ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাসিক নির্বাচনে আ. লীগ জাপা ও ইশার প্রার্থী ঘোষণা

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী হিসাবে বর্তমান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নাম উচ্চারিত হলেও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন প্রার্থী হিসাবে মওলানা মুরশীদ আলম ফারুকীকে মনোনয়ন দেয়। এরই মধ্যে জাতীয় পাটি সাইফুল ইসলাম স্বপনকে তাদের প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে বিএনপি নির্বাচনে যাবেনা এমন কঠোর ঘোষণার পর হঠাৎ করে সাবেক ছাত্রদল নেতা ব্যবসায়ী সাহিদ হাসান প্রার্থী হবার ঘোষণা দেয়ায় নির্বাচনী মাঠে ভিন্নমাত্রা দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত লিটন অপ্রতিরোধ্য হলেও হঠাৎ করে বিএনপির সাবেক নেতা সাহিদ হাসান প্রার্থী হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে আওয়ামী লীগ। তাহলে কি ঘোমটার আড়ালে প্রার্থী দিচ্ছে। আলোচনা হচ্ছে সাইদ হাসান বিএনপির ডাক সাইটে নেতা সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফার ছোট ভাই। নাদিম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্টজন বলে পরিচিত।
পাশপাশি আওয়ামী লীগের কোন্দলের জের ধরে লিটনকে সাইজ করার জন্য তারা সাইদকে প্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছে। প্রচারণা রয়েছে এর আগে একজন প্রবীণ নেতাকে লিটনের বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করানোর চেষ্টা হলেও তিনি রাজী হননি। নানা কারনে আওয়ামী লীগের মহানগর সেক্রেটারী ডাবলু সরকারের সাথে একটা শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছে। কজন এমপিও নীরব রয়েছে। তারা মিলেমিশে বিএনপি ঘারানার একজনকে লিটনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করাচ্ছে। বিএনপির সাবেক নেতা সাইদ হাসান নির্বাচনের ব্যাপারে সরাসরি নাকচ করেনি। তিনি বলেন সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি। ফাঁকা মাঠেতো কাউকে গোল দিতে দেয়া যায়না। এখনো তো সময় আছে। নির্বাচন করলে সবাই জানতে পারবেন।
বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সঠিক হয়নি। আর হবেও না। বিএনপি কোন পর্যায়ে নির্বাচনে অংশ নেয়নি আর নেবেনা। আমরা তত্বাবধায়ক সরকার, খালেদা জিয়ার মুক্তি, মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার, দুনীতি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে আছি। অনেকেই সাইদ হাসানের প্রার্থী হওয়ার ঘোষনাকে ষ্ট্যান্ডবাজি বলে মন্তব্য করছেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের কথা হলো কে বা কারা আমার নাম জড়িয়ে প্রচার করছে। আমি নৌকার পক্ষের লোক। হাইকমান্ড যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তার পক্ষে কাজ করব। এ ব্যাপারে নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টুর কথা হলো ঘরের শত্রু বিভিষনের মত লিটন ভাইয়ের বিপক্ষে প্রার্থী হিসাবে একটা মোচা তৈরীর চেষ্টা করছে।
এতসব আলোচনার মধ্যেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্ভার। তিনি তার সময়কালের উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের বিষয়গুলো সামনে নিয়ে প্রচার প্রচারণা মত বিনিময় করছেন বিভিন্ন পেশা শ্রেণীর মানুষের সাথে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায় গত এক সপ্তাহে মেয়র পদে কেউ মনোনয়নপত্র না নিলেও ত্রিশটা ওয়ার্ডের জন্য কাউন্সিরর পদে সোয়া দুইশো জনের বেশি প্রার্থী মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এদের মধ্যে আগের কাউন্সিলর প্রার্থীসহ নতুন মুখও রয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

রাসিক নির্বাচনে আ. লীগ জাপা ও ইশার প্রার্থী ঘোষণা

আপডেট সময় ০৪:৪৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী হিসাবে বর্তমান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নাম উচ্চারিত হলেও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন প্রার্থী হিসাবে মওলানা মুরশীদ আলম ফারুকীকে মনোনয়ন দেয়। এরই মধ্যে জাতীয় পাটি সাইফুল ইসলাম স্বপনকে তাদের প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে বিএনপি নির্বাচনে যাবেনা এমন কঠোর ঘোষণার পর হঠাৎ করে সাবেক ছাত্রদল নেতা ব্যবসায়ী সাহিদ হাসান প্রার্থী হবার ঘোষণা দেয়ায় নির্বাচনী মাঠে ভিন্নমাত্রা দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত লিটন অপ্রতিরোধ্য হলেও হঠাৎ করে বিএনপির সাবেক নেতা সাহিদ হাসান প্রার্থী হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে আওয়ামী লীগ। তাহলে কি ঘোমটার আড়ালে প্রার্থী দিচ্ছে। আলোচনা হচ্ছে সাইদ হাসান বিএনপির ডাক সাইটে নেতা সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফার ছোট ভাই। নাদিম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্টজন বলে পরিচিত।
পাশপাশি আওয়ামী লীগের কোন্দলের জের ধরে লিটনকে সাইজ করার জন্য তারা সাইদকে প্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছে। প্রচারণা রয়েছে এর আগে একজন প্রবীণ নেতাকে লিটনের বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করানোর চেষ্টা হলেও তিনি রাজী হননি। নানা কারনে আওয়ামী লীগের মহানগর সেক্রেটারী ডাবলু সরকারের সাথে একটা শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছে। কজন এমপিও নীরব রয়েছে। তারা মিলেমিশে বিএনপি ঘারানার একজনকে লিটনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করাচ্ছে। বিএনপির সাবেক নেতা সাইদ হাসান নির্বাচনের ব্যাপারে সরাসরি নাকচ করেনি। তিনি বলেন সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি। ফাঁকা মাঠেতো কাউকে গোল দিতে দেয়া যায়না। এখনো তো সময় আছে। নির্বাচন করলে সবাই জানতে পারবেন।
বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সঠিক হয়নি। আর হবেও না। বিএনপি কোন পর্যায়ে নির্বাচনে অংশ নেয়নি আর নেবেনা। আমরা তত্বাবধায়ক সরকার, খালেদা জিয়ার মুক্তি, মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার, দুনীতি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে আছি। অনেকেই সাইদ হাসানের প্রার্থী হওয়ার ঘোষনাকে ষ্ট্যান্ডবাজি বলে মন্তব্য করছেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের কথা হলো কে বা কারা আমার নাম জড়িয়ে প্রচার করছে। আমি নৌকার পক্ষের লোক। হাইকমান্ড যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তার পক্ষে কাজ করব। এ ব্যাপারে নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টুর কথা হলো ঘরের শত্রু বিভিষনের মত লিটন ভাইয়ের বিপক্ষে প্রার্থী হিসাবে একটা মোচা তৈরীর চেষ্টা করছে।
এতসব আলোচনার মধ্যেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্ভার। তিনি তার সময়কালের উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের বিষয়গুলো সামনে নিয়ে প্রচার প্রচারণা মত বিনিময় করছেন বিভিন্ন পেশা শ্রেণীর মানুষের সাথে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায় গত এক সপ্তাহে মেয়র পদে কেউ মনোনয়নপত্র না নিলেও ত্রিশটা ওয়ার্ডের জন্য কাউন্সিরর পদে সোয়া দুইশো জনের বেশি প্রার্থী মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এদের মধ্যে আগের কাউন্সিলর প্রার্থীসহ নতুন মুখও রয়েছে।