ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বাবর-কোহলিদের ফাঁকি দিয়ে ‘বৃষ্টি’র জয়

পাল্লেকেলের অধিকাংশ দর্শকের ঠিকানা খোলা আকাশের নিচে। দুই পাশের গ্রিন গ্যালারিতে পার্টি-মুডে খেলা উপভোগ করতে পছন্দ করেন দর্শকরা। বৃষ্টি এলে এদিক ওদিক ছুটোছুটি করে ঠাঁই নেন গাছের তলায়। কিন্তু বেশি সংখ্যক দর্শকদের ভাগ্যে মাথা গোজার জায়গা হয় না। ভিজতে হয় নিরুপায় হয়ে।

ভারত-পাকিস্তান মহারণ দেখতে শনিবার পাল্লেকেলেতে ছিল দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়। দুই পাশের গ্রিন গ্যালারিতে ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই। বেরসিক বৃষ্টির বাধায় শেষ পর্যন্ত হতাশা নিয়ে কাকভেজা হয়ে ছাড়তে হয়েছে মাঠ। স্থানীয় সময় ৯টা ৫০ মিনিটে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

দফায়-দফায় কাভার দেওয়া-কাভার সরানোতে মহা ব্যস্ত ছিলেন মাঠ কর্মীরা। কিন্তু ভারতের ইনিংস শেষ হতেই হানা দেয় বৃষ্টি। মাঝে একবার থামলেও কাভার না সরতেই আবার বৃষ্টি পড়তে থাকে। মুহুর্তেই মাঠ ঢেকে দেওয়া হয়। স্থানীয় সময় ১০টা ২৭ মিনিট কাট-অফ টাইম দেওয়া হলেও আকাশের অবস্থা দেখে দিয়ে দেওয়া হয় ফাইনাল ঘোষণা।

 

টসের আগে থেকে বৃষ্টি ঝরছিল। তবে নির্ধারিত সময়ে হয় টস, শুরু হয় খেলাও। ৫ম ওভারের দ্বিতীয় বল মাঠ গড়াতেই শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টি বেশি অপেক্ষা করায়নি। খেলা শুরু হয় কিছুক্ষণের মধ্যে। বৃষ্টি থামলে এবার পাল্লেকেলেতে দেখা দেয় শাহীন শাহ আফ্রিদির তোপ।

রোহিত শর্মাকে (১১) অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে শুরু, দারুণ কাভার ড্রাইভে নান্দনিক ব্যাটিংয়ের আভাস দেওয়া বিরাট কোহলির (৪) উইকেটও ভেঙ্গে দেন নিমিষে। ৬৬ রান যোগ না হতে ভারত হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। এবার পাকিস্তানের সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান হার্দিক পান্ডিয়া-ইশান কিষান।

দুজনে প্রতিরোধ গড়ে সচল রাখেন রানের চাকা। সুযোগ পেলেই মারছেন বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি। দুজনে যোগ করেন ১৪১ বলে ১৩৮ রান। দুজনে ফিফটি তুলে ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। ৮২ রানে ইশান আউট হতে ভাঙে জুটি। তবুও ভরসা ছিলেন পান্ডিয়া। আবার বাঁধা হয়ে দাঁড়ান আফ্রিদি। ৮৭ রানে তাকে ফেরান সাজঘরে। ভারতের ইনিংস ভেঙে যায় তাসের ঘরের মতো। পান্ডিয়া আউটের পর ভারত ৪ উইকেটে ২৪ রান যোগ করে মাত্র।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি। খরচ করেন মাত্র ৩৫ রান। এ ছাড়া হারিস রউফ-নাসিম শাহ নেন ৩টি করে উইকেট। গতকাল ম্যাচপুর্ব সংবাদ সম্মেলনে এই তিন পেসারকে খেলার চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছিলেন রোহিত। আজ তাদের তোপেই কাটা পড়লো ভারতের সব ব্যাটসম্যান। তাতে কী, জয় তো হয়েছে শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির।

দুই দল পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে। এর মধ্যে পাকিস্তান নিশ্চিত করে সুপার ফোর। প্রথম ম্যাচে নেপালকে ২৩৮ রানে উড়িয়ে এশিয়া কাপ শুরু করেছিল পাকিস্তান। আজ আরও ১ পয়েন্ট যোগ হওয়াতে নিশ্চিত হয়ে যায় সুপার ফোর। অন্যদিকে ভারতকে অপেক্ষা করতে হবে ৪ সেপ্টেম্বর, নেপাল ম্যাচ পর্যন্ত।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

