ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে জানান কাঠমান্ডুগামী বিমানে বোমা Logo সোনারগাঁও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি গঠন Logo সোনারগাঁ পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন Logo মাকসুদ চেয়ারম্যানকে বন্দরের মাটিতে নির্বাচন করতে দিবো না : সাখাওয়াত Logo সাংবাদিক জিএম শহীদের অকাল মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রূপগঞ্জ সকল সাংবাদিকবৃন্দ Logo শহরে জেলা নৌ-যান শ্রমিক কর্মচারী দলের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জুলাই সনদ ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করতে হবে – মমিনুল হক সরকার Logo শাসনগাও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল জুতা ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ Logo ফরিদপুরের ভাঙ্গায় রাস্তা নয় যেন মরণ ফাঁদ Logo সন্ত্রাসের পুনর্বাসন ও ভয়ের সংস্কৃতি রাজনীতি: একটি জাতীয় সংকট
হোটেল বয় হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন সাইজদ্দিন।

হোটেল বয় থেকে কোটি টাকার মালিক সাইজদ্দিন মাতাবর

সিদ্ধিরগঞ্জের বার্মাস্টান্ড এলাকায় অবস্থিত পদ্মা ওয়েল কোম্পানীর (ডিপো)। যেখান থেকে সরবরাহকৃত বিমানের জ্বালানি তেল, অকটেন, ডিজেল চলে যাচ্ছে চোরাকারবারীদের আস্তানায়। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই তেল চুরির বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন হোটেল বয় সাইজদ্দিন। সাইজদ্দিনের প্রকাশ্যে চোরাই তেলের রমরমা ব্যবসা চললেও রহস্যজনক কারণে সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

ঘনিষ্ঠ সুত্রে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে মতলব থেকে কাজের সন্ধানে সিদ্ধিরগঞ্জে আসেন এই সাইজদ্দিন। শুরুর দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের বার্মা স্টার্ন্ড এলাকায় অবস্থিত পদ্মা অয়েল ডিপোর গেট সংলগ্ন একটি হোটেলে প্লেট ধোঁয়া ও দোকান পরিস্কার করার কাজ করতেন পেটে-ভাতে। যার কারণে দোকানদার তাকে কোনো পারিশ্রমিক দিতেন না। দীর্ঘদিন হোটেলে কাজ করার কারণে পরিচিতি বাড়তে থাকে স্থানীয়দের সাথে। তারই পেক্ষিতে হোটেলে বেশকিছু সময় কাজ করার সুবাদে স্থানীয় খালেক মিস্ত্রির সাথে পরিচয় হয় তার। যার ফলে হোটেলের কাজ ছেড়ে নতুন কাজ নেন খালেক মিস্ত্রির বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে। যেখানে তিনি নামমাত্র বেতনে কাজ করতেন। এরপর তিনি খালেক মিস্ত্রির বাড়ির কাজ ছেড়ে নতুন কাজ নেন এক স্থানীয় তেল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলীর তেলের গাড়ি দোয়াঁর। তারপর থেকেই আর সাইজদ্দিনের পিছনে ফিরে তাকাঁতে হয়নি।

স্থানীয়রা জানায়, মতলব থেকে এসে কোটি টাকার মালিক হয়ে সাইজদ্দিন থেকে হয়ে গেছেন সাইজদ্দিন মাতাবর। দারিদ্রতা থেকে স্বচ্ছল হতে নারায়ণগঞ্জে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু কিছু স্থানীয়দের ছত্রছায়ায় চোরাই তেলের রাজত্ব তৈরি করে হয়ে গেছেন কোটিপতি। প্রশাসনের চোখের আড়ালে এখনো চালিয়ে যাচ্ছে তার চোরাই তেলের সম্রাজ্য। এক প্রকার নিরব ভুমিকা পালন করছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন ট্যাং-লড়ি চালক বলেন, এক সময় এই সাইজদ্দিন আমাদের গাড়ি ধোঁয়ার কাজ করতেন। আমরা সারাদিন গাড়ি দিয়ে তেল ডেলিভারি করে মাঠে আসলে তিনি আমাদের গাড়ি পরিস্কার করতো ও কয়েক লিটার তেলের জন্য হা-হা-কার করতো। আর এখন তিনি কি আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে কোটি টাকার মালিক হয়ে গেল।

