ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo যাদের জীবিকা শুধু রাজনীতি, তাদের মূল পেশা দুর্নীতি Logo পুকুরের পানি সব ঘোলা করে ফেলেছি : পরীমণি Logo ভিনিসিয়ুসের গোলে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের জয় Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কমনওয়েলথ মহাসচিবের সাক্ষাৎ Logo ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক ১৩ জুন, স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে সংশয় Logo ট্রাম্পের অভিবাসন অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ: লস অ্যাঞ্জেলেসে কারফিউ জারি Logo ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেস্টার অভিযোগে সেই ২ পুলিশ সদস্য ক্লোজড Logo ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর সোনারগাঁয়ের পর্যটনকেন্দ্র Logo রূপগঞ্জে বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা Logo রূপগঞ্জে ব্যাটারী চা‌লিত অ‌টোরিক্সা ও মাই‌ক্রোবা‌সের সংঘর্ষে নিহত ২

৮ জন মেডিকেল শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবিতে ছাত্রদলের মানববন্ধন এবং স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন

রাজধানী উত্তরার শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেখ মুজিবের ছবি নামানোকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উক্ত মেডিকেল কলেজের আটজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মেডিকেল ক্যাম্পাসে একটি স্মারকলিপি প্রদান এবং প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে।
সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা বলেন আপনারা সকলেই জানেন দীর্ঘ ১৫ বছর এ বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার সহ সকল মৌলিক অধিকারগুলোকে করায়ত্ত করার মাধ্যমে একটি একদলীয় ফ্যাসিস্ট সরকার কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। গত জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতা গনঅভুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন হলেও,ফ্যাসিবাদের দোষররা এখনো বহাল তবিয়তেই আছে। আমরা বর্তমানে যে মেডিকেল কলেজটির সামনে দাড়িয়ে কথা বলছি তার ইতিহাস অনেক পুরোনো। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মিরপুরে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের জায়গায় একটি চিকিৎসাকেন্দ্র খোলা হয়েছিল আশির দশকে। মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের আর্থিক সহায়তা আসার পর এর নাম হয় উম্মাহ্‌ মেডিকেল। ১৯৯৫ সালে কলেজের কার্যক্রম শুরু হলে নাম দেওয়া হয় উম্মাহ্ মেডিকেল কলেজ। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রতিষ্ঠানটি উত্তরায় চলে আসে এবং সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের বাবার নামে মেডিকেল কলেজের নামকরণ করা হয় শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ।
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে রাখা হয় মওলানা ভাসানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে প্রতিষ্ঠানটির আবার নামকরণ হয় শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ এবং তখন থেকেই এই মেডিকেল কলেজের পরিচালনা পর্ষদ এবং ট্রাস্ট দখল করেন মোহাম্মদ নাসিমের পরিবার অর্থাৎ তার স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ , ছেলে তমাল মনসুর এবং তানভীর শাকিল স্বেচ্ছাচারিতা ও লুটপাটের মাধ্যমে সেবাদানকারী একটি প্রতিষ্ঠানকে তারা রাজনৈতিক কার্যালয়ের মত বানিয়ে ফেলেছিল। যার ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্ট গন অভুত্থানের সময়ে হাসপাতালের গেট বন্ধ করে গুলিবিদ্ধ অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে কোন ধরনের চিকিৎসা সেবা নেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়। যার ফলে প্রাথমিক চিকিৎসার অভাবে অনেকেই সে সময় মৃত্যুবরণ করেছেন,অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।
সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ এদের কুক্ষিগত থাকলেও ৫ ই আগস্টের পরবর্তী সময়ে এসেও তাদের দৌরাত্ব থামেনি। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার পর প্রায় সাড়ে ৩ মাস এই মেডিকেল কলেজের দেয়ালে ঝুলেছে বাকশালের প্রবর্তক শেখ মুজিবের ছবি। ১৯শে নভেম্বর ২০২৪ এ সতেচন কিছু ছাত্র জনতা শেখ মুজিবের ছবি এই মেডিকেল কলেজ থেকে অপসারণ করলেও তারপর থেকে নাসিম গং এবং তাদের সযত্নে লালিত-পালিত কিছু কর্মকর্তাবৃন্দের মাধ্যমে মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর অত্যচারের খড়গ নেমে আসে। তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করা শুরু হয় ও তাদের নিয়মিত পাঠদানে বাধা দেওয়া হয়। শৃঙ্খলা ভংগের অভিযোগে তাদেরকে ৩ দফা নোটিশ পাঠিয়েই তারা ক্ষান্ত হননি তাদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যে মামলা দেওয়া হয় এবং সর্বশেষ তাদের মধ্যে ৮ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
আপনারা জানেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বরাবরই এ দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সর্বদা সচেষ্ট। যে মিথ্যা শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ৮ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে তা আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাক্ষান করি। আমরা আবারো বলতে চাই এ দেশের সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোকে তাদের মাঝে ফিরিয়ে দিতে ছাত্রদল ইস্পাত-দৃঢ় মনোবল ধারন করে। ক্যাম্পাসের সাধারণ পড়াশোনার পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে ছাত্রদল সংকল্পবদ্ধ। তাই আমরা মেডিকেল কলেজ প্রসাশনের নিকট আবেদন জানাবো যাতে তারা শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিয়ে তাদের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রনের সুযোগ করে দেন। অন্যথায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট নিয়ে তাদের অধিকার আদায়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

