ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনকে ২ ভাগে বিভক্ত করার প্রতিবাদে বন্দরবাসীর আয়োজনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন Logo বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের Logo সোনারগাঁয়ে পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাস স্থাপন Logo বন্দরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় যুবকের আত্মসমর্পণ Logo সিদ্ধিরগঞ্জে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী আহত Logo সিদ্ধিরগঞ্জে হেরোইনসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার Logo জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: জনআকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা Logo জুলাই আমাদের আন্দোলনের প্রতীক, আগস্ট আমাদের বিজয়ের প্রত্যয় Logo অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে পদোন্নতি পেলেন সদর ইউএনও জাফর সাদিক, নতুন ইউএনও তাছলিমা শিরিন Logo ডিএনডির জলাবদ্ধতার নিরসনের দাবিতে জেলা প্রশাসককে গিয়াসউদ্দিনের স্মারকলিপি

গাজা কোনো রাজনৈতিক লেনদেনের দর-কষাকষির উপকরণ নয়: চীন

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, গাজা ও পশ্চিম তীর ফিলিস্তিনি জনগণের মাতৃভূমি। এটি কোনো রাজনৈতিক লেনদেনের দর-কষাকষির উপকরণ নয়।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ওয়াং ই বলেন, ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ দুই-রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে নির্ধারিত হওয়া জরুরি।

তিনি বলেন, গাজা ও পশ্চিম তীর ফিলিস্তিনি জনগণের মাতৃভূমি, কোনো রাজনৈতিক লেনদেনের দর-কষাকষির উপকরণ নয়। গাজার যুদ্ধ পরবর্তী শাসন ব্যবস্থায় ফিলিস্তিনিদের শাসনের অধিকার নিশ্চিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি।

চীন ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে থাকায় বৈঠকটি তিনি সভাপতিত্ব করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি একটি বিতর্কিত প্রস্তাব দেন, যেখানে গাজা ভূখণ্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কথা বলা হয় এবং ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশগুলোতে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

ট্রাম্পের এই প্রস্তাব বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ফিলিস্তিনিরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তারা নিজেদের মাতৃভূমি ছাড়বেন না। অন্যদিকে মিসর ও জর্ডান, যাদের সৌদি আরব সমর্থন দিয়েছে, তারা গাজার জনগণকে আশ্রয় দেওয়ার ট্রাম্পের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে।

অন্যদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রশংসা করেছেন এবং ইসরাইল এটিকে বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

এদিকে, মিশর একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, যেখানে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত না করেই গাজার পুনর্গঠনের ব্যবস্থা করা হবে। এটি ট্রাম্পের প্রস্তাবের পাল্টা উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ট্রাম্পের পরিকল্পনা মূলত জোরপূর্বক উচ্ছেদ, যা একটি সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের শামিল। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশও এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে।

ওয়াং ই আরও বলেন, কোনো দেশ যদি কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অকার্যকর করতে চায়, তবে তা মেনে নেওয়া যায় না। নিরাপত্তা পরিষদকে সংকীর্ণ ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্য ও সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বলপ্রয়োগ, প্রতারণা বা ব্ল্যাকমেইল কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী। নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়াই আরোপিত যে কোনো একতরফা নিষেধাজ্ঞা আইনগত ভিত্তিহীন, অযৌক্তিক এবং সাধারণ জ্ঞানের পরিপন্থি।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনকে ২ ভাগে বিভক্ত করার প্রতিবাদে বন্দরবাসীর আয়োজনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

গাজা কোনো রাজনৈতিক লেনদেনের দর-কষাকষির উপকরণ নয়: চীন

আপডেট সময় ১০:২০:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, গাজা ও পশ্চিম তীর ফিলিস্তিনি জনগণের মাতৃভূমি। এটি কোনো রাজনৈতিক লেনদেনের দর-কষাকষির উপকরণ নয়।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ওয়াং ই বলেন, ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ দুই-রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে নির্ধারিত হওয়া জরুরি।

তিনি বলেন, গাজা ও পশ্চিম তীর ফিলিস্তিনি জনগণের মাতৃভূমি, কোনো রাজনৈতিক লেনদেনের দর-কষাকষির উপকরণ নয়। গাজার যুদ্ধ পরবর্তী শাসন ব্যবস্থায় ফিলিস্তিনিদের শাসনের অধিকার নিশ্চিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি।

চীন ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে থাকায় বৈঠকটি তিনি সভাপতিত্ব করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি একটি বিতর্কিত প্রস্তাব দেন, যেখানে গাজা ভূখণ্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কথা বলা হয় এবং ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশগুলোতে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

ট্রাম্পের এই প্রস্তাব বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ফিলিস্তিনিরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তারা নিজেদের মাতৃভূমি ছাড়বেন না। অন্যদিকে মিসর ও জর্ডান, যাদের সৌদি আরব সমর্থন দিয়েছে, তারা গাজার জনগণকে আশ্রয় দেওয়ার ট্রাম্পের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে।

অন্যদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রশংসা করেছেন এবং ইসরাইল এটিকে বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

এদিকে, মিশর একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, যেখানে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত না করেই গাজার পুনর্গঠনের ব্যবস্থা করা হবে। এটি ট্রাম্পের প্রস্তাবের পাল্টা উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ট্রাম্পের পরিকল্পনা মূলত জোরপূর্বক উচ্ছেদ, যা একটি সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের শামিল। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশও এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে।

ওয়াং ই আরও বলেন, কোনো দেশ যদি কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অকার্যকর করতে চায়, তবে তা মেনে নেওয়া যায় না। নিরাপত্তা পরিষদকে সংকীর্ণ ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্য ও সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বলপ্রয়োগ, প্রতারণা বা ব্ল্যাকমেইল কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী। নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়াই আরোপিত যে কোনো একতরফা নিষেধাজ্ঞা আইনগত ভিত্তিহীন, অযৌক্তিক এবং সাধারণ জ্ঞানের পরিপন্থি।