ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জোড়া গোলে রেকর্ড উদযাপন রোনালদোর

কাতার বিশ্বকাপে ব্যর্থ অভিযান শেষে নিজে কেঁদে ও ভক্তদের কাঁদিয়ে যেভাবে মাঠ ছেড়েচিলেন, তখন মনে হচ্ছিল আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকেই হয়তো বিদায় বলে দিবেন। তবে পরশুরাতে তিনি আবারও নামলেন মাঠে, তাতে এককভাবে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ডটা নিজের করে নিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। জাতীয় দলের জার্সিতে তার ম্যাচ সংখ্যা এখন ১৯৭টি। এর বেশী আর কি লাগে আলোচনায় থাকার জন্য! তবে ফুটবলারটা যেহেতু রোনালদো, তখন অল্পতে তুষ্ট হওয়ার প্রশ্নই আসে না। দেশেরে মেরুণ জার্সিতে আবারও মাঠে নামার সুযোগ পেয়েই করলেন জোড়া গোল। তাতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে লিখটেনস্টেইনের বিপক্ষে পর্তুগালও জিতল ৪-০ ব্যবধানে।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোলসংখ্যায় আগেই সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন রোনালদো। ম্যাচ খেলার হিসাবেও নিজেকে অনন্য উচ্চতায় তুলতে বিশ্বকাপের পর আর একটি ম্যাচ খেলার প্রয়োজন ছিল তার। বিশ্বকাপে মরক্কোর বিপক্ষে হেরে পর্তুগালের বিদায় নেওয়া ম্যাচটি ছিল রোনালদোর ১৯৬তম ম্যাচ। কুয়েতের ফুটবলার বাদের আল-মুতাওয়াও খেলেছিলেন সমান সংখ্যক ম্যাচ। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর তাকে আর পর্তুগালের জার্সিতে দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তাও ছিল। তবে দায়িত্ব নিয়েই পর্তুগালের নতুন কোচ রবের্তো মার্তিনেজ বলে দেন, ‘রোনালদো দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়’ এবং তার পরিকল্পনায় ভালোভাবেই আছেন ৩৮ বছর বয়সী পর্তুগিজ কিংবদন্তি।

লিখটেনস্টেইনের বিপক্ষে কোচের আস্থার প্রতিদান ভালোভাবেই দিয়েছেন সিআর-৭। ৫১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ম্যাচে নিজের প্রথম গোল করার পর ৬৩ মিনিটে সরাসরি ফ্রি-কিক থেকে বল জালে জড়ান পর্তুগিজ অধিনায়ক। এটি আন্তর্জাতিক ফুটবলে রোনালদোর ১২০তম গোল, আর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ১০০তম। তার দুই গোলের আগেই ম্যাচের ৮ মিনিটে বায়ার্ন রাইটব্যাক ক্যানসেলো এবং ৪৭ মিনিটে ম্যানচেস্টার সিটি তারকা বের্নার্ডো সিলভা পেয়ে যান গোলের দেখা।

রোনারদো মেসির আলো ছড়ানোর রাতে তাদের সঙ্গে রেকর্ড অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে ইতালির বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ২-১ গোলের জয় লাভ করে। সেখানে দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করে ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলদাতার মুকুট মাথায় পরেছেন ইংলিশ অধিনায়ক। ওয়েইন রুনির ৫৩ গোল ছাড়িয়ে ৫৪ গোল করা কেইন এখন এককভাবে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ইংল্যান্ডের ডাগআউটে এটি ছিল কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের ৫০তম জয়।

নাপলসের দিয়াগো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ম্যাচের ১৩ মিনিটে ওয়েস্ট হ্যাম মিডফিল্ডার ডেকলান রাইস গোল করেন, ৪৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ করে রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি দলের লিড বাড়িয়ে নেন কেইন। আর্জেন্টিনায় জন্ম নেয়া ২৩ বছরের ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড মাতেও রেতেগি অভিষেকেই দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল শোধ করেন। তবে শেষ পর্যন্ত ইতালি আর কোন গোলের দেখা পায়নি। ইংল্যান্ডের জয়ের মধ্যেও কিছুটা বিষাদ ছড়িয়েছে, ৮০ মিনিটে ডিফেন্ডার লুক শো দেখেন লাল কার্ড।

এই জয়ে গত ইউরোর ফাইনালে ঘরের মাঠে ইতালির কাছে শিরোপা হারানোর ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিতে পারবে ইংল্যান্ড। কারণ ইতালির মাঠে গিয়ে স্বাগতিকদের হারিয়ে দেয়া তো আর ইংল্যান্ডের জন্য বিশাল অর্জন। ইতিহাস বলছে, ১৯৬১ সালের পর এই প্রথম ইতালির মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরল ইংলিশরা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

