ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্দরে অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মিলেছে, উদ্ধারকৃত লাশ যুবক নয় কিশোরী

বন্দরে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতের নাম সাথী আক্তার (১২)। সে বন্দর বাড়ৈইপাড়া এলাকার আব্দুস ছাত্তার মিয়ার মেয়ে ।

গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বন্দর থানার মদনগঞ্জ টু মদনপুর সড়কের বন্দর সমরক্ষেত্রের পূর্ব পাশে এক জঙ্গল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরআগে গত বুধবার বিকেল ৫টার পর থেকে ওই কিশোরী নিখোঁজ হয়।

নিহত কিশোরী সাথী আক্তারের মা মুর্শিদা বেগম জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বন্দর শাহী মসজিদ এলাকায় কিশোর গ্যাং দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়েছে। সংঘর্ষ দেখতে নিজ বাড়ি থেকে সাথী বের হয়।

গত তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার দুপুরে সমরক্ষেত্রের পাশে এক জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পর মর্গে লাশ দেখ গিয়ে তার পড়নে প্যান্ট গেঞ্জি দেখে চিনেছি আমার মেয়ের লাশ। কে বা কাহারা আমার মেয়েকে নির্মমভাবে খুন করেছে। নিহত সাথী ৮ ভাই- বোনের মধ্যে পরিবারের সপ্তম সন্তান।

বন্দর থানার এসআই অভিজিৎ বলেন, নির্জন জঙ্গলে ফেলে রাখা লাশ উদ্ধার করে, সুরতাহাল তৈরি করেছি। কিন্তু লাশ পচন ধরায় প্যান্ট খোলা সম্ভব হয়নি। চুল ছোটছোট ছেলেদের মতো। লাশ মর্গে পাঠানোর পর জানাগেছে উদ্ধারকৃত লাশ মেয়ে।

শুক্রবার রাতেই তার পরিচয় পাওয়া যায়। সাথী আক্তার গত বুধবার রাতে নিজ এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

বন্দরে অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মিলেছে, উদ্ধারকৃত লাশ যুবক নয় কিশোরী

আপডেট সময় ১০:০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

বন্দরে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতের নাম সাথী আক্তার (১২)। সে বন্দর বাড়ৈইপাড়া এলাকার আব্দুস ছাত্তার মিয়ার মেয়ে ।

গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বন্দর থানার মদনগঞ্জ টু মদনপুর সড়কের বন্দর সমরক্ষেত্রের পূর্ব পাশে এক জঙ্গল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরআগে গত বুধবার বিকেল ৫টার পর থেকে ওই কিশোরী নিখোঁজ হয়।

নিহত কিশোরী সাথী আক্তারের মা মুর্শিদা বেগম জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বন্দর শাহী মসজিদ এলাকায় কিশোর গ্যাং দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়েছে। সংঘর্ষ দেখতে নিজ বাড়ি থেকে সাথী বের হয়।

গত তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার দুপুরে সমরক্ষেত্রের পাশে এক জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পর মর্গে লাশ দেখ গিয়ে তার পড়নে প্যান্ট গেঞ্জি দেখে চিনেছি আমার মেয়ের লাশ। কে বা কাহারা আমার মেয়েকে নির্মমভাবে খুন করেছে। নিহত সাথী ৮ ভাই- বোনের মধ্যে পরিবারের সপ্তম সন্তান।

বন্দর থানার এসআই অভিজিৎ বলেন, নির্জন জঙ্গলে ফেলে রাখা লাশ উদ্ধার করে, সুরতাহাল তৈরি করেছি। কিন্তু লাশ পচন ধরায় প্যান্ট খোলা সম্ভব হয়নি। চুল ছোটছোট ছেলেদের মতো। লাশ মর্গে পাঠানোর পর জানাগেছে উদ্ধারকৃত লাশ মেয়ে।

শুক্রবার রাতেই তার পরিচয় পাওয়া যায়। সাথী আক্তার গত বুধবার রাতে নিজ এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।