ঢাকা , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo পলাতক ফ্যাসিস্ট হাসিনার মৃত্যুদণ্ড Logo ‘আপনাদের ওপর আল্লাহর গজব পড়বে’ সত্য হলো খালেদা জিয়ার সেই কান্নাজড়িত বক্তব্য Logo বিএনপির কঠিন সময়ে আমি নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম তাই দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে বললেন আজহারুল ইসলাম মান্নান Logo গোদনাইল মেঘনা পেট্রোলিয়াম ডিপো এখন ডি এস মাহবুব এর দখলে Logo মহানগর বিএনপির উদ্যোগ আওয়ামী লীগের শাটডাউনের প্রতিবাদে সভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত Logo সতর্ক অবস্থানে পুলিশ, জেলাজুড়ে টহল কার্যক্রম জোরদার Logo সিদ্ধিরগঞ্জে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২ মামলা, আসামি ৪০ Logo র‌্যাবের অভিযান টের পেয়ে সন্ত্রাসীর গুলিতে নারী গুলিবিদ্ধ Logo না’গঞ্জের সর্বশ্রেনীর মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত বিদায়ী জেলা প্রশাসক মানবিক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা Logo সেনেগালকে হারিয়ে ব্রাজিলের উল্লাস

মহানগর বিএনপির উদ্যোগ আওয়ামী লীগের শাটডাউনের প্রতিবাদে সভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত

মোঃ আবুল বাসার সাইফুল বিশেষ প্রতিনিধি: কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচির বিরুদ্ধে একযোগে মাঠে নেমেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। জুলাইয়ের গণ- অভ্যুত্থান ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ১৭ নভেম্বর সোমবার সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান’র সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বিএনপির তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য এড. আবুল কালাম, প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি আলহাজ্ব আবু জাফর আহমেদ বাবুলের নেতৃত্বে উক্ত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, ফতেহ মো. রেজা রিপন, আবুল কাওসার আশা, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আল হাবিব, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না।
এসময় মহানগর বিএনপি নেতা আলহাজ্ব আবু জাফর আহমেদ বাবুল বলেন, সৎ সাহস থাকলে হাসিনা বিচারের মুখোমুখি হতেন, বিএনপি নেত্রী কখনো দেশ ছেড়ে পালায়নি। শেখ হাসিনা এখন ভারতে অবস্থান করছে। নেতাকর্মীদের রেখে পালিয়ে গেছেন। কিছু হলেই তিনি ভারতে চলে যায়। দেশের মধ্যে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হলে, তা কোনোভাবেই বাংলার জনগণ মেনে নেবে না। আওয়ামী লীগ আবারও নাশকতার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তাই সংগঠনকে এক কাতারে দাঁড় করানো প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, অতীতে যেসব বিচার হয়েছে, তা বিশ্বাসযোগ্যতা ছিল না। কিন্তু আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে গেলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সেখানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার শাস্তি নির্ধারণ হবে। তবে তিনি যেখানেই থাকেন না কেন তার বিচার হবে। তিনি কোনোদিনই মাফ পাবেন না।
এর আগে সকাল থেকেই মহানগরের প্রতিটি থানা, ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। প্রতিবাদ সভাটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। আগত নেতাকর্মীদের সবার মুখে স্লোগান ছিল, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই, এই বাংলায় খুনি হাসিনার ঠাঁই নাই। হত্যা করেছে হাজার হাজার ভাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই। যে খুনি হাসিনা নিজের হাতকে রক্তে রঞ্জিত করেছে, হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছে সে হাসিনার ফাঁসি চাই।
