ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আহত পুলিশ সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দিলেন এমপি সেলিম ওসমান

স্টাফ রিপোর্টার: চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে চলমান সহিংসতায় বন্দর থানার আহত ৬জন পুলিশ সদস্যকে দেখতে বৃহস্পতিবার বন্দর থানায় গিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। এ সময় তিনি আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য প্রত্যেককে নগদ ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেছেন। এছাড়াও সহিংসতার ঘটনায় নিহতদের স্মরনে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

দোয়ার পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমান বলেন, স্বাধীনতার বিপক্ষে যারা আছে, তারাই এই কাজ গুলো করেছে। এমনও হতে পারে তারা এখন এই মুহুর্তে আমাদের সাথেই বসে আছে। সষ্যের ভিতরে ভূত এটা আগে বুঝতাম না। এখন দেখছি আসলেই সষ্যের ভেতর ভূত আছে। যখন আমার খেলার মাঠে থাকার কথা তখন আমি ছিলাম যুদ্ধের মাঠে। আমরা যে দেশ স্বাধীন করেছি, এটা আমাদের অহংকার। আমরা একটা মানচিত্র, পতাকা আনতে পেরেছি। এখন বাচ্চারা ভালোভাবে পড়াশোনা করছে। এটাই ছিলো আমাদের যুদ্ধের কারণ। ড্রাগস দিয়ে বাচ্চাদের এখানে ঢুকানো হচ্ছে। ড্রাগস একবার বিডিআর এর মধ্যে ঢুকানো হয়েছে। ড্রাগস যখন খায় তখন কিন্তু জানে না সে কি করছে। আমাদের নারায়ণগঞ্জে একটা ফেক্টরী জ্বালায় দিলো. ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পুলিশের ওইখানে হামলা করলো, বাস জ্বালায় দিলো, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে হামলা করলো, পাসপোর্ট অফিস পোড়ায় দিলো। এগুলা প্লানিং করে ক্ষতি গুলো করা হয়েছে। আমাদের দেশটা ভালো ছিলো, আমরা যদি ত্রাণ দিতাম তাহলে মানুষ লাইন দিয়ে নিয়ে যেতো। এই সভ্য সমাজকে আজকে অসভ্য করে ফেলছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বন্দরে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধি আছে। কিন্তু সেটা যদি ঘুষের মাধ্যমে আসে, টাকার মাধ্যমে আসে বা টাকা দিয়ে যদি ইলেকশন হয়। তাহলে অশান্তি হবেই। আজকে পুলিশের উপর হামলা করে। পুলিশের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চেক করে, আমাদের ফেক্টরীগুলোতে গিয়ে চেক করে পুলিশ আছে কিনা। কারণ পুলিশ থাকলেই দোষ। পুলিশকে অর্ডার করেছে গুলি করবেন না। আমাদের পুলিশের যদি গুলি করার অর্ডার থাকতো তাহলে আজকে একটা পুলিশও আহত হইতো না। অনেক জায়গায় পুলিশের বাড়ি গিয়ে তাদের ফ্যামিলিকে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে। সেদিন আমাদের জানানো সাথে সাথে সালাম (চেয়ারম্যান) ও রশিদ ভাই বলাতে যাওয়া হইছে, নয়তো আমরা আজকে আমাদের ওসি সাহেবকে দেখতে পেতাম না। ওইটা যদি সাকসেস হইয়া যেতো তাহলে একটা ভীতি কাজ করতো। পুলিশ আমাদের বন্ধু আমরা পুলিশের সাথে থাকবো। আমরা সব সময় তাদের সাথে থাকবো। এখন সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, প্রতিটা থানায়, ইউনিয়নে, পাড়া মহল্লায় থাকতে হবে। আজকে একটা দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা থেকে যাবে। আর এদেরকে আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। আমরা রাজাকারের লিস্ট বানাইনি, মুক্তিযোদ্ধাদের লিস্ট বানাইছি। যেটা আমাদের জন্য অসুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সেলিম ওসমান বলেন, পুলিশ যদি কাউকে ধরে আর সেটার জন্য যদি তদবির আসে। সেটা হবে খুব খারাপ। সবার কাছে আমার অনুরোধ, আমাদের দেশকে, এলাকা, পাড়া মহল­াকে বাঁচাতে হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জাতে নিশ্চিন্তভাবে কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। বন্দরে কিছু কিছু স্কুলে নকল সার্টিফিকেট দিয়ে স্কুলের কমিটি হইছে। এতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ঠিক থাকবে না।

বন্দর থানা পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.এ রশীদ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, মদনপুর ইউনিন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এম.এ সালাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রধানসহ নেতৃবৃন্দ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আহত পুলিশ সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দিলেন এমপি সেলিম ওসমান