বাবর-কোহলিদের ফাঁকি দিয়ে ‘বৃষ্টি’র জয়

আপডেট সময় ০৩:২৩:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পাল্লেকেলের অধিকাংশ দর্শকের ঠিকানা খোলা আকাশের নিচে। দুই পাশের গ্রিন গ্যালারিতে পার্টি-মুডে খেলা উপভোগ করতে পছন্দ করেন দর্শকরা। বৃষ্টি এলে এদিক ওদিক ছুটোছুটি করে ঠাঁই নেন গাছের তলায়। কিন্তু বেশি সংখ্যক দর্শকদের ভাগ্যে মাথা গোজার জায়গা হয় না। ভিজতে হয় নিরুপায় হয়ে।

ভারত-পাকিস্তান মহারণ দেখতে শনিবার পাল্লেকেলেতে ছিল দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়। দুই পাশের গ্রিন গ্যালারিতে ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই। বেরসিক বৃষ্টির বাধায় শেষ পর্যন্ত হতাশা নিয়ে কাকভেজা হয়ে ছাড়তে হয়েছে মাঠ। স্থানীয় সময় ৯টা ৫০ মিনিটে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

দফায়-দফায় কাভার দেওয়া-কাভার সরানোতে মহা ব্যস্ত ছিলেন মাঠ কর্মীরা। কিন্তু ভারতের ইনিংস শেষ হতেই হানা দেয় বৃষ্টি। মাঝে একবার থামলেও কাভার না সরতেই আবার বৃষ্টি পড়তে থাকে। মুহুর্তেই মাঠ ঢেকে দেওয়া হয়। স্থানীয় সময় ১০টা ২৭ মিনিট কাট-অফ টাইম দেওয়া হলেও আকাশের অবস্থা দেখে দিয়ে দেওয়া হয় ফাইনাল ঘোষণা।

 

টসের আগে থেকে বৃষ্টি ঝরছিল। তবে নির্ধারিত সময়ে হয় টস, শুরু হয় খেলাও। ৫ম ওভারের দ্বিতীয় বল মাঠ গড়াতেই শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টি বেশি অপেক্ষা করায়নি। খেলা শুরু হয় কিছুক্ষণের মধ্যে। বৃষ্টি থামলে এবার পাল্লেকেলেতে দেখা দেয় শাহীন শাহ আফ্রিদির তোপ।

রোহিত শর্মাকে (১১) অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে শুরু, দারুণ কাভার ড্রাইভে নান্দনিক ব্যাটিংয়ের আভাস দেওয়া বিরাট কোহলির (৪) উইকেটও ভেঙ্গে দেন নিমিষে। ৬৬ রান যোগ না হতে ভারত হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। এবার পাকিস্তানের সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান হার্দিক পান্ডিয়া-ইশান কিষান।

দুজনে প্রতিরোধ গড়ে সচল রাখেন রানের চাকা। সুযোগ পেলেই মারছেন বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি। দুজনে যোগ করেন ১৪১ বলে ১৩৮ রান। দুজনে ফিফটি তুলে ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। ৮২ রানে ইশান আউট হতে ভাঙে জুটি। তবুও ভরসা ছিলেন পান্ডিয়া। আবার বাঁধা হয়ে দাঁড়ান আফ্রিদি। ৮৭ রানে তাকে ফেরান সাজঘরে। ভারতের ইনিংস ভেঙে যায় তাসের ঘরের মতো। পান্ডিয়া আউটের পর ভারত ৪ উইকেটে ২৪ রান যোগ করে মাত্র।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি। খরচ করেন মাত্র ৩৫ রান। এ ছাড়া হারিস রউফ-নাসিম শাহ নেন ৩টি করে উইকেট। গতকাল ম্যাচপুর্ব সংবাদ সম্মেলনে এই তিন পেসারকে খেলার চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছিলেন রোহিত। আজ তাদের তোপেই কাটা পড়লো ভারতের সব ব্যাটসম্যান। তাতে কী, জয় তো হয়েছে শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির।

দুই দল পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে। এর মধ্যে পাকিস্তান নিশ্চিত করে সুপার ফোর। প্রথম ম্যাচে নেপালকে ২৩৮ রানে উড়িয়ে এশিয়া কাপ শুরু করেছিল পাকিস্তান। আজ আরও ১ পয়েন্ট যোগ হওয়াতে নিশ্চিত হয়ে যায় সুপার ফোর। অন্যদিকে ভারতকে অপেক্ষা করতে হবে ৪ সেপ্টেম্বর, নেপাল ম্যাচ পর্যন্ত।