এড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার হাত রক্তে রঞ্জিত গত ১৫ বছরে সে প্রথম হাতকে রঞ্জিত করেন বিডিআর হত্যার মাধ্যমে। এরপর উলামাদের হত্যা করে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হত্যা, গুম করেছে। এখন দেশকে অস্থিরতা করার জন্য লকডাউন দিয়ে অগ্নি সন্ত্রাস করে, নাশকতা করে, ভয়-ভীতি ছড়িয়ে, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অরাজকতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে দেশের মানুকে, বাংলাদেশের মানুষ এখন প্রতিবাদ করতে শিখেছে বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার কঠিন বিচারের আশা করে। আমরা নারায়ণগঞ্জের মানুষ মহানগরের নেতৃত্বে সবাই একসাথে আছি। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসাথে কাজ করতে চাই। তাদের এই ঘৃণ্যকার্যকে আমরা ধিক্কার জানাই এবং এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সাবেক সংসদ সদস্য এড. আবুল কালাম বলেন, স্বৈরাচার ফ্রেসিস্ট শেখ হাসিনা গত বছর জুলাইয়ে গনহত্যা করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। সেই স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আজ রায় ঘোষণা করা হবে, এই রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে। তাদের এই লকডাউনের প্রতিবাদে আমরা মহানগর বিএনপির আয়োজনে একত্রিত হয়ে এই লকডাউনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এড. আবু ইউসুফ খান টিপু বলেন, ২০২৪ সালে যে সকল নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি এবং এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। ওনার নির্দেশে মানুষ খুন হয়েছে, হত্যা করেছে, আমরা সকল হত্যার সুস্ঠ বিচার চাই। বিচারের রায় যেন সুষ্ঠ হয় বিচারকদের কাছে আমরা এ দাবি জানাচ্ছি। এই বাংলার বুকে আর যেন কোন স্বৈরাচারের আবির্ভাব না হয়, আর যেন কোন খুন, গুম না হয়, তাই কঠিন বিচার দাবি করছি।
আবুল কাওসার আশা বলেন, প্রিয় তৌহিদী জনতা, বিএনপির নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, তারা সবাই জানেন বাংলাদেশের আনাচে কানাচে আজ একটি আনন্দের দিন। কারণ গত বছর জুলাইয়ে ফেসিস্ট সরকারের আমলে যে খুন, গুম, হত্যা হয়েছিল, আমাদের ভাই ছাত্র জনতার উপর যে হামলা হয়েছিল। এই হত্যার মূল কারিগরের আজ বিচারের রায়ের দিন। এ দিনকে ঘিরে চক্রান্তকারীরা তাদের চক্রান্তে থেমে থাকবে না। তাই আমরা ছোট ছোট দল করে এলাকায় পাহারা দিব, যাতে করে উনারা কোন নাশকতা বা জানমালের ক্ষতি করতে না পারে। তাই সবাই সতর্ক থাকবেন।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন, মহানগর ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ রানা, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলহাস মিয়াজী, ১৬ নং ওয়ার্ড থানার বিএনপির সভাপতি মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন, শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মাসুদ রানা, ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হিরা সরদার,বন্দর থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পাপ্পু আহমে, বন্দর থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, মোহাম্মদ ডালিম শিকদার, মোঃ সৈকত, নারায়ণগঞ্জ হকার্স মার্কেট সভাপতি আলাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী ফরিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজন, জেলা মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিসান সুরাইয়া, মহানগর ২২ নং ওয়ার্ড বিএনপি মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রাবিয়া বশরি প্রমুখ।
মিছিলটি জন সমুদ্রে পরিণত হলে সংক্ষিপ্ত সভা শেষে মিশনপাড়া থেকে র‍্যালি বের হয়ে নগর ভবনের সামনে গিয়ে সমাপ্ত করা হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

