ঢাকা , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা থেকে অজ্ঞাতনামা ৩ লাশ উদ্ধার Logo তারেক রহমান ১৬বছর স্বৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছে : মুহাম্মাদ সাদরিল Logo জুলাই আগস্টের অভ্যুত্থানের সকল শহীদদের স্মরণে শোক র‍্যালী Logo নারায়ণগঞ্জে হকার্স মার্কেটে আগুনে পুড়লো ৩০ দোকান Logo আইভী ৬ কোটি টাকা বেতন পেয়ে ২৫ কোটি টাকায় বাড়ি বানিয়েছেন : সাখাওয়াত Logo বন্দরে ডকইয়ার্ড শ্রমিক নূর হোসেন নিহত Logo বিএনপি নেতা আলোচিত সন্ত্রাসী আকরাম জালিয়াতির দুই মামলায় গ্রেপ্তার Logo বিক্ষোভ সমাবেশে শত ” শত নেতাকর্মী নিয়ে যোগদান করেন মোঃ আব্দুল্লাহ হক শাকুর Logo ছক কষে অপেক্ষায় ছিল আ.লীগ, অন্য জেলার নেতাকর্মীরাও জড়ো হন গোপালগঞ্জে Logo শান্ত-লিটনদের জন্য পাওয়ার হিটিংয়ে প্রসিদ্ধ কোচ আনছে বিসিবি!

সিদ্ধিরগঞ্জে সরকারি জমি দখল নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

সিদ্ধিরগঞ্জে রেলওয়ের সরকারি জমি দখলকে কেন্দ্র করে নীট কনসার্ন গ্রুপ অব ইন্ডস্ট্রিজ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পাঠানটুলী এলাকায় ছাত্র-জনতার ব্যানারে নীট কনসার্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে মানববন্ধন ও টিনের বেড়া ভেঙে ফেলায় ঘটনার সূত্রপাত হয়।

এনিয়ে দিনব্যপী চলে উত্তেজনা। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে দুপক্ষ মুখমোখী অবস্থান নিলে সেনাবাহনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।

এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার হাসিনুজ্জামান ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলমের সঙ্গে বাক বিতণ্ডা হয় ছাত্রজনতার।

জানা গেছে, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ঘটনায় করা হত্যা মামলার আসামি পাঠানটুলী এলাকার সাব্বির ভূঁইয়া নীট কনসার্ন গ্রুপের ভেতরে ৪ শতাংশ জমির মালিক দাবি করে আসছেন।

তিনি এ জমি দখলমুক্ত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আনিককে পাওয়ার নামা দলিল করে দেন। শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে অনিক ১৫-১৫ জন লোক নিয়ে ছাত্রজনতার ব্যানারে জমিদখলকারী নীট কনসার্ন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে। পরে তারা শিল্পপ্রতিষ্ঠানটির দেওয়া টিনের বেড়া ভাঙচুর করে।

তখন প্রতিষ্ঠানের ক্যাডার বাহিনী ও শ্রমিকরা তাদের ধাওয়া দেয়। এতে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে অর্ধশতাধিক স্থানীয় লোকজন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা নীট কনসার্ন গ্রুপের সামনে জড়ো হয়।

তখন নীট কনসার্ন গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকের একাংশ ও ক্যাডাররা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হয়ে ভেঙে ফেলা টিনের বেড়াটি আবার লাগিয়ে ফেলে।

এসময় ছাত্রনেতা লোকজন নিয়ে ক্যাডার ও শ্রমিকদের প্রতিহত করার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হয়। পুলিশ তাদের কথামত কাজ না করায় জেলা সহকারী পুলিশ সুপার হাসিনুজ্জামান ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলমের সঙ্গে অসদাচরণ শুরু করেন।

পরে বিপুল সংখ্যক সেনাবাহনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে দুপক্ষ সরে যায়। এতে পরিস্থিত শান্ত হয়।

জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী নেতা অনিক বলেন, আমি সাব্বির ভূঁইয়ার কাছ থেকে এ জমি পাওয়ার নামা দলিল করে নিয়েছি। জমির দখল ছেড়ে দিতে বলায় ভূমিদস্যু নীট কনসার্ন কর্তৃপক্ষের ক্যাডার বাহিনী আমাদের উপর হামলা করে।

অনিকের অভিযোগ অস্বীকার করে নীট কনসার্স গ্রুপের ডিরেক্টর মো. জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা বলেন, মূলত এটা রেলওয়ের সরকারি জমি। এ জমি আমরা সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়েছি। বছরে সরকারকে ৩৭ লাখ ১৩ হাজার ৮০৮ টাকা কর দেই।

