ঢাকা , বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বন্দরে ওসি-দারোগার বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তরে ইউপি সদস্যের অভিযোগ Logo রূপগঞ্জে ডহরগাওয়ে আলেম-ওলামাদের উদ্যোগে গান-বাজনা বন্ধ Logo বন্দর ইউনিয়ন বিএনপি’র কর্মী সভা ও তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ Logo স্বৈরাচারের দোসর নূর জাহানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন ছাত্র-জনতা Logo টঙ্গীবাড়ি থানায় চুরির ঘটনা Logo নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা Logo ফতুল্লায় বাসের ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু, আহত ২ : বাস ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ Logo জনগণের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন আবু জাফর আহমেদ বাবুল Logo প্রাইম বাবুলের পক্ষ থেকে তারেক রহমানে ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ Logo আরসিসি রাস্তার ঢালাই কাজের উদ্বোধন করেন চেয়ারম্যান হাজ্বী আব্দুল্লাহ আল মামুন

মারধর হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িঘর ছাড়া চাঁন বাদশা আতঙ্কিত বৃদ্ধ মা প্রকৃত প্রশাসনিক বিচার চায়ে বন্দর থানায় অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ গত ২১ মার্চ শুক্রবার বিকালে একটি পারিবারিক ঝগড়া নিয়ে ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায় বড় ভাই সিরাজ, তাঁর ছেলে জনি, সিরাজের স্ত্রী ফরিদা তাঁর মেয়ে শান্তা গং। নিরীহ চাঁন বাদশাকে পরের দিন শনিবারসহ শারিরিক নির্যাতন মারধর করে বৃদ্ধ মাকে একা বাড়ি ফেলে প্রতিপক্ষের ভয়ে ঘর ছাড়া। এ নিয়ে চাঁন বাদশা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে চাঁন বাদশা বলেন “ বিবাদীগন আমার ভাই, ভাবি ও ভাতিজা/ভাতিজি। বিবাদীদের সহিত আমার ঘটনার পূর্ব হইতে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলমান। বিবাদীগন ঘটনার পূর্ব হইতে আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনদের মারপিট সহ হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে। ইং ২১/০৩/২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকার সময় বিবাদীগন সহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমার বসত বাড়ীতে প্রবেশ করিয়া আমাকে সহ আমায় পরিবারের লোকজনদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। আমার বাড়িঘরের মেরামতের জন্য ১ লক্ষ টাকা ছিলো, বাড়ির প্রয়োজনীয় দলিল পত্রসহ আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার একদিন পর রাত ২টা ৩০ মিনিট সময়ে বাহির থেকে মোটর সাইকেল দিয়ে চারজন লোক আসে এবং আমাকে মারধর করে সবকিছু নিয়ে যায়। আমার ভাতিজি শান্তা ও তাঁর মা আমাকে তাঁদের গায়ে হাত তুলেছি বলে ভয়ানক অভিযোগ করতে চেষ্টা করছে। আমি প্রতিবাদ করিলে ১নং বিবাদীর হুকুমে সকল বিবাদীগন আমাকে অতর্কিত মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা জখম করে। ১নং বিবাদী তার হাতে থাকা কাঠের ডাসা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত মারিয়া রক্তাক্ত জখম করে। আমার ডাকচিৎকারে আমার মা হেলাতুন নেছা আগাইয়া আসিলে বিবাদীগন আমার মাকে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা রক্ত জমাট জখম করে। আমাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীগন আমার বসত বাড়ীর বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করিয়া ক্ষতি সাধন সহ আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনদের সুযোগমত পাইলে খুন-জখম করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে মর্মে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে। স্থানীয় লোকজন আমাকে জখমী অবস্থায় বন্দর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায়। বিবাদীদের দ্বারা যে কোন সময় আমার ও আমার পরিবাবের লোকজনদের জান মালের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান। আমার ভাতিজী শান্তা আমাকে বলে আমি কি জিনিস তোকে বুঝিয়ে দিবো, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আমার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন এর মামলা করবে বলেও ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। আমাকে ঘরে ঢুকতে দিচ্ছেনা। আমি বাহিরে থাকছি। ঘটনার বিষয়ে আমার পরিবারের লোকজনদের সহ আলাপ আলোচনা করিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।”
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায় চাঁনবাদশার ঘরের আলমারি খাট সবকিছু ভাঙা, পানি খাওয়ার নলকুপও ও ভিটির ইট ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। আরো জানান বিবাদীদের ভয়ে বাইরে থাকছেন তিনি। চাঁন বাদশার মা আক্ষেপ করে বলেন রমজান মাসে এভাবে আক্রমণ করা ঠিক হয়নি, আমি এর বিচার চাই। আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাই। আগামী সংখ্যায় চোখ রাখুন।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

