ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পাকিস্তানের নাটকীয় জয়

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড উদ্বোধনী জুটি উপহার দিয়েছিল আফগানিস্তান। ৩০১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে জয়ের স্বপ্নও দেখছিল তারা। কিন্তু শেষ ওভারের রোমাঞ্চে স্নায়ু ধরে রেখে এক উইকেটের নাটকীয় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। তাতে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ তে নিশ্চিত করেছে বাবর আজমের দল।

হাম্বানটোটায় রোমাঞ্চকর ম্যাচটার শেষ ওভারে পরাজয়ের মুখে ছিল পাকিস্তান। ৬ বলে প্রয়োজন ছিল ১১। তখন প্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন শাদাব খান। শেষ ওভারের প্রথম বলে শাদাব রানআউট হলে ম্যাচটা আরও ঝুঁকে পড়ে আফগানদের দিকে। তার পর তিন বলে প্রয়োজন পড়ে ৬। তখন স্ট্রাইকে হারিস রউফ। আফগানদের মিসফিল্ডে ওই মুহূর্তে ৩ রান যোগ হলে পরিস্থিতি অনুকূলে চলে আসে পাকিস্তানের। শেষ দুই বলে তখন প্রয়োজন পড়ে আর তিন রান। হাতে মাত্র এক উইকেট। পরের বলে নাসিমের ব্যাট থেকে চার হতেই উল্লাসে মাতে পাকিস্তান। এক বল হাতে রেখে নিশ্চিত করেছে জয়।

৫২ রানে ফখর জামান (৩০) আউটের পর ম্যাচের মূল ভিত গড়েছে ইমাম উল হক ও বাবর আজম জুটি। ১১৮ রান যোগ করেন তারা। ইমাম ১০৫ বলে ৯১ রান করেছেন। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার। ৬৬ বলে ৫৩ রান করেছেন বাবর আজম। পরাজয়ের শঙ্কায় থাকার মুহূর্তটায় ৪৭ রান যোগ করে সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে অবদান ছিল শাদাব ও ইফতিখারের।

ফজল হক ফারুকি ৬৯ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। ৪৬ রানে দুটি নিয়েছেন মোহাম্মদ নবী।

পাকিস্তানের অবিশ্বাস্য এই জয়ে বৃথা গেছে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের স্মরণীয় ব্যাটিং পারফরম্যান্স। ম্যাচটা জিতলে এই ফরম্যাটে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পেতো তারা।

টস জিতে আফগানরা ব্যাটিং নিলে শাসন করেছেন এই দুই ওপেনার। ২২৭ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন তারা। তাতে আফগানিস্তান ৫ উইকেটে ৩০০ রানের স্কোর পেয়েছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে যে কোনও দলের এটি দ্বিতীয় সেরা ওপেনিং জুটি। সর্বোচ্চ জুটিটি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেডের ২৮৪।

জাদরান ১০১ বল ৮০ রানে ফিরলে ভেঙেছে ওপেনিং জুটি। গুরবাজ অবশ্য ১৫১ বলে ১৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৫১ রান করেছেন। যা তার ক্যারিয়ার সেরা।

৫৮ রানে দুটি উইকেট নেন শাহীন আফ্রিদি। একটি করে নিয়েছেন নাসিম শাহ ও উসামা মির। ম্যাচসেরা শাদাব খান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

পাকিস্তানের নাটকীয় জয়

আপডেট সময় ১০:১১:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড উদ্বোধনী জুটি উপহার দিয়েছিল আফগানিস্তান। ৩০১ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে জয়ের স্বপ্নও দেখছিল তারা। কিন্তু শেষ ওভারের রোমাঞ্চে স্নায়ু ধরে রেখে এক উইকেটের নাটকীয় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। তাতে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ তে নিশ্চিত করেছে বাবর আজমের দল।

হাম্বানটোটায় রোমাঞ্চকর ম্যাচটার শেষ ওভারে পরাজয়ের মুখে ছিল পাকিস্তান। ৬ বলে প্রয়োজন ছিল ১১। তখন প্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন শাদাব খান। শেষ ওভারের প্রথম বলে শাদাব রানআউট হলে ম্যাচটা আরও ঝুঁকে পড়ে আফগানদের দিকে। তার পর তিন বলে প্রয়োজন পড়ে ৬। তখন স্ট্রাইকে হারিস রউফ। আফগানদের মিসফিল্ডে ওই মুহূর্তে ৩ রান যোগ হলে পরিস্থিতি অনুকূলে চলে আসে পাকিস্তানের। শেষ দুই বলে তখন প্রয়োজন পড়ে আর তিন রান। হাতে মাত্র এক উইকেট। পরের বলে নাসিমের ব্যাট থেকে চার হতেই উল্লাসে মাতে পাকিস্তান। এক বল হাতে রেখে নিশ্চিত করেছে জয়।

৫২ রানে ফখর জামান (৩০) আউটের পর ম্যাচের মূল ভিত গড়েছে ইমাম উল হক ও বাবর আজম জুটি। ১১৮ রান যোগ করেন তারা। ইমাম ১০৫ বলে ৯১ রান করেছেন। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার। ৬৬ বলে ৫৩ রান করেছেন বাবর আজম। পরাজয়ের শঙ্কায় থাকার মুহূর্তটায় ৪৭ রান যোগ করে সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে অবদান ছিল শাদাব ও ইফতিখারের।

ফজল হক ফারুকি ৬৯ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। ৪৬ রানে দুটি নিয়েছেন মোহাম্মদ নবী।

পাকিস্তানের অবিশ্বাস্য এই জয়ে বৃথা গেছে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের স্মরণীয় ব্যাটিং পারফরম্যান্স। ম্যাচটা জিতলে এই ফরম্যাটে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পেতো তারা।

টস জিতে আফগানরা ব্যাটিং নিলে শাসন করেছেন এই দুই ওপেনার। ২২৭ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন তারা। তাতে আফগানিস্তান ৫ উইকেটে ৩০০ রানের স্কোর পেয়েছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে যে কোনও দলের এটি দ্বিতীয় সেরা ওপেনিং জুটি। সর্বোচ্চ জুটিটি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেডের ২৮৪।

জাদরান ১০১ বল ৮০ রানে ফিরলে ভেঙেছে ওপেনিং জুটি। গুরবাজ অবশ্য ১৫১ বলে ১৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৫১ রান করেছেন। যা তার ক্যারিয়ার সেরা।

৫৮ রানে দুটি উইকেট নেন শাহীন আফ্রিদি। একটি করে নিয়েছেন নাসিম শাহ ও উসামা মির। ম্যাচসেরা শাদাব খান।