ছাত্র-জনতার ব্যানারে কিছু লোক এসে জমি দখল করে নিতে আমাদের দেওয়া বেড়া ভেঙ্গে ফেলে। আমাদের এখানে প্রায় ২৬ হাজার শ্রমিক রয়েছে। যদি আমরা হামলা করতাম তাদের অস্তিত্ব থাকতো না।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহিনূর আলম বলেন, সরকারি জমি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।

জেলা সহকারী পুলিশ সুপার হাসিনুজ্জামান বলেন, আমরা দুপক্ষকে শান্ত করেছি। বিষয়টি দেখার দায়ীত্ব নিয়েছেন সেনাবাহিনী।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা থেকে অজ্ঞাতনামা ৩ লাশ উদ্ধার

সিদ্ধিরগঞ্জে সরকারি জমি দখল নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

আপডেট সময় ১০:৩৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জে রেলওয়ের সরকারি জমি দখলকে কেন্দ্র করে নীট কনসার্ন গ্রুপ অব ইন্ডস্ট্রিজ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পাঠানটুলী এলাকায় ছাত্র-জনতার ব্যানারে নীট কনসার্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে মানববন্ধন ও টিনের বেড়া ভেঙে ফেলায় ঘটনার সূত্রপাত হয়।

এনিয়ে দিনব্যপী চলে উত্তেজনা। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে দুপক্ষ মুখমোখী অবস্থান নিলে সেনাবাহনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।

এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার হাসিনুজ্জামান ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলমের সঙ্গে বাক বিতণ্ডা হয় ছাত্রজনতার।

জানা গেছে, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ঘটনায় করা হত্যা মামলার আসামি পাঠানটুলী এলাকার সাব্বির ভূঁইয়া নীট কনসার্ন গ্রুপের ভেতরে ৪ শতাংশ জমির মালিক দাবি করে আসছেন।

তিনি এ জমি দখলমুক্ত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আনিককে পাওয়ার নামা দলিল করে দেন। শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে অনিক ১৫-১৫ জন লোক নিয়ে ছাত্রজনতার ব্যানারে জমিদখলকারী নীট কনসার্ন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে। পরে তারা শিল্পপ্রতিষ্ঠানটির দেওয়া টিনের বেড়া ভাঙচুর করে।

তখন প্রতিষ্ঠানের ক্যাডার বাহিনী ও শ্রমিকরা তাদের ধাওয়া দেয়। এতে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে অর্ধশতাধিক স্থানীয় লোকজন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা নীট কনসার্ন গ্রুপের সামনে জড়ো হয়।

তখন নীট কনসার্ন গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকের একাংশ ও ক্যাডাররা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হয়ে ভেঙে ফেলা টিনের বেড়াটি আবার লাগিয়ে ফেলে।

এসময় ছাত্রনেতা লোকজন নিয়ে ক্যাডার ও শ্রমিকদের প্রতিহত করার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হয়। পুলিশ তাদের কথামত কাজ না করায় জেলা সহকারী পুলিশ সুপার হাসিনুজ্জামান ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলমের সঙ্গে অসদাচরণ শুরু করেন।

পরে বিপুল সংখ্যক সেনাবাহনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে দুপক্ষ সরে যায়। এতে পরিস্থিত শান্ত হয়।

জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী নেতা অনিক বলেন, আমি সাব্বির ভূঁইয়ার কাছ থেকে এ জমি পাওয়ার নামা দলিল করে নিয়েছি। জমির দখল ছেড়ে দিতে বলায় ভূমিদস্যু নীট কনসার্ন কর্তৃপক্ষের ক্যাডার বাহিনী আমাদের উপর হামলা করে।

অনিকের অভিযোগ অস্বীকার করে নীট কনসার্স গ্রুপের ডিরেক্টর মো. জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা বলেন, মূলত এটা রেলওয়ের সরকারি জমি। এ জমি আমরা সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়েছি। বছরে সরকারকে ৩৭ লাখ ১৩ হাজার ৮০৮ টাকা কর দেই।

ছাত্র-জনতার ব্যানারে কিছু লোক এসে জমি দখল করে নিতে আমাদের দেওয়া বেড়া ভেঙ্গে ফেলে। আমাদের এখানে প্রায় ২৬ হাজার শ্রমিক রয়েছে। যদি আমরা হামলা করতাম তাদের অস্তিত্ব থাকতো না।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহিনূর আলম বলেন, সরকারি জমি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।

জেলা সহকারী পুলিশ সুপার হাসিনুজ্জামান বলেন, আমরা দুপক্ষকে শান্ত করেছি। বিষয়টি দেখার দায়ীত্ব নিয়েছেন সেনাবাহিনী।