ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অধ্যাপক আলিয়ার হোসেনের চাচাতো ভাই আলহাজ্ব মাজহার হোসেন মাজ্জুম ইন্তেকাল করেছেন Logo সকল প্রার্থীর চেয়ে গ্রহনযোগ্যতায় এগিয়ে: নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে কান্ডারি হতে চান প্রফেসর আলিয়ার! Logo একপেশে লড়াইয়ে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিলো ভারত Logo মা-বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ফরিদা পারভীন Logo নারায়ণগঞ্জে জনদাবিতে রূপ নিয়েছে মেট্রোরেল Logo সিদ্ধিরগঞ্জে আবাসিক হোটেলে পুলিশের অভিযান, আটক ৮ Logo আড়াইহাজারে ইয়াবাসহ নারী মাদক কারবারি গ্রেপ্তার Logo ফতুল্লায় গাড়ির ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু Logo মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা: রূপগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায়ে এক মাদকাসক্তের কারাদণ্ড Logo নারায়নগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা আশার রোগ মুক্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত

মুসলমানরা যেভাবে প্রতিদিন পাঁচবার ইহুদিদের অভিসম্পাত করে

মহান আল্লাহ ইহুদিদের মাঝে বহু নবী-রসুল পাঠিয়েছেন। তাদেরকে আসমানি কিতাবও দিয়েছেন। তাই তাদের বলা হয় আহলে কিতাব। কিয়ামতের আগে ইহুদিদের বিরুদ্ধে মুসলিমরা যুদ্ধ করবে। এ যুদ্ধে গারকাদ গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে। ইহুদিদের বৈশিষ্ট্য হল- সত্য গোপন করা, নবীদের বিরুদ্ধাচারণ করা, মুসলমানদের প্রতি চরম বিদ্বেষ পোষণ করা।

ইহুদিদের বৈশিষ্ট্য হল- সত্য গোপন করা, নবীদের বিরুদ্ধাচারণ করা, মুসলমানদের প্রতি চরম বিদ্বেষ পোষণ করা।

হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যে পর্যন্ত মুসলিমরা ইহুদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করবে। এমনকি ইহুদি পাথর ও গাছের আড়ালে আত্মগোপন করলে পাথর ও গাছ বলবে, হে মুসলিম! আমার পিছনে ইহুদি রয়েছে। এসো, ওকে হত্যা করো। কিন্তু গারকাদ গাছ এরূপ বলবে না। কেন না এটা ইহুদিদের গাছ। (বুখারি: ২৯২৬)

ইহুদিরা ফিলিস্তিন সীমান্তে গারকাদ গাছ লাগাতে শুরু করেছে। তারা কোরআন-হাদিস গবেষণা করে। তারা জানে এটা তাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল হবে। ওই যুদ্ধে ইহুদিদের বিরুদ্ধে মহান আল্লাহ জড় পদার্থগুলোকেও বাকশক্তি দান করবেন। তারাও ইহুদিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে।

কোরআনে ইহুদিদের আলোচনা

পবিত্র কোরআনের প্রথম সুরা ফাতেহা। আমরা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে তেলাওয়াত করি।

اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ، صِرَاطَ الَّذِيْنَ اَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَ لَا الضَّآلِّيْنَ

অর্থ: (হে আল্লাহ!) আমাদের সরল পথে পরিচালিত করো। সেই সকল লোকের পথে, যাদের প্রতি তুমি অনুগ্রহ করেছো। ওই সকল লোকের পথে নয়, যাদের প্রতি গজব নাজিল হয়েছে এবং তাদের পথেও নয়, যারা পথহারা। (সুরা ফাতিহা, আয়াত: ৫-৭)

এখানে الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ ‘যাদের প্রতি গজব নাজিল হয়েছে’ বলে যে জাতিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে, তারা হলো ইহুদি জাতি। এদের থেকেই আমরা প্রতি নামাজের প্রতি রাকাতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। ইহুদিরা হচ্ছে সত্য জানার পরও হঠকারিতা ও বিদ্বেষবশত তা গ্রহণ করেনি। উপর্যুপরি বিদ্বেষ ও হঠকারিতার কারণে তাদের ওপর আল্লাহর গজব নাজিল হয়েছে।

মহান আল্লাহর কুদরত, নিয়ামত ও শাস্তি সরাসরি দেখার পরও তারা শিক্ষা গ্রহণ করেনি। বরং নিজেদের অন্যায়-অনাচার ও দুশ্চরিত্রের ফলে মহান আল্লাহর রহমত থেকে ছিটকে পড়েছে। কুফর, শিরক, অন্যায়-অনাচারে তারা সকল সীমা অতিক্রম করেছে। বহু নবীকে তারা হত্যা করেছে।

যাদের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যই হল- সত্য গোপন করা, নবীদের বিরুদ্ধাচারণ করা, বিশেষত ইসলাম ও ইসলামের নবী এবং মুসলমানদের প্রতি চরম বিদ্বেষ পোষণ করা, ইসলামের বিরুদ্ধে কঠিন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকা, ওয়াদা ও চুক্তিভঙ্গ করা, বিশ্বাসঘাতকতা, খেয়ানত ও গাদ্দারি, খুনখারাবি, পৃথিবীতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি, যুদ্ধ-বিগ্রহ জিইয়ে রাখা, অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ গ্রাস করাসহ এমন হেন অপরাধ নেই, যা তারা করেনি বা করছে না!

