ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পেনশন স্কিম সরকারের টাকা চুরির নতুন ফন্দি: ফখরুল

আগামী নির্বাচনে খরচ করার জন্য সরকার পেনশন স্কিমের নামে টাকা চুরির নতুন ফন্দি করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, দেশে কিছু আর অবশিষ্ট নাই। সরকার দেশটাকে ফোকলা বানিয়ে ফেলেছে। এখন আবার আরেকটা নতুন ফন্দি বের করেছে-পেনশন স্কিম। টাকা চুরির আরেকটা নতুন উপায়। কিন্তু মানুষ এখন সব বুঝে। তারা এসব আর হতে দেবে না।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর দয়াগঞ্জে সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারি দলের সবার এখন ভয়ে মুখ শুকিয়ে গেছে। টেলিভিশনে দেখবেন, এখন আর তাদের মুখে হাসি নাই। চকচকা কাপড় কম পরেন। যারা-যারা বিদেশে বাড়ি-ঘর তৈরি করেছিল, সেটা কীভাবে রক্ষা করবে সেই চিন্তায় আছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে সারা দেশে এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে, দেখে মনে হবে সারাদেশটা একটা কারাগার।

মির্জা ফখরুল বলেন, অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার দাবি করে-সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? এটা বৈধ সংবিধান না। বৈধ সংবিধান তো অনেক আগে আওয়ামী লীগ নিজেরাই কেটে-ছিঁড়ে শেষ করে দিয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে নতুন ভিসা নীতি করেছে। তারা বলেছে, যারা-যারা অবৈধভাবে সম্পদ গড়েছে, যারা নির্বাচনে ভোট দিতে বাধা দেবে তাদেরকে ভিসা দেওয়া হবে না বলেও জানান ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা, কথায়-কথায় রাতের অন্ধকারে বিনা কারণে ছেলেদের গ্রেপ্তার করেন। আপনাদের ৯ জন বড় অফিসার এখন আমেরিকা যেতে পারেন না। সেখানে যে সম্পদ তৈরি করেছিল সেইগুলোর কি হবে সেই চিন্তায় ঘুম হয় না। আমরা পরিষ্কার করে বলি, পুলিশের সাধারণ কর্মকর্তা তারা কখনো চুরির সঙ্গে জড়িত না। চুরি করে বড়রা।

সরকারের অবস্থা এখন আরও খারাপ বলে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আমেরিকার মানবাধিকার সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের সরকারকে বলতে শুরু করেছে- বাংলাদেশের ওপর একটা শুনানি হোক। তারা বলছে- বাংলাদেশে বিরোধীদলগুলোর ওপর অত্যাচার-নির্যাতন হচ্ছে, নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। নির্বাচনে বিরোধীদলগুলোকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাই সরকারের ওপর আবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হোক।

সরকার পালানোর পথ খুঁজে পাবে না বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো দিকে পথ নেই। উত্তরে পর্বতমালা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। কোন দিকে যাবে, পালানোর কোনো পথ নেই।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে এ সময় আবারও দাবি জানান মির্জা ফখরুল।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

পেনশন স্কিম সরকারের টাকা চুরির নতুন ফন্দি: ফখরুল

আপডেট সময় ০৪:৩৫:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩

আগামী নির্বাচনে খরচ করার জন্য সরকার পেনশন স্কিমের নামে টাকা চুরির নতুন ফন্দি করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, দেশে কিছু আর অবশিষ্ট নাই। সরকার দেশটাকে ফোকলা বানিয়ে ফেলেছে। এখন আবার আরেকটা নতুন ফন্দি বের করেছে-পেনশন স্কিম। টাকা চুরির আরেকটা নতুন উপায়। কিন্তু মানুষ এখন সব বুঝে। তারা এসব আর হতে দেবে না।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর দয়াগঞ্জে সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারি দলের সবার এখন ভয়ে মুখ শুকিয়ে গেছে। টেলিভিশনে দেখবেন, এখন আর তাদের মুখে হাসি নাই। চকচকা কাপড় কম পরেন। যারা-যারা বিদেশে বাড়ি-ঘর তৈরি করেছিল, সেটা কীভাবে রক্ষা করবে সেই চিন্তায় আছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে সারা দেশে এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে, দেখে মনে হবে সারাদেশটা একটা কারাগার।

মির্জা ফখরুল বলেন, অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার দাবি করে-সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? এটা বৈধ সংবিধান না। বৈধ সংবিধান তো অনেক আগে আওয়ামী লীগ নিজেরাই কেটে-ছিঁড়ে শেষ করে দিয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে নতুন ভিসা নীতি করেছে। তারা বলেছে, যারা-যারা অবৈধভাবে সম্পদ গড়েছে, যারা নির্বাচনে ভোট দিতে বাধা দেবে তাদেরকে ভিসা দেওয়া হবে না বলেও জানান ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা, কথায়-কথায় রাতের অন্ধকারে বিনা কারণে ছেলেদের গ্রেপ্তার করেন। আপনাদের ৯ জন বড় অফিসার এখন আমেরিকা যেতে পারেন না। সেখানে যে সম্পদ তৈরি করেছিল সেইগুলোর কি হবে সেই চিন্তায় ঘুম হয় না। আমরা পরিষ্কার করে বলি, পুলিশের সাধারণ কর্মকর্তা তারা কখনো চুরির সঙ্গে জড়িত না। চুরি করে বড়রা।

সরকারের অবস্থা এখন আরও খারাপ বলে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আমেরিকার মানবাধিকার সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের সরকারকে বলতে শুরু করেছে- বাংলাদেশের ওপর একটা শুনানি হোক। তারা বলছে- বাংলাদেশে বিরোধীদলগুলোর ওপর অত্যাচার-নির্যাতন হচ্ছে, নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। নির্বাচনে বিরোধীদলগুলোকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাই সরকারের ওপর আবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হোক।

সরকার পালানোর পথ খুঁজে পাবে না বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো দিকে পথ নেই। উত্তরে পর্বতমালা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। কোন দিকে যাবে, পালানোর কোনো পথ নেই।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে এ সময় আবারও দাবি জানান মির্জা ফখরুল।