ঢাকা , রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শে বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত হতে পারে: ড. ইউনূস Logo ‘ভারত দুই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাইবে’ Logo নুরাল পাগলার দরবারে পু‌লি‌শের ওপর হামলায় মামলা, আসামি সা‌ড়ে ৩ হাজার Logo রূপগঞ্জে মাদক, অস্ত্র ও গুলিসহ শুটার রিয়াজের ৫ সহযোগী গ্রেপ্তার Logo তারেক রহমানের উপর আস্থা রাখুন, দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে : সাখাওয়াত Logo ফতুল্লার শিবু মার্কেটে মোবাইল দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি Logo বন্দরে ৪৪৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার Logo মহানবী সা. আমাদের জন্য আল্লাহর বড় উপহার : তারেক রহমান Logo ‘জাতিসংঘ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনকে পূর্ণ সমর্থন করে’ Logo মারাকানায় চিলিকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে ব্রাজিলের উৎসব

শেখার কোনো শেষ নেই : রানা

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সমতায় শেষ করতে দলের হয়ে বড় ভূমিকা রাখেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার নাহিদ রানা। সিরিজ শেষে প্রশংসায় ভাসলেও, নিজের পারফরমেন্সের দিকে আরও মনোযোগ দিতে চান তিনি।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে আছেন রানা। বল হাতে গতির ঝড় তুলে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র গতি দিয়েই নয়, লাইন-লেন্থ বজায় রেখে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সুনামও কুড়িয়েছেন রানা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্টে খেলার সুযোগ না পেলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেই চমক দেখিয়েছেন রানা। প্রথম ইনিংসে ৬১ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। ২০০৯ সালের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জয়ে বড় অবদান রেখেছে রানার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।

১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও রানাকে ঘিরে চলছে আলোচনা। তাকে ভবিষ্যতের তারকা হিসাবে মনে করেছেন ক্রিকেটপ্রেমিরা। রানার প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সও। তবে প্রশংসায় নিজেকের না ভাসিয়ে দিয়ে শেখার দিকে আরও মনোনিবেশ করতে চান রানা।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় আজ রানা বলেন, ‘বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা চলছে, সেগুলোতে আমি মনোযোগ দেই না। আমি একটি বিষয়ে ফোকাস করছি, মাঠে কিভাবে পারফর্ম করতে হয় এবং কিভাবে দলের জন্য সেরাটা দিতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোচদের তত্ত্বাবধানে আছি যারা আমাকে প্রতিদিন নতুন কিছু শিখাচ্ছেন। আমি বিভিন্ন দেশের কন্ডিশনে খেলে প্রতিদিন নতুন কিছু শিখছি।’

টেস্ট ম্যাচের বিভিন্ন কন্ডিশনে গতি বাড়ানো ও কমানোর পারদর্শীতা দেখিয়েছেন রানা। তিনি বলেন, ‘শেখার কোন শেষ নেই। এখানে আসার পরও আমি শিখেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচে কিভাবে বল করতে হয় এবং এখানে কোন লাইন-লেন্থে বল করা উচিত। আমি এখনও শেখার প্রক্রিয়ায় আছি।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার এবং বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের সাথে দেখা করেছেন রানা। ওয়ালশের সাথে তার কথোপকথনের গল্প শেয়ার করেছেন তিনি।

রানা বলেন, ‘আমি তার সাথে দেখা করেছি। ওয়ালশ বলেছেন, তুমি যেখানেই থাকেন না কেন, শিখতে থাকো এবং নিজের ফিটনেস ধরে রাখো। জীবনে যেখানেই যাবে, শিখবে। শেখার কোন শেষ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘জ্যামাইকার শেষ ম্যাচের পর কোর্টনি ওয়ালশ আবার নিজের এবং ফিটনেসের যত্ন নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন নতুন নতুন জিনিস শিখো থাকুন, এটা তোমার জন্য উপকারী হবে।’

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শে বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত হতে পারে: ড. ইউনূস

শেখার কোনো শেষ নেই : রানা

আপডেট সময় ১০:০৯:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সমতায় শেষ করতে দলের হয়ে বড় ভূমিকা রাখেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার নাহিদ রানা। সিরিজ শেষে প্রশংসায় ভাসলেও, নিজের পারফরমেন্সের দিকে আরও মনোযোগ দিতে চান তিনি।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে আছেন রানা। বল হাতে গতির ঝড় তুলে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র গতি দিয়েই নয়, লাইন-লেন্থ বজায় রেখে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সুনামও কুড়িয়েছেন রানা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্টে খেলার সুযোগ না পেলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেই চমক দেখিয়েছেন রানা। প্রথম ইনিংসে ৬১ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। ২০০৯ সালের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জয়ে বড় অবদান রেখেছে রানার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।

১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও রানাকে ঘিরে চলছে আলোচনা। তাকে ভবিষ্যতের তারকা হিসাবে মনে করেছেন ক্রিকেটপ্রেমিরা। রানার প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সও। তবে প্রশংসায় নিজেকের না ভাসিয়ে দিয়ে শেখার দিকে আরও মনোনিবেশ করতে চান রানা।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় আজ রানা বলেন, ‘বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা চলছে, সেগুলোতে আমি মনোযোগ দেই না। আমি একটি বিষয়ে ফোকাস করছি, মাঠে কিভাবে পারফর্ম করতে হয় এবং কিভাবে দলের জন্য সেরাটা দিতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোচদের তত্ত্বাবধানে আছি যারা আমাকে প্রতিদিন নতুন কিছু শিখাচ্ছেন। আমি বিভিন্ন দেশের কন্ডিশনে খেলে প্রতিদিন নতুন কিছু শিখছি।’

টেস্ট ম্যাচের বিভিন্ন কন্ডিশনে গতি বাড়ানো ও কমানোর পারদর্শীতা দেখিয়েছেন রানা। তিনি বলেন, ‘শেখার কোন শেষ নেই। এখানে আসার পরও আমি শিখেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচে কিভাবে বল করতে হয় এবং এখানে কোন লাইন-লেন্থে বল করা উচিত। আমি এখনও শেখার প্রক্রিয়ায় আছি।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার এবং বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের সাথে দেখা করেছেন রানা। ওয়ালশের সাথে তার কথোপকথনের গল্প শেয়ার করেছেন তিনি।

রানা বলেন, ‘আমি তার সাথে দেখা করেছি। ওয়ালশ বলেছেন, তুমি যেখানেই থাকেন না কেন, শিখতে থাকো এবং নিজের ফিটনেস ধরে রাখো। জীবনে যেখানেই যাবে, শিখবে। শেখার কোন শেষ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘জ্যামাইকার শেষ ম্যাচের পর কোর্টনি ওয়ালশ আবার নিজের এবং ফিটনেসের যত্ন নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন নতুন নতুন জিনিস শিখো থাকুন, এটা তোমার জন্য উপকারী হবে।’