ঢাকা , বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo যা ভালো লাগে তাই করতে চাই : ভাবনা Logo রিয়ালের দুর্ভেদ্য প্রাচীর ভেঙে লিভারপুলের উৎসব Logo নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন জোহরান মামদানি Logo সিদ্ধিরগঞ্জে হেরোইনসহ মাদক কারবারি নাদিম গ্রেপ্তার Logo রূপগঞ্জে বিদেশি অস্ত্র ও বিপুল মাদক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১ Logo নারায়ণগঞ্জে এইচএসসির ফল বিপর্যয় উত্তরণে ডিসির মতবিনিময় সভা Logo মনোনয়ন না পেয়েও বাবুলের নির্দেশ খানপুর হাসপাতালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলমান Logo সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান আজহারুল ইসলাম মান্নান Logo বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকা: ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা Logo নারায়ণগঞ্জ উদ্যোক্তা কল্যাণ গ্রুপ পরিবারের ২য় বর্ষ পদার্পণ উপলক্ষে চায়ের আড্ডা অনুষ্ঠিত

চীনে কিমের স্পর্শ করা জিনিস ঘষে ঘষে পরিষ্কার, কারণ অবাক করার মতো

চীনের বেইজিংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। গতকাল বুধবার (৪ আগস্ট) তাদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়।

পুতিন-কিমের ওই বৈঠক শেষে টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তাকর্মীরা প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের স্পর্শ করা প্রতিটি জায়গা ঘষে ঘষে পরিষ্কার করছেন। চেয়ারের হাতল ও পিঠের অংশ কিছু একটা দিয়েছে মোছেন একজন। এছাড়া আলোচনার সময় পাশে থাকা টেবিলটিও পরিষ্কার করা হয়েছে। কিমের পানি পান করার গ্লাসটিও একটি ট্রেতে করে নিয়ে যাওয়া হয়।

রুশ সাংবাদিক আলেকজান্ডার ইউনাসেভ তার চ্যানেল ‘ইউনাসেভ লাইভ’-এ বলেছেন, “আলোচনার পর উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে থাকা কর্মীরা কিমের উপস্থিতির সমস্ত চিহ্ন যত্ন সহকারে মুছে ফেলেন।”

তিনি আরও বলেন, “যে গ্লাসে তিনি পান পান করেছেন, তা নিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং চেয়ারের কাপড় ও আসবাবপত্রের যে অংশগুলো তিনি স্পর্শ করেছেন, সেগুলো মুছে ফেলা হয়েছে।”

মূলত কিমের ডিএনএর চিহ্ন মুছে ফেলতে তিনি যেখানে যেখানে বসেছিলেন, স্পর্শ করেছিলেন সেসব জায়গায় পরিষ্কার করে ফেলা হয়।

তবে চীনে গিয়ে কিমের অতিসতর্কতার কারণ জানা যায়নি। বিশ্লেষকদের ধারণা, রাশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী বা চীনের নজরদারির আশঙ্কায় উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের নেতার ডিএনএ চিহ্ন মুছে ফেলেছেন।

ডিএনএ-এর চিহ্ন মুছে ফেলা বা এ নিয়ে সতর্ক থাকা ব্যক্তি কেবল কিম জং উন-ই নন।

কথিথ আছে, পুতিন নিজেও তার ডিএনএ চুরি ঠেকাতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করেন। জানা যায়, ২০১৭ সাল থেকে তিনি যখনই বিদেশে যান, তার দেহরক্ষীরা তার মল-মূত্র বিশেষ ব্যাগে ভরে সেগুলো সংগ্রহ করে রাখেন এবং রাশিয়ায় ফেরত নিয়ে আসেন।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলাস্কায় পুতিনের বৈঠকের সময়ও একই প্রটোকল অনুসরণ করা হয়েছিল। তখন রুশ নিরাপত্তাকর্মীরা প্রেসিডেন্টের মানববর্জ্য একটি সুটকেসে করে মস্কোয় ফিরিয়ে আনেন।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

যা ভালো লাগে তাই করতে চাই : ভাবনা

চীনে কিমের স্পর্শ করা জিনিস ঘষে ঘষে পরিষ্কার, কারণ অবাক করার মতো

আপডেট সময় ০৭:০২:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চীনের বেইজিংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। গতকাল বুধবার (৪ আগস্ট) তাদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়।

পুতিন-কিমের ওই বৈঠক শেষে টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তাকর্মীরা প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের স্পর্শ করা প্রতিটি জায়গা ঘষে ঘষে পরিষ্কার করছেন। চেয়ারের হাতল ও পিঠের অংশ কিছু একটা দিয়েছে মোছেন একজন। এছাড়া আলোচনার সময় পাশে থাকা টেবিলটিও পরিষ্কার করা হয়েছে। কিমের পানি পান করার গ্লাসটিও একটি ট্রেতে করে নিয়ে যাওয়া হয়।

রুশ সাংবাদিক আলেকজান্ডার ইউনাসেভ তার চ্যানেল ‘ইউনাসেভ লাইভ’-এ বলেছেন, “আলোচনার পর উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে থাকা কর্মীরা কিমের উপস্থিতির সমস্ত চিহ্ন যত্ন সহকারে মুছে ফেলেন।”

তিনি আরও বলেন, “যে গ্লাসে তিনি পান পান করেছেন, তা নিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং চেয়ারের কাপড় ও আসবাবপত্রের যে অংশগুলো তিনি স্পর্শ করেছেন, সেগুলো মুছে ফেলা হয়েছে।”

মূলত কিমের ডিএনএর চিহ্ন মুছে ফেলতে তিনি যেখানে যেখানে বসেছিলেন, স্পর্শ করেছিলেন সেসব জায়গায় পরিষ্কার করে ফেলা হয়।

তবে চীনে গিয়ে কিমের অতিসতর্কতার কারণ জানা যায়নি। বিশ্লেষকদের ধারণা, রাশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী বা চীনের নজরদারির আশঙ্কায় উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের নেতার ডিএনএ চিহ্ন মুছে ফেলেছেন।

ডিএনএ-এর চিহ্ন মুছে ফেলা বা এ নিয়ে সতর্ক থাকা ব্যক্তি কেবল কিম জং উন-ই নন।

কথিথ আছে, পুতিন নিজেও তার ডিএনএ চুরি ঠেকাতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করেন। জানা যায়, ২০১৭ সাল থেকে তিনি যখনই বিদেশে যান, তার দেহরক্ষীরা তার মল-মূত্র বিশেষ ব্যাগে ভরে সেগুলো সংগ্রহ করে রাখেন এবং রাশিয়ায় ফেরত নিয়ে আসেন।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলাস্কায় পুতিনের বৈঠকের সময়ও একই প্রটোকল অনুসরণ করা হয়েছিল। তখন রুশ নিরাপত্তাকর্মীরা প্রেসিডেন্টের মানববর্জ্য একটি সুটকেসে করে মস্কোয় ফিরিয়ে আনেন।