ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্যারি-মার্শ ও কামিন্স নৈপুণ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতলো অস্ট্রেলিয়া

২৭৯ রানের লক্ষ্যে ৮০ রানে পঞ্চম উইকেট পতনের পর মিচেল মার্শ-অ্যালেক্স ক্যারি ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ব্যাটিং নৈপুন্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জিতলো অস্ট্রেলিয়া। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের চতুর্থ দিন অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। ওয়েলিংটনে সিরিজের প্রথম টেস্ট ১৭২ রানে জিতেছিলো অস্ট্রেলিয়া। এতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতলো অসিরা। ১৯৯০ সালের পর নিউজিল্যান্ডের কাছে আর কোন সিরিজ হারেনি অসিরা। ২০১৭ সাল ও ১৩টি সিরিজের পর ঘরের মাঠে এই প্রথম দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হারলো নিউজিল্যান্ড।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট জিততে নিউজিল্যান্ডের ছুঁড়ে দেওয়া ২৭৯ রানের টার্গেটে তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ৭৭ রান করেছিলো অস্ট্রেলিয়া। ট্রাভিস হেড ১৭ ও মার্শ ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ওভারেই হেডকে (১৮) ফিরিয়ে দেন নিউজিল্যান্ড পেসার টিম সাউদি। ৮০ রানে পঞ্চম উইকেট পতনের পর শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন মার্শ ও ক্যারি। উইকেট বাঁচিয়ে খেলায় মনোযোগ দেন দু’জনে। দ্রুত পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিয়ে রানের চাকাও সচল করেন মার্শ ও ক্যারি। এতে দলীয় স্কোর দেড়শর পর ২শও ছুঁয়ে ফেলে। জোড়া হাফ-সেঞ্চুরি তুলে শতকের পথ তৈরি করছিলেন দু’জনে।
কিন্তু ব্যক্তিগত ৮০ রানে মার্শকে বিদায় করেন নিউজিল্যান্ডের অভিষিক্ত পেসার বেন সিয়ার্স। ১০টি চার ও ১টি ছক্কায় ১০২ বল খেলে নিজের ইনিংসটি সাজান মার্শ। ষষ্ঠ উইকেটে ক্যারির সাথে ১৭৪ বলে ১৪০ রান যোগ করেন মার্শ। রান তাড়ায় ষষ্ঠ উইকেটের নীচে চতুর্থ ইনিংসে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি।
দলীয় ২২০ রানে মার্শ ফেরার পরের বলেই মিচেল স্টার্ককে খালি হাতে বিদায় করে হ্যাট্টিকের সম্ভাবনা জাগান সিয়ার্স। নতুন ব্যাটার কামিন্স ক্রিজে এসে সিয়ার্সকে হ্যাট্টিক বঞ্চিত করেন।
মার্শ-স্টার্ক ফেরার সময় জয় থেকে ৫৯ রান দূরে ছিলো অস্ট্রেলিয়া। এ অবস্থায় নিউজিল্যান্ডের বোলারদের উপর চড়াও হন ক্যারি ও কামিন্স। অষ্টম উইকেটে ৬৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬১ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়াকে অবিস্মরনীয় জয় এনে দেন ক্যারি-কামিন্স।
বাউন্ডারি মেরে কামিন্স অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করায় সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থেকে জয়ের বেশে মাঠ ছাড়তে হয় ক্যারিকে। ১৫টি চারে ১২৩ বলে অপরাজিত ৯৮ রান করেন ক্যারি। রান তাড়ায় উইকেটরক্ষক হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস খেলেন ক্যারি। সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি অস্ট্রেলিয়ার এডাম গিলক্রিস্টের। ১৯৯৯ সালে হোবার্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে অপরাজিত ১৪৯ রান করেছিলেন গিলক্রিস্ট।
৪টি বাউন্ডারিতে ৪৪ বলে অনবদ্য ৩২ রান করেন কামিন্স। নিউজিল্যান্ডের সিয়ার্স ৪ ও ম্যাট হেনরি ২টি উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন হেনরি। সিরিজে ১০১ রান ও ১৭ উইকেট নিয়ে সেরা খেলোয়াড় হন হেনরি। অস্ট্রেলিয়ার জয়ের বড় অবদান রাখায় ম্যাচ সেরা হন ক্যারি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

