ঢাকা , সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার সময় ১৭ বছর গণধর্ষণ হয়েছে: আফরোজা আব্বাস

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেছেন,এই ধর্ষক নরপশুদের দুই একটি বিচার না হলে তারা আসলে কখনো মানুষ হবে না। ধর্ষণের শিকার হয়ে আসিয়া যে মারা গেল, নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। আছিয়া হত্যাকারীর খুব দ্রুত জনসমক্ষে বিচার যদি হয়ে যেত তাহলে পরপর এরকম ধর্ষণের ঘটনা ঘটত না, যেটা কিনা শেরপুর, ময়মনসিং সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘটেছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের ৪নং ওয়ার্ড আটিগ্রাম এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্তির চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশু তামান্না আক্তার কে দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সব কথা বলেন। সময় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেয়া হয় তামান্নার পরিবারকে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, যুগ্ন আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, সদস্য মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।

আফরোজা আব্বাস আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণমাধ্যমে দেখেছেন, দেখে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তামান্নার পরিবারের পাশে আছে তারেক রহমান। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শিখিয়েছেন যেখানে নারী নির্যাতন সেখানেই জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। তাই আজকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এখানে আসা।

 

তিনি বলেন, এসব ধর্ষণের কারণে তৎকালীন প্রশাসন দায়ী। শেখ হাসিনার সময় ১৭ বছর গণধর্ষণ হয়েছে। গণধর্ষণের কোন বিচার হয়নি, গণধর্ষণের বিচার না করে বরঞ্চ তাদের পুরস্কৃত করা হতো। সেই কারণেই দিনে, দিনে এই ধর্ষণ বেড়ে গেছে।

আফরোজা আব্বাস আরো বলেন,বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন নারায়ণগঞ্জের রিমা কে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় মনিরকে যেভাবে তাৎক্ষণিক বিচারে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল সেই রকম ভাবে দুই একটা বিচার যদি হতো তাহলে নারীরা এরকম ধর্ষণের শিকার হতো না । এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহবান থাকবে সময় কালক্ষেপণ না করে জনসম্মুখে লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে ফাঁসির কাস্টে ঝুলানোর দরকার ধর্ষকদের। জেলখানায় নিয়ে ফাঁসি দিবে এটা আমরা চাই না ,আমরা চাই জনসম্মুখে সবাই দেখবে ধর্ষকের বিচার। জনগণের যেটা দাবি সেটাই আইন। অথবা ইসলামিক আইনে বিচার করা হোক। জনসম্মুখে পাথর নিক্ষেপ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আশা করব খুব দ্রুত এই বিচার সম্পূর্ণ করা হবে। জনসম্মুখে বিচার সম্পন্ন করা হলে ধর্ষণ কমে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

শেখ হাসিনার সময় ১৭ বছর গণধর্ষণ হয়েছে: আফরোজা আব্বাস

আপডেট সময় ১০:৪১:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেছেন,এই ধর্ষক নরপশুদের দুই একটি বিচার না হলে তারা আসলে কখনো মানুষ হবে না। ধর্ষণের শিকার হয়ে আসিয়া যে মারা গেল, নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। আছিয়া হত্যাকারীর খুব দ্রুত জনসমক্ষে বিচার যদি হয়ে যেত তাহলে পরপর এরকম ধর্ষণের ঘটনা ঘটত না, যেটা কিনা শেরপুর, ময়মনসিং সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘটেছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের ৪নং ওয়ার্ড আটিগ্রাম এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্তির চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশু তামান্না আক্তার কে দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সব কথা বলেন। সময় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেয়া হয় তামান্নার পরিবারকে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, যুগ্ন আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, সদস্য মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।

আফরোজা আব্বাস আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণমাধ্যমে দেখেছেন, দেখে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তামান্নার পরিবারের পাশে আছে তারেক রহমান। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শিখিয়েছেন যেখানে নারী নির্যাতন সেখানেই জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। তাই আজকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এখানে আসা।

 

তিনি বলেন, এসব ধর্ষণের কারণে তৎকালীন প্রশাসন দায়ী। শেখ হাসিনার সময় ১৭ বছর গণধর্ষণ হয়েছে। গণধর্ষণের কোন বিচার হয়নি, গণধর্ষণের বিচার না করে বরঞ্চ তাদের পুরস্কৃত করা হতো। সেই কারণেই দিনে, দিনে এই ধর্ষণ বেড়ে গেছে।

আফরোজা আব্বাস আরো বলেন,বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন নারায়ণগঞ্জের রিমা কে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় মনিরকে যেভাবে তাৎক্ষণিক বিচারে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল সেই রকম ভাবে দুই একটা বিচার যদি হতো তাহলে নারীরা এরকম ধর্ষণের শিকার হতো না । এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহবান থাকবে সময় কালক্ষেপণ না করে জনসম্মুখে লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে ফাঁসির কাস্টে ঝুলানোর দরকার ধর্ষকদের। জেলখানায় নিয়ে ফাঁসি দিবে এটা আমরা চাই না ,আমরা চাই জনসম্মুখে সবাই দেখবে ধর্ষকের বিচার। জনগণের যেটা দাবি সেটাই আইন। অথবা ইসলামিক আইনে বিচার করা হোক। জনসম্মুখে পাথর নিক্ষেপ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আশা করব খুব দ্রুত এই বিচার সম্পূর্ণ করা হবে। জনসম্মুখে বিচার সম্পন্ন করা হলে ধর্ষণ কমে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।