ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরের খালে ধরা পড়লো কুমির

ফরিদপুর সদর উপজেলার গজারিয়া এলাকার পাটপাশা ব্রিজের নিচের খাল থেকে একটি কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার একটি দল স্থানীদের সহায়তায় কুমিরটি উদ্ধার করে নিয়ে যান। এটি বিলুপ্ত প্রজাতির মিঠা পানির কুমির বলে জানিয়েছেন বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।

স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদীর এই শাখা খালে ৫-৬ দিন আগে চরভদ্রাসন অংশে প্রথম দেখা যায় কুমিরটিকে। সে সময় খালে কুমির রয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। অনেকেই ওই খালে গোসল করাসহ নিত্যদিনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেন।

 

তারা আরও জানান, দুই দিন আগেও বন্যপ্রাণী বিভাগের একটি দল কুমির উদ্ধারে আসে। কিন্তু কোথাও কুমিরটির দেখা না পেয়ে তারা ফিরে যান। আজ সদর উপজেলার গজারিয়ার পাটপাশা সেতুর নিচের খালে কুমিরটি দেখা যায়। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে বন্যপ্রাণী বিভাগের উদ্ধার দলটি আবারও ফিরে আসেন।

 

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মনির হোসেন জানান, কুমিরটি দেখতে পাওয়ার পরপরই খালের উভয় পাশ বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। পরে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে জানানো হয়।

আলীয়াবাদ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রুবেল খাঁন জানান, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মীদের উপস্থিতিতে স্থানীয় ১০-১২ জন খালে জাল ফেলে কুমিরটিকে আটকে ফেলেন। পরে ওই সংস্থার কর্মীরা কুমিরটি নিয়ে যান।

 

বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. মফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, এটা মিঠা পানির কুমির। বিলুপ্ত প্রায় এ কুমিরটি মাছ খেয়ে থাকে। বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে কুমিরটিকে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরের খালে ধরা পড়লো কুমির

আপডেট সময় ০৯:০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

ফরিদপুর সদর উপজেলার গজারিয়া এলাকার পাটপাশা ব্রিজের নিচের খাল থেকে একটি কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার একটি দল স্থানীদের সহায়তায় কুমিরটি উদ্ধার করে নিয়ে যান। এটি বিলুপ্ত প্রজাতির মিঠা পানির কুমির বলে জানিয়েছেন বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।

স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদীর এই শাখা খালে ৫-৬ দিন আগে চরভদ্রাসন অংশে প্রথম দেখা যায় কুমিরটিকে। সে সময় খালে কুমির রয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। অনেকেই ওই খালে গোসল করাসহ নিত্যদিনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেন।

 

তারা আরও জানান, দুই দিন আগেও বন্যপ্রাণী বিভাগের একটি দল কুমির উদ্ধারে আসে। কিন্তু কোথাও কুমিরটির দেখা না পেয়ে তারা ফিরে যান। আজ সদর উপজেলার গজারিয়ার পাটপাশা সেতুর নিচের খালে কুমিরটি দেখা যায়। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে বন্যপ্রাণী বিভাগের উদ্ধার দলটি আবারও ফিরে আসেন।

 

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মনির হোসেন জানান, কুমিরটি দেখতে পাওয়ার পরপরই খালের উভয় পাশ বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। পরে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে জানানো হয়।

আলীয়াবাদ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রুবেল খাঁন জানান, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মীদের উপস্থিতিতে স্থানীয় ১০-১২ জন খালে জাল ফেলে কুমিরটিকে আটকে ফেলেন। পরে ওই সংস্থার কর্মীরা কুমিরটি নিয়ে যান।

 

বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. মফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, এটা মিঠা পানির কুমির। বিলুপ্ত প্রায় এ কুমিরটি মাছ খেয়ে থাকে। বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে কুমিরটিকে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।