ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রূপগঞ্জে বিএনপির আনন্দ মিছিলে মানুষের ঢল Logo জুলাই গনঅভ্যুত্থানে শহীদদের মাগফিরাত কামনা ও বন্দর স্থানীয় ইত্তেহাদুল ওলামা পরিষদের পরিচিতি সভা ও দোয়ার মাহফিল Logo সোনারগাঁয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের বর্ষপূতি বিজয় র‌্যালী Logo ২০২৫ সালের ৯ আগস্টে ড্যাবের নির্বাচনে এগিয়ে ডা: হারুন – ডা: শাকিল পরিষদ Logo জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: জনআকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা Logo নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনকে ২ ভাগে বিভক্ত করার প্রতিবাদে বন্দরবাসীর আয়োজনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন Logo বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের Logo সোনারগাঁয়ে পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাস স্থাপন Logo বন্দরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় যুবকের আত্মসমর্পণ Logo সিদ্ধিরগঞ্জে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী আহত

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলদার, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে নেতাকর্মীদের সাথে আতাত করে দখল বানিজ্যের ও তকমা রয়েছে। এদিকে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে তার দাপট আরো বেড়ে যায়। তিনি থানা বিএনপির সাংগঠনিক পদে থেকে পুরো ফতুল্লায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। চাঁদাবাজি, জমি দখল, শিল্প কারখানা ও ইটভাটার মালিকদের কাছ থেকে নিয়েছেন মোটা অংকের উৎকোচ। এমনকি হামলা মামলার ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর ও অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যেই ক্ষমতা আসার পর তিনি তার নিজ এলাকায় বক্তাবলীর গোপালপুরে বহুতল ভবন নির্মান করেছেন। এছাড়াও ক্রয় করেছেন দুটি গাড়ি। সম্প্রীতি দাপুটে এই হাসান আলীর বিরুদ্ধে রাজাপুর খেয়াঘাট ৩০ লাখ টাকা ইজারা নিয়ে ৭০ লাখ টাকা বিক্রি করার সত্যতা পাওয়া গেছে। যা বিক্রি করা সম্পূর্ণ অবৈধ। আর এই কারনেই নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাফর সাদিক চৌধুরী তার ইজারা বাতিল করে দেন। এদিকে নামধারী বিএনপির নেতা হাসান আলীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে রবিউল ইসলাম মানিক নামে ফতুল্লার এক ব্যবসায়ী একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে মানিক উল্লেখ্য করেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলী সেন্ডিকেট করে চাঁদাবাজি করছেন। একজন আইনজীবী ও তার সাথে জড়িত আছেন। ওই আইনজীবী চাঁদাবাজির ৩০% পেয়ে থাকেন। তিনি আরও উল্লেখ্য করেন গত এক বছরে এই হাসান আলী ব্যবসায়ী, শিল্পকারখানা,ইটভাটা, ফেরিঘাট ও অন্যান্য স্হান থেকে চাদাঁবাজি করে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার নিজ এলাকায় বিলাশবহুল তিন তলা ভবন নির্মান ও দুটি গাড়ি কিনেছেন যা ভাড়ায় চালিত হয়। এছাড়াও অভিযোগে আরও উল্লেখ্য করেন হাসান আলী আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে পাঁচটি ব্যাংকের সাতটি একাউন্টে তার ও তার পরিবারের নামে ৯৬ নব্বই কোটি টাকা জমা আছে। এলাকায় প্রভাব ও আদিপত্য বিস্তারে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উল্লেখ্য করেন।
এবিষয়ে হাসান আলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটা পক্ষ ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। দোষী হলে অবশ্যই আমার বিচার হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বিএনপির আনন্দ মিছিলে মানুষের ঢল

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

আপডেট সময় ০৭:০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলদার, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে নেতাকর্মীদের সাথে আতাত করে দখল বানিজ্যের ও তকমা রয়েছে। এদিকে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে তার দাপট আরো বেড়ে যায়। তিনি থানা বিএনপির সাংগঠনিক পদে থেকে পুরো ফতুল্লায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। চাঁদাবাজি, জমি দখল, শিল্প কারখানা ও ইটভাটার মালিকদের কাছ থেকে নিয়েছেন মোটা অংকের উৎকোচ। এমনকি হামলা মামলার ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর ও অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যেই ক্ষমতা আসার পর তিনি তার নিজ এলাকায় বক্তাবলীর গোপালপুরে বহুতল ভবন নির্মান করেছেন। এছাড়াও ক্রয় করেছেন দুটি গাড়ি। সম্প্রীতি দাপুটে এই হাসান আলীর বিরুদ্ধে রাজাপুর খেয়াঘাট ৩০ লাখ টাকা ইজারা নিয়ে ৭০ লাখ টাকা বিক্রি করার সত্যতা পাওয়া গেছে। যা বিক্রি করা সম্পূর্ণ অবৈধ। আর এই কারনেই নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাফর সাদিক চৌধুরী তার ইজারা বাতিল করে দেন। এদিকে নামধারী বিএনপির নেতা হাসান আলীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে রবিউল ইসলাম মানিক নামে ফতুল্লার এক ব্যবসায়ী একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে মানিক উল্লেখ্য করেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলী সেন্ডিকেট করে চাঁদাবাজি করছেন। একজন আইনজীবী ও তার সাথে জড়িত আছেন। ওই আইনজীবী চাঁদাবাজির ৩০% পেয়ে থাকেন। তিনি আরও উল্লেখ্য করেন গত এক বছরে এই হাসান আলী ব্যবসায়ী, শিল্পকারখানা,ইটভাটা, ফেরিঘাট ও অন্যান্য স্হান থেকে চাদাঁবাজি করে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার নিজ এলাকায় বিলাশবহুল তিন তলা ভবন নির্মান ও দুটি গাড়ি কিনেছেন যা ভাড়ায় চালিত হয়। এছাড়াও অভিযোগে আরও উল্লেখ্য করেন হাসান আলী আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে পাঁচটি ব্যাংকের সাতটি একাউন্টে তার ও তার পরিবারের নামে ৯৬ নব্বই কোটি টাকা জমা আছে। এলাকায় প্রভাব ও আদিপত্য বিস্তারে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উল্লেখ্য করেন।
এবিষয়ে হাসান আলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটা পক্ষ ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। দোষী হলে অবশ্যই আমার বিচার হবে।