যাদের জীবিকা শুধু রাজনীতি, তাদের মূল পেশা দুর্নীতি

৮ জন মেডিকেল শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবিতে ছাত্রদলের মানববন্ধন এবং স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন

আপডেট সময় ১০:৩১:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানী উত্তরার শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেখ মুজিবের ছবি নামানোকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উক্ত মেডিকেল কলেজের আটজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মেডিকেল ক্যাম্পাসে একটি স্মারকলিপি প্রদান এবং প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে।
সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা বলেন আপনারা সকলেই জানেন দীর্ঘ ১৫ বছর এ বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার সহ সকল মৌলিক অধিকারগুলোকে করায়ত্ত করার মাধ্যমে একটি একদলীয় ফ্যাসিস্ট সরকার কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। গত জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতা গনঅভুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন হলেও,ফ্যাসিবাদের দোষররা এখনো বহাল তবিয়তেই আছে। আমরা বর্তমানে যে মেডিকেল কলেজটির সামনে দাড়িয়ে কথা বলছি তার ইতিহাস অনেক পুরোনো। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মিরপুরে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের জায়গায় একটি চিকিৎসাকেন্দ্র খোলা হয়েছিল আশির দশকে। মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের আর্থিক সহায়তা আসার পর এর নাম হয় উম্মাহ্‌ মেডিকেল। ১৯৯৫ সালে কলেজের কার্যক্রম শুরু হলে নাম দেওয়া হয় উম্মাহ্ মেডিকেল কলেজ। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রতিষ্ঠানটি উত্তরায় চলে আসে এবং সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের বাবার নামে মেডিকেল কলেজের নামকরণ করা হয় শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ।
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে রাখা হয় মওলানা ভাসানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে প্রতিষ্ঠানটির আবার নামকরণ হয় শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ এবং তখন থেকেই এই মেডিকেল কলেজের পরিচালনা পর্ষদ এবং ট্রাস্ট দখল করেন মোহাম্মদ নাসিমের পরিবার অর্থাৎ তার স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ , ছেলে তমাল মনসুর এবং তানভীর শাকিল স্বেচ্ছাচারিতা ও লুটপাটের মাধ্যমে সেবাদানকারী একটি প্রতিষ্ঠানকে তারা রাজনৈতিক কার্যালয়ের মত বানিয়ে ফেলেছিল। যার ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্ট গন অভুত্থানের সময়ে হাসপাতালের গেট বন্ধ করে গুলিবিদ্ধ অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে কোন ধরনের চিকিৎসা সেবা নেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়। যার ফলে প্রাথমিক চিকিৎসার অভাবে অনেকেই সে সময় মৃত্যুবরণ করেছেন,অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।
সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ এদের কুক্ষিগত থাকলেও ৫ ই আগস্টের পরবর্তী সময়ে এসেও তাদের দৌরাত্ব থামেনি। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার পর প্রায় সাড়ে ৩ মাস এই মেডিকেল কলেজের দেয়ালে ঝুলেছে বাকশালের প্রবর্তক শেখ মুজিবের ছবি। ১৯শে নভেম্বর ২০২৪ এ সতেচন কিছু ছাত্র জনতা শেখ মুজিবের ছবি এই মেডিকেল কলেজ থেকে অপসারণ করলেও তারপর থেকে নাসিম গং এবং তাদের সযত্নে লালিত-পালিত কিছু কর্মকর্তাবৃন্দের মাধ্যমে মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর অত্যচারের খড়গ নেমে আসে। তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করা শুরু হয় ও তাদের নিয়মিত পাঠদানে বাধা দেওয়া হয়। শৃঙ্খলা ভংগের অভিযোগে তাদেরকে ৩ দফা নোটিশ পাঠিয়েই তারা ক্ষান্ত হননি তাদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যে মামলা দেওয়া হয় এবং সর্বশেষ তাদের মধ্যে ৮ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
আপনারা জানেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বরাবরই এ দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সর্বদা সচেষ্ট। যে মিথ্যা শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ৮ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে তা আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাক্ষান করি। আমরা আবারো বলতে চাই এ দেশের সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোকে তাদের মাঝে ফিরিয়ে দিতে ছাত্রদল ইস্পাত-দৃঢ় মনোবল ধারন করে। ক্যাম্পাসের সাধারণ পড়াশোনার পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে ছাত্রদল সংকল্পবদ্ধ। তাই আমরা মেডিকেল কলেজ প্রসাশনের নিকট আবেদন জানাবো যাতে তারা শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিয়ে তাদের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রনের সুযোগ করে দেন। অন্যথায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট নিয়ে তাদের অধিকার আদায়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।