ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ফখরের শতকে পাকিস্তানের ৫০০

নিউজিল্যান্ডের হাতে ছিল পর্যাপ্ত উইকেট ও বল। একসময় মনে হচ্ছিল তিনশ ছোঁয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। এরপর নাসিম শাহ ও হারিস রউফদের বোলিং তোপে সেটা আর সম্ভব হয়নি। তবুও ড্যারেল মিচেলের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতকে ভর করে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৮৮ রানের লড়াকু পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। তবে ফখর জামানের এক রাজরসিক শতকে ম্লান হয়ে যায় মিচেলের ইনিংস। গতপরশু ৫ উইকেট ও ৯ বল হাতে রেখে জয় পাওয়ার দিনে পাকিস্তান স্পর্ষ করল অসামান্য এক মাইলফক। অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের পর তৃতীয় দল হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০০তম ম্যাচ জয়ের নজির গড়ল তারা।

রাওয়ালপিন্ডিতে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। চ্যাড বোওজকে নিয়ে ৪৮ রানের জুটি পান উইল ইয়ং। রউফ এসে ভাঙেন এই জুটি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মিচেলের সঙ্গে ইয়ং টেনে নিতে থাকেন দলকে। শতরানের জুটির পর ৭৮ বলে ৮৬ রান করা ইয়ংকে ফেরান শাদাব খান। অধিনায়ক ল্যাথাম এসে খুব একটা জমতে পারেননি, থিতু হয়েই উইকেট দেন শাহীন আফ্রিদিকে। টি-টোয়েন্টিতে ঝড় তোলা মার্ক চাপম্যান ওয়ানডেতে ছিলেন নিষ্প্রভ। মিচলের কাঁধেই পড়ে সব ভার। দলকে আড়াইশ পার করে থামেন তিনি। তবে তার আগে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ১১৫ বলে ১১৩ করেন মিচেল। শেষ দিকে স্বাগতিক বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে যথেষ্ট রান তুলতে পারেনি কিউইরা।

রান তাড়ায় নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় পাকিস্তান। ইমাম উল হককে নিয়ে ফখর ওপেনিং জুটিতে তুলে নেন ১২৪ রান। ২২তম ওভারে ইশ সোধির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন ৬০ রান করা ইমাম। এরপর অধিনায়ক বাবরকে নিয়ে জমে যায় ফখরের ছুটে চলা। বাবরও নেমেই ছিলেন চনমনে। এই জুটিতে আরও ৯৩ রান হওয়ার পর ফেরেন বাবর। মাত্র এক রানের জন্য ফিফটি পাওয়া হয়নি পাক কাপ্তানের।

শান মাসুদ এসে তড়িঘড়ি ফিরে গেলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে আরেকটি দ্রুত গতির জুটি পেয়ে যান ফখর। দলকে একদম কিনারে নিয়ে রাচীন রবীন্দ্রের শিকার হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তার আগে ১১৪ বলে ১১৭ রানের ইনিংসে ১৩ চারের সঙ্গে ১ ছক্কা হাঁকান। এটি ফখরের ক্যারিয়ারের নবম শতক। জানুয়ারিতে ঠিক আগের ওয়ানডেতেও তিনি পেয়েছিলেন তিন অংকের দেখা। প্রতিপক্ষ কে ছিল জানেন? এই নিউজিল্যান্ড। ফখরের পর সালমান ও নাওয়াজদের নিয়ে বাকি কাজ তেমন কোন সমস্যা ছাড়াই সেরে ফেলেন রিজওয়ান। এই কিপার-ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ৪২ রানে। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাবর আজমের দল।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

ফখরের শতকে পাকিস্তানের ৫০০

আপডেট সময় ০৩:৪৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

নিউজিল্যান্ডের হাতে ছিল পর্যাপ্ত উইকেট ও বল। একসময় মনে হচ্ছিল তিনশ ছোঁয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। এরপর নাসিম শাহ ও হারিস রউফদের বোলিং তোপে সেটা আর সম্ভব হয়নি। তবুও ড্যারেল মিচেলের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতকে ভর করে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৮৮ রানের লড়াকু পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। তবে ফখর জামানের এক রাজরসিক শতকে ম্লান হয়ে যায় মিচেলের ইনিংস। গতপরশু ৫ উইকেট ও ৯ বল হাতে রেখে জয় পাওয়ার দিনে পাকিস্তান স্পর্ষ করল অসামান্য এক মাইলফক। অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের পর তৃতীয় দল হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০০তম ম্যাচ জয়ের নজির গড়ল তারা।

রাওয়ালপিন্ডিতে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। চ্যাড বোওজকে নিয়ে ৪৮ রানের জুটি পান উইল ইয়ং। রউফ এসে ভাঙেন এই জুটি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মিচেলের সঙ্গে ইয়ং টেনে নিতে থাকেন দলকে। শতরানের জুটির পর ৭৮ বলে ৮৬ রান করা ইয়ংকে ফেরান শাদাব খান। অধিনায়ক ল্যাথাম এসে খুব একটা জমতে পারেননি, থিতু হয়েই উইকেট দেন শাহীন আফ্রিদিকে। টি-টোয়েন্টিতে ঝড় তোলা মার্ক চাপম্যান ওয়ানডেতে ছিলেন নিষ্প্রভ। মিচলের কাঁধেই পড়ে সব ভার। দলকে আড়াইশ পার করে থামেন তিনি। তবে তার আগে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ১১৫ বলে ১১৩ করেন মিচেল। শেষ দিকে স্বাগতিক বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে যথেষ্ট রান তুলতে পারেনি কিউইরা।

রান তাড়ায় নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় পাকিস্তান। ইমাম উল হককে নিয়ে ফখর ওপেনিং জুটিতে তুলে নেন ১২৪ রান। ২২তম ওভারে ইশ সোধির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন ৬০ রান করা ইমাম। এরপর অধিনায়ক বাবরকে নিয়ে জমে যায় ফখরের ছুটে চলা। বাবরও নেমেই ছিলেন চনমনে। এই জুটিতে আরও ৯৩ রান হওয়ার পর ফেরেন বাবর। মাত্র এক রানের জন্য ফিফটি পাওয়া হয়নি পাক কাপ্তানের।

শান মাসুদ এসে তড়িঘড়ি ফিরে গেলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে আরেকটি দ্রুত গতির জুটি পেয়ে যান ফখর। দলকে একদম কিনারে নিয়ে রাচীন রবীন্দ্রের শিকার হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তার আগে ১১৪ বলে ১১৭ রানের ইনিংসে ১৩ চারের সঙ্গে ১ ছক্কা হাঁকান। এটি ফখরের ক্যারিয়ারের নবম শতক। জানুয়ারিতে ঠিক আগের ওয়ানডেতেও তিনি পেয়েছিলেন তিন অংকের দেখা। প্রতিপক্ষ কে ছিল জানেন? এই নিউজিল্যান্ড। ফখরের পর সালমান ও নাওয়াজদের নিয়ে বাকি কাজ তেমন কোন সমস্যা ছাড়াই সেরে ফেলেন রিজওয়ান। এই কিপার-ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ৪২ রানে। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাবর আজমের দল।