টাইগারদের সমীহ গম্ভীরের 
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুণ সীমান্তে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ৫০ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে জরিপ শেষে ৭৫ শতাংশ জমির মালিকানা ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ।
১৪ বিজিবি (পত্নীতলা) সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদিগুণ সীমান্তে ২৫৭/২০ আর পিলারের কাছে জমি নিয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সঙ্গে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। আর জমিটি দুই দেশের সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে বাংলাদেশের ১০০ গজ অভ্যন্তরে হওয়ায় সেখানে বাংলাদেশের কৃষকরা চাষাবাদ করে আসছিলেন। কিন্তু প্রায় সময়ই বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশি কৃষকদের ওই জমিতে চাষাবাদ করতে বাধা দিত। এ বিরোধ নিষ্পত্তি করতে বিএসএফের সঙ্গে বিজিবি পতাকা বৈঠকের আহ্বান করে। এ পতাকা বৈঠকের আহ্বানে সাড়া দেয় বিএসএফ।
বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিজিবির পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ বিএসএফের ১৬৪ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সীমান্ত পিলার ২৫৮/৬-এস এর নিকটবর্তী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আগ্রাদ্বিগুণ ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ফুটবল মাঠে কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিজিবির পক্ষে ছয় সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের (১৪ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল হামিদ উদ্দিন।
অপরদিকে ১২ সদস্য বিশিষ্ট বিএসএফের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভারতের আরাদপুর ১৬৪ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ কমান্ড্যান্ট শঞ্জয় কুমার মিশ্রা। এরপর উভয় দেশের সার্ভেয়ার দ্বারা জমি পরিমাপ করা হয়। মাপজোক শেষে সীমান্তের বিরোধপূর্ণ ৭৫ শতাংশ জমির মালিকানা বুঝে পায় বাংলাদেশ।
বৈঠক শেষে ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল হামিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, জমিটি নিয়ে প্রায় ৫০ বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আজকে দুই দেশের যৌথ জরিপে বিরোধপূর্ণ জমিটি যে বাংলাদেশের তা প্রমাণিত হয়েছে।