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

অধ্যাপক আলিয়ার হোসেনের চাচাতো ভাই আলহাজ্ব মাজহার হোসেন মাজ্জুম ইন্তেকাল করেছেন

মুসলমানরা যেভাবে প্রতিদিন পাঁচবার ইহুদিদের অভিসম্পাত করে

আপডেট সময় ০১:০৮:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

মহান আল্লাহ ইহুদিদের মাঝে বহু নবী-রসুল পাঠিয়েছেন। তাদেরকে আসমানি কিতাবও দিয়েছেন। তাই তাদের বলা হয় আহলে কিতাব। কিয়ামতের আগে ইহুদিদের বিরুদ্ধে মুসলিমরা যুদ্ধ করবে। এ যুদ্ধে গারকাদ গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে। ইহুদিদের বৈশিষ্ট্য হল- সত্য গোপন করা, নবীদের বিরুদ্ধাচারণ করা, মুসলমানদের প্রতি চরম বিদ্বেষ পোষণ করা।

ইহুদিদের বৈশিষ্ট্য হল- সত্য গোপন করা, নবীদের বিরুদ্ধাচারণ করা, মুসলমানদের প্রতি চরম বিদ্বেষ পোষণ করা।

হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যে পর্যন্ত মুসলিমরা ইহুদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করবে। এমনকি ইহুদি পাথর ও গাছের আড়ালে আত্মগোপন করলে পাথর ও গাছ বলবে, হে মুসলিম! আমার পিছনে ইহুদি রয়েছে। এসো, ওকে হত্যা করো। কিন্তু গারকাদ গাছ এরূপ বলবে না। কেন না এটা ইহুদিদের গাছ। (বুখারি: ২৯২৬)

ইহুদিরা ফিলিস্তিন সীমান্তে গারকাদ গাছ লাগাতে শুরু করেছে। তারা কোরআন-হাদিস গবেষণা করে। তারা জানে এটা তাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল হবে। ওই যুদ্ধে ইহুদিদের বিরুদ্ধে মহান আল্লাহ জড় পদার্থগুলোকেও বাকশক্তি দান করবেন। তারাও ইহুদিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে।

কোরআনে ইহুদিদের আলোচনা

পবিত্র কোরআনের প্রথম সুরা ফাতেহা। আমরা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে তেলাওয়াত করি।

اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ، صِرَاطَ الَّذِيْنَ اَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَ لَا الضَّآلِّيْنَ

অর্থ: (হে আল্লাহ!) আমাদের সরল পথে পরিচালিত করো। সেই সকল লোকের পথে, যাদের প্রতি তুমি অনুগ্রহ করেছো। ওই সকল লোকের পথে নয়, যাদের প্রতি গজব নাজিল হয়েছে এবং তাদের পথেও নয়, যারা পথহারা। (সুরা ফাতিহা, আয়াত: ৫-৭)

এখানে الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ ‘যাদের প্রতি গজব নাজিল হয়েছে’ বলে যে জাতিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে, তারা হলো ইহুদি জাতি। এদের থেকেই আমরা প্রতি নামাজের প্রতি রাকাতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। ইহুদিরা হচ্ছে সত্য জানার পরও হঠকারিতা ও বিদ্বেষবশত তা গ্রহণ করেনি। উপর্যুপরি বিদ্বেষ ও হঠকারিতার কারণে তাদের ওপর আল্লাহর গজব নাজিল হয়েছে।

মহান আল্লাহর কুদরত, নিয়ামত ও শাস্তি সরাসরি দেখার পরও তারা শিক্ষা গ্রহণ করেনি। বরং নিজেদের অন্যায়-অনাচার ও দুশ্চরিত্রের ফলে মহান আল্লাহর রহমত থেকে ছিটকে পড়েছে। কুফর, শিরক, অন্যায়-অনাচারে তারা সকল সীমা অতিক্রম করেছে। বহু নবীকে তারা হত্যা করেছে।

যাদের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যই হল- সত্য গোপন করা, নবীদের বিরুদ্ধাচারণ করা, বিশেষত ইসলাম ও ইসলামের নবী এবং মুসলমানদের প্রতি চরম বিদ্বেষ পোষণ করা, ইসলামের বিরুদ্ধে কঠিন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকা, ওয়াদা ও চুক্তিভঙ্গ করা, বিশ্বাসঘাতকতা, খেয়ানত ও গাদ্দারি, খুনখারাবি, পৃথিবীতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি, যুদ্ধ-বিগ্রহ জিইয়ে রাখা, অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ গ্রাস করাসহ এমন হেন অপরাধ নেই, যা তারা করেনি বা করছে না!