আপডেট সময় ০৩:৫৩:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার: চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে চলমান সহিংসতায় বন্দর থানার আহত ৬জন পুলিশ সদস্যকে দেখতে বৃহস্পতিবার বন্দর থানায় গিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। এ সময় তিনি আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য প্রত্যেককে নগদ ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেছেন। এছাড়াও সহিংসতার ঘটনায় নিহতদের স্মরনে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

দোয়ার পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমান বলেন, স্বাধীনতার বিপক্ষে যারা আছে, তারাই এই কাজ গুলো করেছে। এমনও হতে পারে তারা এখন এই মুহুর্তে আমাদের সাথেই বসে আছে। সষ্যের ভিতরে ভূত এটা আগে বুঝতাম না। এখন দেখছি আসলেই সষ্যের ভেতর ভূত আছে। যখন আমার খেলার মাঠে থাকার কথা তখন আমি ছিলাম যুদ্ধের মাঠে। আমরা যে দেশ স্বাধীন করেছি, এটা আমাদের অহংকার। আমরা একটা মানচিত্র, পতাকা আনতে পেরেছি। এখন বাচ্চারা ভালোভাবে পড়াশোনা করছে। এটাই ছিলো আমাদের যুদ্ধের কারণ। ড্রাগস দিয়ে বাচ্চাদের এখানে ঢুকানো হচ্ছে। ড্রাগস একবার বিডিআর এর মধ্যে ঢুকানো হয়েছে। ড্রাগস যখন খায় তখন কিন্তু জানে না সে কি করছে। আমাদের নারায়ণগঞ্জে একটা ফেক্টরী জ্বালায় দিলো. ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পুলিশের ওইখানে হামলা করলো, বাস জ্বালায় দিলো, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে হামলা করলো, পাসপোর্ট অফিস পোড়ায় দিলো। এগুলা প্লানিং করে ক্ষতি গুলো করা হয়েছে। আমাদের দেশটা ভালো ছিলো, আমরা যদি ত্রাণ দিতাম তাহলে মানুষ লাইন দিয়ে নিয়ে যেতো। এই সভ্য সমাজকে আজকে অসভ্য করে ফেলছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বন্দরে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধি আছে। কিন্তু সেটা যদি ঘুষের মাধ্যমে আসে, টাকার মাধ্যমে আসে বা টাকা দিয়ে যদি ইলেকশন হয়। তাহলে অশান্তি হবেই। আজকে পুলিশের উপর হামলা করে। পুলিশের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চেক করে, আমাদের ফেক্টরীগুলোতে গিয়ে চেক করে পুলিশ আছে কিনা। কারণ পুলিশ থাকলেই দোষ। পুলিশকে অর্ডার করেছে গুলি করবেন না। আমাদের পুলিশের যদি গুলি করার অর্ডার থাকতো তাহলে আজকে একটা পুলিশও আহত হইতো না। অনেক জায়গায় পুলিশের বাড়ি গিয়ে তাদের ফ্যামিলিকে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে। সেদিন আমাদের জানানো সাথে সাথে সালাম (চেয়ারম্যান) ও রশিদ ভাই বলাতে যাওয়া হইছে, নয়তো আমরা আজকে আমাদের ওসি সাহেবকে দেখতে পেতাম না। ওইটা যদি সাকসেস হইয়া যেতো তাহলে একটা ভীতি কাজ করতো। পুলিশ আমাদের বন্ধু আমরা পুলিশের সাথে থাকবো। আমরা সব সময় তাদের সাথে থাকবো। এখন সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, প্রতিটা থানায়, ইউনিয়নে, পাড়া মহল্লায় থাকতে হবে। আজকে একটা দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা থেকে যাবে। আর এদেরকে আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। আমরা রাজাকারের লিস্ট বানাইনি, মুক্তিযোদ্ধাদের লিস্ট বানাইছি। যেটা আমাদের জন্য অসুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সেলিম ওসমান বলেন, পুলিশ যদি কাউকে ধরে আর সেটার জন্য যদি তদবির আসে। সেটা হবে খুব খারাপ। সবার কাছে আমার অনুরোধ, আমাদের দেশকে, এলাকা, পাড়া মহল­াকে বাঁচাতে হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জাতে নিশ্চিন্তভাবে কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। বন্দরে কিছু কিছু স্কুলে নকল সার্টিফিকেট দিয়ে স্কুলের কমিটি হইছে। এতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ঠিক থাকবে না।

বন্দর থানা পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.এ রশীদ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, মদনপুর ইউনিন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এম.এ সালাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রধানসহ নেতৃবৃন্দ।