পলাতক ফ্যাসিস্ট হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

মহানগর বিএনপির উদ্যোগ আওয়ামী লীগের শাটডাউনের প্রতিবাদে সভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ১০:০৭:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

মোঃ আবুল বাসার সাইফুল বিশেষ প্রতিনিধি: কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচির বিরুদ্ধে একযোগে মাঠে নেমেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। জুলাইয়ের গণ- অভ্যুত্থান ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ১৭ নভেম্বর সোমবার সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান’র সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বিএনপির তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য এড. আবুল কালাম, প্রাইম গ্রুপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি আলহাজ্ব আবু জাফর আহমেদ বাবুলের নেতৃত্বে উক্ত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, ফতেহ মো. রেজা রিপন, আবুল কাওসার আশা, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আল হাবিব, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না।
এসময় মহানগর বিএনপি নেতা আলহাজ্ব আবু জাফর আহমেদ বাবুল বলেন, সৎ সাহস থাকলে হাসিনা বিচারের মুখোমুখি হতেন, বিএনপি নেত্রী কখনো দেশ ছেড়ে পালায়নি। শেখ হাসিনা এখন ভারতে অবস্থান করছে। নেতাকর্মীদের রেখে পালিয়ে গেছেন। কিছু হলেই তিনি ভারতে চলে যায়। দেশের মধ্যে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হলে, তা কোনোভাবেই বাংলার জনগণ মেনে নেবে না। আওয়ামী লীগ আবারও নাশকতার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তাই সংগঠনকে এক কাতারে দাঁড় করানো প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, অতীতে যেসব বিচার হয়েছে, তা বিশ্বাসযোগ্যতা ছিল না। কিন্তু আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে গেলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সেখানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার শাস্তি নির্ধারণ হবে। তবে তিনি যেখানেই থাকেন না কেন তার বিচার হবে। তিনি কোনোদিনই মাফ পাবেন না।
এর আগে সকাল থেকেই মহানগরের প্রতিটি থানা, ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। প্রতিবাদ সভাটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। আগত নেতাকর্মীদের সবার মুখে স্লোগান ছিল, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই, এই বাংলায় খুনি হাসিনার ঠাঁই নাই। হত্যা করেছে হাজার হাজার ভাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই। যে খুনি হাসিনা নিজের হাতকে রক্তে রঞ্জিত করেছে, হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছে সে হাসিনার ফাঁসি চাই।
এড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার হাত রক্তে রঞ্জিত গত ১৫ বছরে সে প্রথম হাতকে রঞ্জিত করেন বিডিআর হত্যার মাধ্যমে। এরপর উলামাদের হত্যা করে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হত্যা, গুম করেছে। এখন দেশকে অস্থিরতা করার জন্য লকডাউন দিয়ে অগ্নি সন্ত্রাস করে, নাশকতা করে, ভয়-ভীতি ছড়িয়ে, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অরাজকতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে দেশের মানুকে, বাংলাদেশের মানুষ এখন প্রতিবাদ করতে শিখেছে বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার কঠিন বিচারের আশা করে। আমরা নারায়ণগঞ্জের মানুষ মহানগরের নেতৃত্বে সবাই একসাথে আছি। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসাথে কাজ করতে চাই। তাদের এই ঘৃণ্যকার্যকে আমরা ধিক্কার জানাই এবং এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সাবেক সংসদ সদস্য এড. আবুল কালাম বলেন, স্বৈরাচার ফ্রেসিস্ট শেখ হাসিনা গত বছর জুলাইয়ে গনহত্যা করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। সেই স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আজ রায় ঘোষণা করা হবে, এই রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে। তাদের এই লকডাউনের প্রতিবাদে আমরা মহানগর বিএনপির আয়োজনে একত্রিত হয়ে এই লকডাউনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এড. আবু ইউসুফ খান টিপু বলেন, ২০২৪ সালে যে সকল নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি এবং এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। ওনার নির্দেশে মানুষ খুন হয়েছে, হত্যা করেছে, আমরা সকল হত্যার সুস্ঠ বিচার চাই। বিচারের রায় যেন সুষ্ঠ হয় বিচারকদের কাছে আমরা এ দাবি জানাচ্ছি। এই বাংলার বুকে আর যেন কোন স্বৈরাচারের আবির্ভাব না হয়, আর যেন কোন খুন, গুম না হয়, তাই কঠিন বিচার দাবি করছি।
আবুল কাওসার আশা বলেন, প্রিয় তৌহিদী জনতা, বিএনপির নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, তারা সবাই জানেন বাংলাদেশের আনাচে কানাচে আজ একটি আনন্দের দিন। কারণ গত বছর জুলাইয়ে ফেসিস্ট সরকারের আমলে যে খুন, গুম, হত্যা হয়েছিল, আমাদের ভাই ছাত্র জনতার উপর যে হামলা হয়েছিল। এই হত্যার মূল কারিগরের আজ বিচারের রায়ের দিন। এ দিনকে ঘিরে চক্রান্তকারীরা তাদের চক্রান্তে থেমে থাকবে না। তাই আমরা ছোট ছোট দল করে এলাকায় পাহারা দিব, যাতে করে উনারা কোন নাশকতা বা জানমালের ক্ষতি করতে না পারে। তাই সবাই সতর্ক থাকবেন।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন, মহানগর ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ রানা, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলহাস মিয়াজী, ১৬ নং ওয়ার্ড থানার বিএনপির সভাপতি মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন, শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মাসুদ রানা, ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হিরা সরদার,বন্দর থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পাপ্পু আহমে, বন্দর থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, মোহাম্মদ ডালিম শিকদার, মোঃ সৈকত, নারায়ণগঞ্জ হকার্স মার্কেট সভাপতি আলাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী ফরিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজন, জেলা মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিসান সুরাইয়া, মহানগর ২২ নং ওয়ার্ড বিএনপি মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রাবিয়া বশরি প্রমুখ।
মিছিলটি জন সমুদ্রে পরিণত হলে সংক্ষিপ্ত সভা শেষে মিশনপাড়া থেকে র‍্যালি বের হয়ে নগর ভবনের সামনে গিয়ে সমাপ্ত করা হয়।