ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন: ১২ দলীয় জোট

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন এবং যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।

রাজধানীর এভায়কেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে এসে রোববার (১৫ অক্টোবর) সকালে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা এ সব কথা বলেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জোটের নেতারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতালে যান।

এসময় বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জোট নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানান। শনিবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল এবং ঘুমিয়ে ছিলেন বিধায় নেতৃবৃন্দ বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে পাননি।

বেগম খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডের অন্যতম সদস্য ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে ১২ দলের নেতৃবৃন্দকে ব্রিফিং করেন। পরবর্তীতে ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র এবং জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, বীর প্রতীক সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।

ইব্রাহিম ডাক্তারদের বরাত দিয়ে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া মাল্টিপল ডিজিসে আক্রান্ত। এই মুহূর্তে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করাতে হবে; যা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। বিদেশ থেকে চিকিৎসক নিয়ে এসে অপারেশন করালেও পোস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বাংলাদেশে নেই বলে এদেশে তাকে আর কোনও চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেছেন, বেগম জিয়ার মতো দৃঢ় মনোবলসম্পন্ন রোগী ওনার ডাক্তারি জীবনে কখনো দেখেননি। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে উনি শারীরিক যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।

মুহাম্মদ ইব্রাহিম সকল প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে উঠে অনতিবিলম্বে বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে সরকার প্রধানের কাছে আবেদন জানান। দেশবাসীর কাছে বেগম জিয়ার সুস্থতার আবেদন জানিয়ে ইব্রাহিম আরও বলেন, বেগম জিয়ার কিছু হলে এর দায় বর্তমান সরকারকেই নিতে হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ১২ দলীয় জোট প্রধান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শওকত আমিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব কাজী নজরুল ইসলামসহ জোটের নেতৃবৃন্দ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন: ১২ দলীয় জোট

আপডেট সময় ০৪:৩০:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন এবং যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।

রাজধানীর এভায়কেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে এসে রোববার (১৫ অক্টোবর) সকালে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা এ সব কথা বলেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জোটের নেতারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতালে যান।

এসময় বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জোট নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানান। শনিবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল এবং ঘুমিয়ে ছিলেন বিধায় নেতৃবৃন্দ বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে পাননি।

বেগম খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডের অন্যতম সদস্য ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে ১২ দলের নেতৃবৃন্দকে ব্রিফিং করেন। পরবর্তীতে ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র এবং জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, বীর প্রতীক সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।

ইব্রাহিম ডাক্তারদের বরাত দিয়ে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া মাল্টিপল ডিজিসে আক্রান্ত। এই মুহূর্তে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করাতে হবে; যা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। বিদেশ থেকে চিকিৎসক নিয়ে এসে অপারেশন করালেও পোস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বাংলাদেশে নেই বলে এদেশে তাকে আর কোনও চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেছেন, বেগম জিয়ার মতো দৃঢ় মনোবলসম্পন্ন রোগী ওনার ডাক্তারি জীবনে কখনো দেখেননি। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে উনি শারীরিক যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।

মুহাম্মদ ইব্রাহিম সকল প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে উঠে অনতিবিলম্বে বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে সরকার প্রধানের কাছে আবেদন জানান। দেশবাসীর কাছে বেগম জিয়ার সুস্থতার আবেদন জানিয়ে ইব্রাহিম আরও বলেন, বেগম জিয়ার কিছু হলে এর দায় বর্তমান সরকারকেই নিতে হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ১২ দলীয় জোট প্রধান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শওকত আমিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব কাজী নজরুল ইসলামসহ জোটের নেতৃবৃন্দ।