ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সরকার বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই পকেট মার সরকার ভয় দেখিয়ে, গুম করে, জোর করে, বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে, মানুষের ভোটে না। মোবাইলে টাকা ডুকালে কেটে নেয়, ব্যাংকে কাটে ট্যাক্স-ভ্যাট, বিদ্যুতে টাকা ভরলে সেটা যায় আওয়ামী লীগের পকেটে। সময় এসেছে পকেট মার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। আমরা এই বয়সেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছি, আপনাদেরও দাঁড়াতে হবে। গতকাল বিকেলে সিরাজগঞ্জ সরকারি ইসলামিয়া কলেজ মাঠে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে মামলার রায়ের প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের ২৭ জন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে বার বার জেলে দেওয়া হয়। তারা ইচ্ছেমতো বিদ্যুৎ এর দাম বাড়িয়ে দেয়। তারা উন্নয়নের কথা বলেন। বড় বড় মানুষ বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করায় কিন্তু দেশের মানুষের ভালো চিকিৎসা পাওয়ার যায়গা নেই। তিনি বলেন, আপনারা পুলিশকে ব্যবহার করে সমাবেশে বাধা দেন। কিন্তু আমি পুলিশকে আজকের প্রোগ্রামের জন্য ধন্যবাদ দেই, পুলিশ আজকের মতো আগামীতেও প্রোগ্রাম সফল করতে সহযোগিতা করবে।

তিনি আরো বলেন, তারা দেশকে নিজের সম্পদ মনে করেন। কিন্তু এই দেশ শুধু আওয়ামী লীগের নয়, এই দেশ কৃষকের, সাধারণ নাগরিকের, পুলিশের, এই দেশ সবার। উন্নয়ন বলতে শুধু উড়াল সেতু বোঝায় না। উন্নয়নের কথা বলে বিদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে এসে আমাদের পকেট কাটা হয়। এই সরকার শুধু ভোট চোর নয়, এই সরকার সবকিছুর চোর। আওয়ামী লীগ সুচিন্তিতভাবে এই দেশটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও আমান উল্লাহ আমানের রায় অন্যায়ভাবে দেওয়া হয়েছে। এই সরকার অবৈধভাবে বুকের উপর চেপে বসেছে। এই সরকার নিশি রাতের সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির ব্যাপারে বলেন, ভিসানীতিতে এখন পরিষ্কার যে এই দেশে যারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা দিবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমাদের কথা পরিষ্কার, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের তত্বাবধানে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। আমাদের নেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এটা আমাদের জীবন মরনের প্রশ্ন, বাংলাদেশের সম্মানের প্রশ্ন। আমরা প্রতিহিংসা, সহিংসতাতে বিশ্বাস করি না।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর সঞ্চালনায় এবং সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি রোমানা মাহমুদের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ ও গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অ্যাড. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। বিশেষ বক্তা বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম। প্রতিবাদ সমাবেশ জেলা বিএনপি ও অন্যান্য সহযোগি সংগঠন এবং সকল উপজেলা বিএনপি এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

সরকার বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে

আপডেট সময় ০৩:৪৭:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই পকেট মার সরকার ভয় দেখিয়ে, গুম করে, জোর করে, বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে, মানুষের ভোটে না। মোবাইলে টাকা ডুকালে কেটে নেয়, ব্যাংকে কাটে ট্যাক্স-ভ্যাট, বিদ্যুতে টাকা ভরলে সেটা যায় আওয়ামী লীগের পকেটে। সময় এসেছে পকেট মার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। আমরা এই বয়সেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছি, আপনাদেরও দাঁড়াতে হবে। গতকাল বিকেলে সিরাজগঞ্জ সরকারি ইসলামিয়া কলেজ মাঠে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে মামলার রায়ের প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের ২৭ জন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে বার বার জেলে দেওয়া হয়। তারা ইচ্ছেমতো বিদ্যুৎ এর দাম বাড়িয়ে দেয়। তারা উন্নয়নের কথা বলেন। বড় বড় মানুষ বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করায় কিন্তু দেশের মানুষের ভালো চিকিৎসা পাওয়ার যায়গা নেই। তিনি বলেন, আপনারা পুলিশকে ব্যবহার করে সমাবেশে বাধা দেন। কিন্তু আমি পুলিশকে আজকের প্রোগ্রামের জন্য ধন্যবাদ দেই, পুলিশ আজকের মতো আগামীতেও প্রোগ্রাম সফল করতে সহযোগিতা করবে।

তিনি আরো বলেন, তারা দেশকে নিজের সম্পদ মনে করেন। কিন্তু এই দেশ শুধু আওয়ামী লীগের নয়, এই দেশ কৃষকের, সাধারণ নাগরিকের, পুলিশের, এই দেশ সবার। উন্নয়ন বলতে শুধু উড়াল সেতু বোঝায় না। উন্নয়নের কথা বলে বিদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে এসে আমাদের পকেট কাটা হয়। এই সরকার শুধু ভোট চোর নয়, এই সরকার সবকিছুর চোর। আওয়ামী লীগ সুচিন্তিতভাবে এই দেশটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও আমান উল্লাহ আমানের রায় অন্যায়ভাবে দেওয়া হয়েছে। এই সরকার অবৈধভাবে বুকের উপর চেপে বসেছে। এই সরকার নিশি রাতের সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির ব্যাপারে বলেন, ভিসানীতিতে এখন পরিষ্কার যে এই দেশে যারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা দিবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমাদের কথা পরিষ্কার, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের তত্বাবধানে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। আমাদের নেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এটা আমাদের জীবন মরনের প্রশ্ন, বাংলাদেশের সম্মানের প্রশ্ন। আমরা প্রতিহিংসা, সহিংসতাতে বিশ্বাস করি না।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর সঞ্চালনায় এবং সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি রোমানা মাহমুদের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ ও গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অ্যাড. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। বিশেষ বক্তা বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম। প্রতিবাদ সমাবেশ জেলা বিএনপি ও অন্যান্য সহযোগি সংগঠন এবং সকল উপজেলা বিএনপি এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।