বন্দরে ওসি-দারোগার বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তরে ইউপি সদস্যের অভিযোগ

মারধর হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িঘর ছাড়া চাঁন বাদশা আতঙ্কিত বৃদ্ধ মা প্রকৃত প্রশাসনিক বিচার চায়ে বন্দর থানায় অভিযোগ

আপডেট সময় ০২:৩৬:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধিঃ গত ২১ মার্চ শুক্রবার বিকালে একটি পারিবারিক ঝগড়া নিয়ে ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায় বড় ভাই সিরাজ, তাঁর ছেলে জনি, সিরাজের স্ত্রী ফরিদা তাঁর মেয়ে শান্তা গং। নিরীহ চাঁন বাদশাকে পরের দিন শনিবারসহ শারিরিক নির্যাতন মারধর করে বৃদ্ধ মাকে একা বাড়ি ফেলে প্রতিপক্ষের ভয়ে ঘর ছাড়া। এ নিয়ে চাঁন বাদশা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে চাঁন বাদশা বলেন “ বিবাদীগন আমার ভাই, ভাবি ও ভাতিজা/ভাতিজি। বিবাদীদের সহিত আমার ঘটনার পূর্ব হইতে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলমান। বিবাদীগন ঘটনার পূর্ব হইতে আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনদের মারপিট সহ হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে। ইং ২১/০৩/২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকার সময় বিবাদীগন সহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমার বসত বাড়ীতে প্রবেশ করিয়া আমাকে সহ আমায় পরিবারের লোকজনদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। আমার বাড়িঘরের মেরামতের জন্য ১ লক্ষ টাকা ছিলো, বাড়ির প্রয়োজনীয় দলিল পত্রসহ আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার একদিন পর রাত ২টা ৩০ মিনিট সময়ে বাহির থেকে মোটর সাইকেল দিয়ে চারজন লোক আসে এবং আমাকে মারধর করে সবকিছু নিয়ে যায়। আমার ভাতিজি শান্তা ও তাঁর মা আমাকে তাঁদের গায়ে হাত তুলেছি বলে ভয়ানক অভিযোগ করতে চেষ্টা করছে। আমি প্রতিবাদ করিলে ১নং বিবাদীর হুকুমে সকল বিবাদীগন আমাকে অতর্কিত মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা জখম করে। ১নং বিবাদী তার হাতে থাকা কাঠের ডাসা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত মারিয়া রক্তাক্ত জখম করে। আমার ডাকচিৎকারে আমার মা হেলাতুন নেছা আগাইয়া আসিলে বিবাদীগন আমার মাকে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা রক্ত জমাট জখম করে। আমাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীগন আমার বসত বাড়ীর বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করিয়া ক্ষতি সাধন সহ আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকজনদের সুযোগমত পাইলে খুন-জখম করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে মর্মে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে। স্থানীয় লোকজন আমাকে জখমী অবস্থায় বন্দর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায়। বিবাদীদের দ্বারা যে কোন সময় আমার ও আমার পরিবাবের লোকজনদের জান মালের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান। আমার ভাতিজী শান্তা আমাকে বলে আমি কি জিনিস তোকে বুঝিয়ে দিবো, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আমার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন এর মামলা করবে বলেও ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। আমাকে ঘরে ঢুকতে দিচ্ছেনা। আমি বাহিরে থাকছি। ঘটনার বিষয়ে আমার পরিবারের লোকজনদের সহ আলাপ আলোচনা করিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।”
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায় চাঁনবাদশার ঘরের আলমারি খাট সবকিছু ভাঙা, পানি খাওয়ার নলকুপও ও ভিটির ইট ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। আরো জানান বিবাদীদের ভয়ে বাইরে থাকছেন তিনি। চাঁন বাদশার মা আক্ষেপ করে বলেন রমজান মাসে এভাবে আক্রমণ করা ঠিক হয়নি, আমি এর বিচার চাই। আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাই। আগামী সংখ্যায় চোখ রাখুন।