জোড়া গোলে রেকর্ড উদযাপন রোনালদোর

আপডেট সময় ০৩:০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

কাতার বিশ্বকাপে ব্যর্থ অভিযান শেষে নিজে কেঁদে ও ভক্তদের কাঁদিয়ে যেভাবে মাঠ ছেড়েচিলেন, তখন মনে হচ্ছিল আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকেই হয়তো বিদায় বলে দিবেন। তবে পরশুরাতে তিনি আবারও নামলেন মাঠে, তাতে এককভাবে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ডটা নিজের করে নিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। জাতীয় দলের জার্সিতে তার ম্যাচ সংখ্যা এখন ১৯৭টি। এর বেশী আর কি লাগে আলোচনায় থাকার জন্য! তবে ফুটবলারটা যেহেতু রোনালদো, তখন অল্পতে তুষ্ট হওয়ার প্রশ্নই আসে না। দেশেরে মেরুণ জার্সিতে আবারও মাঠে নামার সুযোগ পেয়েই করলেন জোড়া গোল। তাতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে লিখটেনস্টেইনের বিপক্ষে পর্তুগালও জিতল ৪-০ ব্যবধানে।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোলসংখ্যায় আগেই সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন রোনালদো। ম্যাচ খেলার হিসাবেও নিজেকে অনন্য উচ্চতায় তুলতে বিশ্বকাপের পর আর একটি ম্যাচ খেলার প্রয়োজন ছিল তার। বিশ্বকাপে মরক্কোর বিপক্ষে হেরে পর্তুগালের বিদায় নেওয়া ম্যাচটি ছিল রোনালদোর ১৯৬তম ম্যাচ। কুয়েতের ফুটবলার বাদের আল-মুতাওয়াও খেলেছিলেন সমান সংখ্যক ম্যাচ। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর তাকে আর পর্তুগালের জার্সিতে দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তাও ছিল। তবে দায়িত্ব নিয়েই পর্তুগালের নতুন কোচ রবের্তো মার্তিনেজ বলে দেন, ‘রোনালদো দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়’ এবং তার পরিকল্পনায় ভালোভাবেই আছেন ৩৮ বছর বয়সী পর্তুগিজ কিংবদন্তি।

লিখটেনস্টেইনের বিপক্ষে কোচের আস্থার প্রতিদান ভালোভাবেই দিয়েছেন সিআর-৭। ৫১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ম্যাচে নিজের প্রথম গোল করার পর ৬৩ মিনিটে সরাসরি ফ্রি-কিক থেকে বল জালে জড়ান পর্তুগিজ অধিনায়ক। এটি আন্তর্জাতিক ফুটবলে রোনালদোর ১২০তম গোল, আর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ১০০তম। তার দুই গোলের আগেই ম্যাচের ৮ মিনিটে বায়ার্ন রাইটব্যাক ক্যানসেলো এবং ৪৭ মিনিটে ম্যানচেস্টার সিটি তারকা বের্নার্ডো সিলভা পেয়ে যান গোলের দেখা।

রোনারদো মেসির আলো ছড়ানোর রাতে তাদের সঙ্গে রেকর্ড অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে ইতালির বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ২-১ গোলের জয় লাভ করে। সেখানে দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করে ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলদাতার মুকুট মাথায় পরেছেন ইংলিশ অধিনায়ক। ওয়েইন রুনির ৫৩ গোল ছাড়িয়ে ৫৪ গোল করা কেইন এখন এককভাবে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ইংল্যান্ডের ডাগআউটে এটি ছিল কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের ৫০তম জয়।

নাপলসের দিয়াগো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ম্যাচের ১৩ মিনিটে ওয়েস্ট হ্যাম মিডফিল্ডার ডেকলান রাইস গোল করেন, ৪৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ করে রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি দলের লিড বাড়িয়ে নেন কেইন। আর্জেন্টিনায় জন্ম নেয়া ২৩ বছরের ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড মাতেও রেতেগি অভিষেকেই দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল শোধ করেন। তবে শেষ পর্যন্ত ইতালি আর কোন গোলের দেখা পায়নি। ইংল্যান্ডের জয়ের মধ্যেও কিছুটা বিষাদ ছড়িয়েছে, ৮০ মিনিটে ডিফেন্ডার লুক শো দেখেন লাল কার্ড।

এই জয়ে গত ইউরোর ফাইনালে ঘরের মাঠে ইতালির কাছে শিরোপা হারানোর ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিতে পারবে ইংল্যান্ড। কারণ ইতালির মাঠে গিয়ে স্বাগতিকদের হারিয়ে দেয়া তো আর ইংল্যান্ডের জন্য বিশাল অর্জন। ইতিহাস বলছে, ১৯৬১ সালের পর এই প্রথম ইতালির মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরল ইংলিশরা।