ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হত্যা মামলায় জাকির খানের পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক

ব্যবসায়ী সাব্বির হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিনব্যাপী নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মমিনুল ইসলামের আদালতে এই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবী তা উপস্থাপন করেন। তবে এ দিন আদালতে জাকির খানকে তোলা হয়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, নিরাপত্তা জনিত কারণে জাকির খানকে আদালতে তোলা হয়নি। আজ মামলাটির যুক্তিতর্ক হয়েছে। আগামী তারিখে বাকি যুক্তিতর্ক হবে।

এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. রবিউল হোসেন বলেন, আজ সাব্বির আলম হত্যা মামলায় যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য্য ছিল। জাকির খানের পক্ষে আমরা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দুই দফায় যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করেছি। ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের যুক্তিতর্ক আদালতে উপস্থাপন করেছি। বাকি যুক্তিতর্ক আগামীকাল হবে।

তিনি আরও বলেন, মামলায় সাব্বির আলমের ভাই-বোন ও ভাইয়ের স্ত্রী ছাড়া বাকি সব সাক্ষী ও জব্দ তালিকার সাক্ষীরা সবাই বলেছে, তারা এ বিষয়ে জানেনা। এ বিষয়গুলো আদালতে উপস্থাপন করেছি। এই মামলা আরও এক বা দুই দিন চলতে পারে। এরপর আশা করি আমরা (জাকির খান) মামলা থেকে খালাস পাবো। এই মামলা থেকে খালাস পেলে আমাদের আসামিদের মুক্তি পেতে আর কোন বাধা থাকবে না। আজকে মামলার এই পর্যায়ে জামিন চাওয়ার সুযোগ নেই।

এদিকে সকাল থেকে জাকির খানের মুক্তির দাবিতে আদালতপাড়ায় শত শত নেতাকর্মী ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জড় হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনির খান, সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি দিদার খন্দকার , যুবদল নেতা পারভেজ মল্লিক, সলিমুল্লাহ করিম সেলিম, সহ প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার । এ হত্যাকান্ডের পর তার বড় ভাই তৈমূর আলম খন্দকার বাদি হয়ে ১৭ জনকে আসামী করে ফতল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তিতে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়।

সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে তিনি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারী আদালতে ৮ জনকে আসামী করে চার্জশীট দাখিল করেন। এতে মামলা থেকে সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল, শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ মোট ৮ জনকে আসামি উল্লেখ করা হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

হত্যা মামলায় জাকির খানের পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক

আপডেট সময় ০৩:৩১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

ব্যবসায়ী সাব্বির হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিনব্যাপী নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মমিনুল ইসলামের আদালতে এই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবী তা উপস্থাপন করেন। তবে এ দিন আদালতে জাকির খানকে তোলা হয়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, নিরাপত্তা জনিত কারণে জাকির খানকে আদালতে তোলা হয়নি। আজ মামলাটির যুক্তিতর্ক হয়েছে। আগামী তারিখে বাকি যুক্তিতর্ক হবে।

এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. রবিউল হোসেন বলেন, আজ সাব্বির আলম হত্যা মামলায় যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য্য ছিল। জাকির খানের পক্ষে আমরা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দুই দফায় যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করেছি। ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের যুক্তিতর্ক আদালতে উপস্থাপন করেছি। বাকি যুক্তিতর্ক আগামীকাল হবে।

তিনি আরও বলেন, মামলায় সাব্বির আলমের ভাই-বোন ও ভাইয়ের স্ত্রী ছাড়া বাকি সব সাক্ষী ও জব্দ তালিকার সাক্ষীরা সবাই বলেছে, তারা এ বিষয়ে জানেনা। এ বিষয়গুলো আদালতে উপস্থাপন করেছি। এই মামলা আরও এক বা দুই দিন চলতে পারে। এরপর আশা করি আমরা (জাকির খান) মামলা থেকে খালাস পাবো। এই মামলা থেকে খালাস পেলে আমাদের আসামিদের মুক্তি পেতে আর কোন বাধা থাকবে না। আজকে মামলার এই পর্যায়ে জামিন চাওয়ার সুযোগ নেই।

এদিকে সকাল থেকে জাকির খানের মুক্তির দাবিতে আদালতপাড়ায় শত শত নেতাকর্মী ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জড় হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনির খান, সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি দিদার খন্দকার , যুবদল নেতা পারভেজ মল্লিক, সলিমুল্লাহ করিম সেলিম, সহ প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার । এ হত্যাকান্ডের পর তার বড় ভাই তৈমূর আলম খন্দকার বাদি হয়ে ১৭ জনকে আসামী করে ফতল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তিতে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়।

সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে তিনি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারী আদালতে ৮ জনকে আসামী করে চার্জশীট দাখিল করেন। এতে মামলা থেকে সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল, শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ মোট ৮ জনকে আসামি উল্লেখ করা হয়।