এবিষয়ে সাইজদ্দিন মাতাবরের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার মুটোফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।

এবিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) শাহিন আলম বলেন, সাইজুদ্দিন মাতাব্বরের ব্যাপারে আমি তেমন কিছু জানি না। কিন্তু শুনেছি তার কিছু তেলের পাম্প আছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে জানান কাঠমান্ডুগামী বিমানে বোমা

হোটেল বয় হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন সাইজদ্দিন।

হোটেল বয় থেকে কোটি টাকার মালিক সাইজদ্দিন মাতাবর

আপডেট সময় ১২:৪৪:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জের বার্মাস্টান্ড এলাকায় অবস্থিত পদ্মা ওয়েল কোম্পানীর (ডিপো)। যেখান থেকে সরবরাহকৃত বিমানের জ্বালানি তেল, অকটেন, ডিজেল চলে যাচ্ছে চোরাকারবারীদের আস্তানায়। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই তেল চুরির বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন হোটেল বয় সাইজদ্দিন। সাইজদ্দিনের প্রকাশ্যে চোরাই তেলের রমরমা ব্যবসা চললেও রহস্যজনক কারণে সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

ঘনিষ্ঠ সুত্রে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে মতলব থেকে কাজের সন্ধানে সিদ্ধিরগঞ্জে আসেন এই সাইজদ্দিন। শুরুর দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের বার্মা স্টার্ন্ড এলাকায় অবস্থিত পদ্মা অয়েল ডিপোর গেট সংলগ্ন একটি হোটেলে প্লেট ধোঁয়া ও দোকান পরিস্কার করার কাজ করতেন পেটে-ভাতে। যার কারণে দোকানদার তাকে কোনো পারিশ্রমিক দিতেন না। দীর্ঘদিন হোটেলে কাজ করার কারণে পরিচিতি বাড়তে থাকে স্থানীয়দের সাথে। তারই পেক্ষিতে হোটেলে বেশকিছু সময় কাজ করার সুবাদে স্থানীয় খালেক মিস্ত্রির সাথে পরিচয় হয় তার। যার ফলে হোটেলের কাজ ছেড়ে নতুন কাজ নেন খালেক মিস্ত্রির বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে। যেখানে তিনি নামমাত্র বেতনে কাজ করতেন। এরপর তিনি খালেক মিস্ত্রির বাড়ির কাজ ছেড়ে নতুন কাজ নেন এক স্থানীয় তেল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলীর তেলের গাড়ি দোয়াঁর। তারপর থেকেই আর সাইজদ্দিনের পিছনে ফিরে তাকাঁতে হয়নি।

স্থানীয়রা জানায়, মতলব থেকে এসে কোটি টাকার মালিক হয়ে সাইজদ্দিন থেকে হয়ে গেছেন সাইজদ্দিন মাতাবর। দারিদ্রতা থেকে স্বচ্ছল হতে নারায়ণগঞ্জে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু কিছু স্থানীয়দের ছত্রছায়ায় চোরাই তেলের রাজত্ব তৈরি করে হয়ে গেছেন কোটিপতি। প্রশাসনের চোখের আড়ালে এখনো চালিয়ে যাচ্ছে তার চোরাই তেলের সম্রাজ্য। এক প্রকার নিরব ভুমিকা পালন করছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন ট্যাং-লড়ি চালক বলেন, এক সময় এই সাইজদ্দিন আমাদের গাড়ি ধোঁয়ার কাজ করতেন। আমরা সারাদিন গাড়ি দিয়ে তেল ডেলিভারি করে মাঠে আসলে তিনি আমাদের গাড়ি পরিস্কার করতো ও কয়েক লিটার তেলের জন্য হা-হা-কার করতো। আর এখন তিনি কি আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে কোটি টাকার মালিক হয়ে গেল।

এবিষয়ে সাইজদ্দিন মাতাবরের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার মুটোফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।

এবিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) শাহিন আলম বলেন, সাইজুদ্দিন মাতাব্বরের ব্যাপারে আমি তেমন কিছু জানি না। কিন্তু শুনেছি তার কিছু তেলের পাম্প আছে।