ঢাকা , শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ভিন্নমত প্রকাশকে ‘নিরাপত্তা হুমকি’ দেখত হাসিনার সরকার Logo সব ছেড়ে আধ্যাত্মিকতায় মন দিলেন জ্যাকুলিন! Logo জোড়া সেঞ্চুরিতে স্বস্তি নিয়ে দিন পার করল বাংলাদেশ Logo ‘ইসরায়েলের আকাশসীমা আমাদের দখলে’, দাবি ইরানের Logo ফতুল্লায় ড্রেন থেকে যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার Logo সোনারগাঁয়ে রাস্তার পাশ থেকে শ্রমিকের লাশ উদ্ধার Logo আড়াইহাজারে যুবদলের আহবায়কের পেটে ১২শ’ পিস ইয়াবা Logo রূপগঞ্জে রাজনৈতিক কোন্দলে ফার্মেসিতে গুলিবর্ষণ: গার্মেন্টস শ্রমিক গুলিবিদ্ধ Logo ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ও করোনা সচেতনতায় ২৩ ও ২২নং ওয়ার্ডে আশার মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ Logo ইসরায়েলে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের দুঃসংবাদ দিলো মার্কিন দূতাবাস

হাদিসে বর্ণিত ৯ টি কবিরা গুনাহ

কবিরা গুনাহ বলা হয়, যে গুনাহর জন্য পার্থিব জীবনে হদ বা শাস্তি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, যেমন—নিরপরাধ মানুষ হত্যা, ব্যভিচার, চুরি ইত্যাদি। কিংবা যে পাপের জন্য পরকালে জাহান্নাম বা আল্লাহর ক্রোধ কিংবা অভিসম্পাতের কারণ বলে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে, যেমন—সুদ খাওয়া, মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া ইত্যাদি। এগুলো কবিরা গুনাহ।

তায়সাল ইবনে মায়্যাস রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত ছিলাম। আমি কিছু পাপকাজ করে বসি যা আমার মতে কবিরা গুনাহের শামিল। আমি তা ইবনে ওমর রা.-এর কাছে উল্লেখ করলে তিনি জিজ্ঞেস করেন, তা কি? আমি বললাম, এই এই ব্যাপার। তিনি বলেন, এগুলো কবীরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত নয়। কবীরা গুনাহ নয়টি—

১. আল্লাহর সাথে শরীক করা। ২. মানুষ হত্যা। ৩. জিহাদের ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়া। ৪. সতী-সাধ্বী নারীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের মিথ্যা অপবাদ রটানো।

৫. সূদ খাওয়া। ৬. ইয়াতীমের মাল আত্মসাৎ করা। ৭. মসজিদে ধর্মদ্রোহী কাজ করা। ৮. ধর্ম নিয়ে উপহাস করা এবং ৯. সন্তানের অসদাচরণ যা পিতা-মাতার কান্নার কারণ হয়।

ইবনে ওমর রা. আমাকে বলেন, তুমি কি জাহান্নাম থেকে দূরে থাকতে এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে চাও? আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! আমি তাই চাই। তিনি বলেন, তোমার পিতা-মাতা কি জীবিত আছেন? আমি বললাম, আমার মা জীবিত আছেন। তিনি বলেন—

আল্লাহর শপথ! তুমি তার সাথে নম্র ভাষায় কথা বললে এবং তার ভরণপোষণ করলে তুমি অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে, যদি কবিরা গুনাহগুলো থেকে বিরত থাকো। ( আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ০৮, তাবারীর তাফসীর, আবদুর রাযযাক আল-খারাইতীর মাসাবিউল আখলাক)।

গুনাহ হয়ে গেলে তওবার নামাজ পড়া উচিত সবার। হাদিসে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যদি কেউ গুনাহ করে ফেলে, তারপর পবিত্রতা অর্জন করে— দুই রাকাত সালাত আদায় করে; আর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তবে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩২৭৬)

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

ভিন্নমত প্রকাশকে ‘নিরাপত্তা হুমকি’ দেখত হাসিনার সরকার

হাদিসে বর্ণিত ৯ টি কবিরা গুনাহ

আপডেট সময় ১১:২৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

কবিরা গুনাহ বলা হয়, যে গুনাহর জন্য পার্থিব জীবনে হদ বা শাস্তি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, যেমন—নিরপরাধ মানুষ হত্যা, ব্যভিচার, চুরি ইত্যাদি। কিংবা যে পাপের জন্য পরকালে জাহান্নাম বা আল্লাহর ক্রোধ কিংবা অভিসম্পাতের কারণ বলে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে, যেমন—সুদ খাওয়া, মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া ইত্যাদি। এগুলো কবিরা গুনাহ।

তায়সাল ইবনে মায়্যাস রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত ছিলাম। আমি কিছু পাপকাজ করে বসি যা আমার মতে কবিরা গুনাহের শামিল। আমি তা ইবনে ওমর রা.-এর কাছে উল্লেখ করলে তিনি জিজ্ঞেস করেন, তা কি? আমি বললাম, এই এই ব্যাপার। তিনি বলেন, এগুলো কবীরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত নয়। কবীরা গুনাহ নয়টি—

১. আল্লাহর সাথে শরীক করা। ২. মানুষ হত্যা। ৩. জিহাদের ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়া। ৪. সতী-সাধ্বী নারীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের মিথ্যা অপবাদ রটানো।

৫. সূদ খাওয়া। ৬. ইয়াতীমের মাল আত্মসাৎ করা। ৭. মসজিদে ধর্মদ্রোহী কাজ করা। ৮. ধর্ম নিয়ে উপহাস করা এবং ৯. সন্তানের অসদাচরণ যা পিতা-মাতার কান্নার কারণ হয়।

ইবনে ওমর রা. আমাকে বলেন, তুমি কি জাহান্নাম থেকে দূরে থাকতে এবং জান্নাতে প্রবেশ করতে চাও? আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! আমি তাই চাই। তিনি বলেন, তোমার পিতা-মাতা কি জীবিত আছেন? আমি বললাম, আমার মা জীবিত আছেন। তিনি বলেন—

আল্লাহর শপথ! তুমি তার সাথে নম্র ভাষায় কথা বললে এবং তার ভরণপোষণ করলে তুমি অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে, যদি কবিরা গুনাহগুলো থেকে বিরত থাকো। ( আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ০৮, তাবারীর তাফসীর, আবদুর রাযযাক আল-খারাইতীর মাসাবিউল আখলাক)।

গুনাহ হয়ে গেলে তওবার নামাজ পড়া উচিত সবার। হাদিসে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যদি কেউ গুনাহ করে ফেলে, তারপর পবিত্রতা অর্জন করে— দুই রাকাত সালাত আদায় করে; আর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তবে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩২৭৬)