ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

অবশেষে নারীর মাথায় পিস্তল ঠেকানোর ঘটনায় আদালতে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি না পেয়ে নারীর মাথায় পিস্তল ঠেকানোর ঘটনায় অবশেষে আদালতে মামলা হয়েছে। আসামি হিসেবে ডিবি পুলিশের সদস্য রেজাউল করিমসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি ৮ জন।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ বেগম আফরিন আহমেদ হ্যাপীর আদালতে এজাহারটি জমা দেন ভুক্তভোগী বন্যা বেগম। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (সদর সার্কেল) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন আদালত।

মামলায় সদর উপজেলার চান্দিয়ারা এলাকার এনামুল হক, একই এলাকার সামসুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, ভাই মো. সাগর এবং ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিমের নাম উল্লেখ এবং ডিবি পুলিশের অজ্ঞাতনামা আরো ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার সকালে একটি মামলার এজাহার জমা দেন ভুক্তভোগী বন্যা বেগম। বিকাল ৪টা অবধি ওই মামলা রুজু হয়নি। পরে বিকাল সাড়ে ৫টায় ভুক্তভোগী বন্যা বেগম মামলাটি তুলে নেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) ভুক্তভোগী বেলা ১১টায় আবারও একটি এজাহার জমা দিলে দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি রুজু হয়।

বন্যা বেগমের আইনজীবী মো. শওকত আলী বলেন, এজাহারে ত্রুটি থাকায় সোমবার ভুক্তভোগী বন্যা বেগম আদালত থেকে এজাহারটি ফিরিয়ে নেন। তবে আজ মঙ্গলবার আবারো আদালতে জমা দিলে মামলাটি রুজু হয়।

জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে আসামি গ্রেপ্তার করতে সদর উপজেলার থলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদিপ্রবাসী নূরুল আলমের বাড়িতে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। আসামি নুরুল ইসলামকে না পেয়ে বাড়ির নারী ও শিশুদের মারধরসহ একপর্যায়ে ডিবির সদস্য রেজাউল করিম আসামির স্ত্রী বন্যা বেগমের মাথায় পিস্তল ঠেকান বলে অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ) মো. জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ। তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন ও পুলিশ পরিদর্শক (অপরাধ) হাবিবুল্লাহ সরকার।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় দায়ের করা মামলার বাদী এনামুল হক, তার আত্মীয় সামছুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম এবং ভাই মো. সাগর পুলিশকে নিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে যায়। সেখানে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে নুরুলের স্ত্রী বন্যা বেগম (৩৩) ও তার নয় বছর বয়সী মেয়েকে মারধর করে পুলিশ ও সঙ্গীরা। এক পর্যায়ে বন্যার মাথায় বন্দুক তাক করেন ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম। এসময় দুটি গুলিও করে ডিবি সদস্যরা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

অবশেষে নারীর মাথায় পিস্তল ঠেকানোর ঘটনায় আদালতে মামলা

আপডেট সময় ০৯:০১:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি না পেয়ে নারীর মাথায় পিস্তল ঠেকানোর ঘটনায় অবশেষে আদালতে মামলা হয়েছে। আসামি হিসেবে ডিবি পুলিশের সদস্য রেজাউল করিমসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি ৮ জন।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ বেগম আফরিন আহমেদ হ্যাপীর আদালতে এজাহারটি জমা দেন ভুক্তভোগী বন্যা বেগম। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (সদর সার্কেল) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন আদালত।

মামলায় সদর উপজেলার চান্দিয়ারা এলাকার এনামুল হক, একই এলাকার সামসুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, ভাই মো. সাগর এবং ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিমের নাম উল্লেখ এবং ডিবি পুলিশের অজ্ঞাতনামা আরো ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার সকালে একটি মামলার এজাহার জমা দেন ভুক্তভোগী বন্যা বেগম। বিকাল ৪টা অবধি ওই মামলা রুজু হয়নি। পরে বিকাল সাড়ে ৫টায় ভুক্তভোগী বন্যা বেগম মামলাটি তুলে নেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) ভুক্তভোগী বেলা ১১টায় আবারও একটি এজাহার জমা দিলে দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি রুজু হয়।

বন্যা বেগমের আইনজীবী মো. শওকত আলী বলেন, এজাহারে ত্রুটি থাকায় সোমবার ভুক্তভোগী বন্যা বেগম আদালত থেকে এজাহারটি ফিরিয়ে নেন। তবে আজ মঙ্গলবার আবারো আদালতে জমা দিলে মামলাটি রুজু হয়।

জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে আসামি গ্রেপ্তার করতে সদর উপজেলার থলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদিপ্রবাসী নূরুল আলমের বাড়িতে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। আসামি নুরুল ইসলামকে না পেয়ে বাড়ির নারী ও শিশুদের মারধরসহ একপর্যায়ে ডিবির সদস্য রেজাউল করিম আসামির স্ত্রী বন্যা বেগমের মাথায় পিস্তল ঠেকান বলে অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ) মো. জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ। তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন ও পুলিশ পরিদর্শক (অপরাধ) হাবিবুল্লাহ সরকার।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় দায়ের করা মামলার বাদী এনামুল হক, তার আত্মীয় সামছুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম এবং ভাই মো. সাগর পুলিশকে নিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে যায়। সেখানে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে নুরুলের স্ত্রী বন্যা বেগম (৩৩) ও তার নয় বছর বয়সী মেয়েকে মারধর করে পুলিশ ও সঙ্গীরা। এক পর্যায়ে বন্যার মাথায় বন্দুক তাক করেন ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম। এসময় দুটি গুলিও করে ডিবি সদস্যরা।