ক্যারি-মার্শ ও কামিন্স নৈপুণ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতলো অস্ট্রেলিয়া

আপডেট সময় ০৬:২০:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

২৭৯ রানের লক্ষ্যে ৮০ রানে পঞ্চম উইকেট পতনের পর মিচেল মার্শ-অ্যালেক্স ক্যারি ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ব্যাটিং নৈপুন্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জিতলো অস্ট্রেলিয়া। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের চতুর্থ দিন অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। ওয়েলিংটনে সিরিজের প্রথম টেস্ট ১৭২ রানে জিতেছিলো অস্ট্রেলিয়া। এতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতলো অসিরা। ১৯৯০ সালের পর নিউজিল্যান্ডের কাছে আর কোন সিরিজ হারেনি অসিরা। ২০১৭ সাল ও ১৩টি সিরিজের পর ঘরের মাঠে এই প্রথম দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হারলো নিউজিল্যান্ড।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট জিততে নিউজিল্যান্ডের ছুঁড়ে দেওয়া ২৭৯ রানের টার্গেটে তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ৭৭ রান করেছিলো অস্ট্রেলিয়া। ট্রাভিস হেড ১৭ ও মার্শ ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ওভারেই হেডকে (১৮) ফিরিয়ে দেন নিউজিল্যান্ড পেসার টিম সাউদি। ৮০ রানে পঞ্চম উইকেট পতনের পর শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন মার্শ ও ক্যারি। উইকেট বাঁচিয়ে খেলায় মনোযোগ দেন দু’জনে। দ্রুত পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিয়ে রানের চাকাও সচল করেন মার্শ ও ক্যারি। এতে দলীয় স্কোর দেড়শর পর ২শও ছুঁয়ে ফেলে। জোড়া হাফ-সেঞ্চুরি তুলে শতকের পথ তৈরি করছিলেন দু’জনে।
কিন্তু ব্যক্তিগত ৮০ রানে মার্শকে বিদায় করেন নিউজিল্যান্ডের অভিষিক্ত পেসার বেন সিয়ার্স। ১০টি চার ও ১টি ছক্কায় ১০২ বল খেলে নিজের ইনিংসটি সাজান মার্শ। ষষ্ঠ উইকেটে ক্যারির সাথে ১৭৪ বলে ১৪০ রান যোগ করেন মার্শ। রান তাড়ায় ষষ্ঠ উইকেটের নীচে চতুর্থ ইনিংসে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি।
দলীয় ২২০ রানে মার্শ ফেরার পরের বলেই মিচেল স্টার্ককে খালি হাতে বিদায় করে হ্যাট্টিকের সম্ভাবনা জাগান সিয়ার্স। নতুন ব্যাটার কামিন্স ক্রিজে এসে সিয়ার্সকে হ্যাট্টিক বঞ্চিত করেন।
মার্শ-স্টার্ক ফেরার সময় জয় থেকে ৫৯ রান দূরে ছিলো অস্ট্রেলিয়া। এ অবস্থায় নিউজিল্যান্ডের বোলারদের উপর চড়াও হন ক্যারি ও কামিন্স। অষ্টম উইকেটে ৬৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬১ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়াকে অবিস্মরনীয় জয় এনে দেন ক্যারি-কামিন্স।
বাউন্ডারি মেরে কামিন্স অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করায় সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থেকে জয়ের বেশে মাঠ ছাড়তে হয় ক্যারিকে। ১৫টি চারে ১২৩ বলে অপরাজিত ৯৮ রান করেন ক্যারি। রান তাড়ায় উইকেটরক্ষক হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস খেলেন ক্যারি। সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি অস্ট্রেলিয়ার এডাম গিলক্রিস্টের। ১৯৯৯ সালে হোবার্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে অপরাজিত ১৪৯ রান করেছিলেন গিলক্রিস্ট।
৪টি বাউন্ডারিতে ৪৪ বলে অনবদ্য ৩২ রান করেন কামিন্স। নিউজিল্যান্ডের সিয়ার্স ৪ ও ম্যাট হেনরি ২টি উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন হেনরি। সিরিজে ১০১ রান ও ১৭ উইকেট নিয়ে সেরা খেলোয়াড় হন হেনরি। অস্ট্রেলিয়ার জয়ের বড় অবদান রাখায় ম্যাচ সেরা হন ক্যারি।