ গোডাউন দরকার, যা এখনও আমরা পাইনি। জেলা প্রশাসককে এই বিষয়ে কমিশন থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কোনো স্থানে যদি সুরক্ষিতভাবে ব্যালট না রাখা যায়, তাহলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। একটি ব্যালট বাক্স হারিয়ে গেলেও পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর দোষ বর্তায়। তাই নিরাপদ সংরক্ষণের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান অত্যন্ত জরুরি।

তবে তিনি আশ্বস্ত করেন, লোকবল, ল্যাপটপসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের টিমও সম্পূর্ণ প্রস্তুত। পরিবেশের দিক থেকেও আমরা কোনো বড় ধরনের হুমকি দেখছি না।

এদিকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বাংলানিউজকে বলেন, সংকট থাকলে আমরা ব্যালট রাখার জন্য রুম ফাঁকা করে দেব। আমাদের একটি রেকর্ড রুম রয়েছে, প্রয়োজনে সেখানেই ব্যবস্থা করা যাবে। কমিশনের চিঠির ব্যাপারটি শুনেছি। সম্ভব হলে আমরা ওপরতলায়ও একটি রুম তৈরি করে দেব।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

নারায়ণগঞ্জে গোডাউনের অভাব, পেলেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত কমিশন

আপডেট সময় ০১:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রায় সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এখনো ব্যালট ও নির্বাচনী সামগ্রী সংরক্ষণের জন্য নির্ধারিত গোডাউনের অভাব রয়ে গেছে।

এই ঘাটতি পূরণ হলেই পুরোপুরি প্রস্তুত থাকবে কমিশন।
জেলা নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. রাকিবুজ্জামান (রেনু) জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। এখন শুধু কেন্দ্রীয় নির্দেশনার অপেক্ষা। নির্বাচনের যাবতীয় কাজ করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।

তবে বড় একটি সমস্যার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনী সামগ্রী বিশেষ করে ব্যালট বাক্স ও কাগজ রাখার জন্য একটি নিরাপদ গোডাউন দরকার, যা এখনও আমরা পাইনি। জেলা প্রশাসককে এই বিষয়ে কমিশন থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কোনো স্থানে যদি সুরক্ষিতভাবে ব্যালট না রাখা যায়, তাহলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। একটি ব্যালট বাক্স হারিয়ে গেলেও পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর দোষ বর্তায়। তাই নিরাপদ সংরক্ষণের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান অত্যন্ত জরুরি।

তবে তিনি আশ্বস্ত করেন, লোকবল, ল্যাপটপসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের টিমও সম্পূর্ণ প্রস্তুত। পরিবেশের দিক থেকেও আমরা কোনো বড় ধরনের হুমকি দেখছি না।

এদিকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বাংলানিউজকে বলেন, সংকট থাকলে আমরা ব্যালট রাখার জন্য রুম ফাঁকা করে দেব। আমাদের একটি রেকর্ড রুম রয়েছে, প্রয়োজনে সেখানেই ব্যবস্থা করা যাবে। কমিশনের চিঠির ব্যাপারটি শুনেছি। সম্ভব হলে আমরা ওপরতলায়ও একটি রুম তৈরি করে দেব।