ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, আটক ২০

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারাদেশে শিক্ষার্থীদের আটক-গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পুলিশ ২০ শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।

সোমবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এসব এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।

সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, প্রেস ক্লাব, উত্তরার বিএনএস সেন্টার, মিরপুর-১০, মিরপুর ইসিবি চত্বর, রামপুরা ও মহাখালী এলাকায় শত শত শিক্ষার্থী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব, ও বিজিবির সদস্য মোতায়েন করা হয়। শিক্ষার্থীদের সড়ক ছাড়তে বলেন পুলিশ কর্মকর্তারা। কিন্তু, শিক্ষার্থীরা পুলিশের কথা না শুনে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় র‌্যাবের হেলিকপ্টারকে টহল দিতে দেখা গেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ছিল সেনা টহলও।

পুলিশ জানিয়েছে, ইসিবি চত্বরে কয়েকজন বিক্ষোভকারী গলির ভেতর থেকে ইট-পাটকেল ছুড়ছিল। তবে, পুলিশের তাড়া খেয়ে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুন্সী সাব্বির জানিয়েছেন, মিরপুর গোলচত্বর থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে, সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিক্ষোভ করার সময় ১০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এর আগে রোববার (২৮ জুলাই) রাতে ডিবি হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক এক ভিডিও বার্তায় সব ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। তবে, কর্মসূচি প্রত্যাহারকে প্রত্যাখ্যান করে উল্লিখিত স্থানগুলোতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন অপর এক সমন্বয়ক।

 

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, আটক ২০

আপডেট সময় ০৪:৪৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারাদেশে শিক্ষার্থীদের আটক-গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পুলিশ ২০ শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।

সোমবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এসব এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।

সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, প্রেস ক্লাব, উত্তরার বিএনএস সেন্টার, মিরপুর-১০, মিরপুর ইসিবি চত্বর, রামপুরা ও মহাখালী এলাকায় শত শত শিক্ষার্থী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব, ও বিজিবির সদস্য মোতায়েন করা হয়। শিক্ষার্থীদের সড়ক ছাড়তে বলেন পুলিশ কর্মকর্তারা। কিন্তু, শিক্ষার্থীরা পুলিশের কথা না শুনে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় র‌্যাবের হেলিকপ্টারকে টহল দিতে দেখা গেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ছিল সেনা টহলও।

পুলিশ জানিয়েছে, ইসিবি চত্বরে কয়েকজন বিক্ষোভকারী গলির ভেতর থেকে ইট-পাটকেল ছুড়ছিল। তবে, পুলিশের তাড়া খেয়ে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুন্সী সাব্বির জানিয়েছেন, মিরপুর গোলচত্বর থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে, সায়েন্সল্যাব এলাকায় বিক্ষোভ করার সময় ১০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এর আগে রোববার (২৮ জুলাই) রাতে ডিবি হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক এক ভিডিও বার্তায় সব ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। তবে, কর্মসূচি প্রত্যাহারকে প্রত্যাখ্যান করে উল্লিখিত স্থানগুলোতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন অপর এক সমন্বয়ক।