ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ভারতকে গুড়িয়ে বিশ্বসেরা অস্ট্রেলিয়া

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে সাউদাম্পটনে ফাইনাল ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল ভারতের। অথচ গোটা মৌসুমেই দারুণ খেলেছিল দলটি। ভারতীদের ভাগ্য এবারও বদলায়নি। গতকাল ওভালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসরের ফাইনালের শেষ দিনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পন করে রোহিত শর্মার দল। ভারতের দরকার ছিল ২৮০ রান, অস্ট্রেলিয়ার ৭ উইকেট। ভারত যোগ করতে পারে কেবল ৭০ রান। চতুর্থ ইনিংসে ৪৪৪ রানের বিশাল লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে ২৩৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। ২০৯ রানের বিশাল জয় নিয়ে প্রথমবারের মতো টেস্ট চ্যাম্পিয়ন হলো অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের পর টেস্টের শ্রেষ্ঠত্বের রাজদ- পেয়ে গেল ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফলতম দল। প্রথম দল হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ- আইসিসির সবগুলো ট্রফি জেতার নজিরও গড়ল অজিরা।
বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারত চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছিল ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৪ রান নিয়ে। দলের সেরা দুই ব্যাটার বিরাট কোহলি ও আজিঙ্কা রাহানে যথাক্রমে ৪৪ ও ২০ রান নিয়ে গতকালের খেলা শুরু করেন। এই দুই ব্যাটার গতকাল সকালের প্রথম আধ ঘণ্টা কাটিয়ে দেন অনায়াসেই। এরপরই স্কট বোল্যান্ডের দুর্দান্ত এক ওভার। হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা কোহলিকে ড্রাইভে উৎসাহিত করলেন বোল্যান্ড। ভারতীয় ব্যাটিং সেনসেশন ভুলটা করেই বসলেন। খোঁচা দিয়ে দ্বিতীয় সিøপে স্মিথের ক্যাচ হলেন ব্যক্তিগত ৪৯ রানে। এক বল পর রবীন্দ্র জাদেজাকে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরিয়ে দিলেন বোল্যান্ড। এক ওভারে এই দুই উইকেট হারিয়েই খেই হারিয়ে ফেলে ভারত। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা।
কোহলি-রাহানের ৮৬ রানের জুটি ভাঙার পর রাহানে আর শ্রীকর ভরতের ৩৩ রানের জুটিতেই যা একটু লড়াই হয়েছে। স্টার্ক ৪৬ রান করা রাহানেকে সাজঘরে ফেরালে ক্রিজে নামেন শার্দুল ঠাকুর। তবে আগের ম্যাচে অর্ধশতকের দেখা পাওয়া এই অলরাউন্ডারকে এই ইনিংসে রানের খাতা খোলার আগে ফেরান নাথান ল্যায়ন। বাকিরা কেবল এলেন আর গেলেন। ভরতের সংগ্রহ ছিল ২৩ রান। অজিদের পক্ষে ল্যায়ন নেন ৪ উইকেট আর বোল্যান্ডের শিকার ছিল ৩ ভারতীয়। প্রথম ইনিংসে চাপের সময়ে নেমে পাল্টা আক্রমণে ১৬৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা ট্রাভিস হেড।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম দুই আসরের শিরোপা গেল তাসমান পাড়ের দুই দেশ নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায়। অন্যদিকে ২০১৩ সালের পর আইসিসির আর কোনো শিরোপাই জিততে পারেনি ভারত। অথচ এই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা চারটি বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জিতেছে ভারত। ২০১৭, ২০১৯, ২০২১ সালের পর চলতি বছরেও জয় পায় তারা। অথচ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে এসে সেই অজিদের কাছে হারতে হলো তাদের। সিরিজে একটি হারের পরও ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকে। এমনটা চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও চান ভারতীয় অধিনায়ক। তাইতো রোহিতের চাওয়া অন্তত মিনটি ম্যাচে হোক শিরোপা নিষ্পত্তি, ‘গত দু’বছর ধরে অনেক পরিশ্রম করে আমরা ফাইনালে উঠেছিলাম। কিন্তু মাত্র একটা ম্যাচেই ফাইনালে খেতাবের ফয়সালা হয়ে গেল। আমি চাইব, ফাইনাল অন্তত তিন ম্যাচের হোক। পরের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেই ফাইনাল তিন ম্যাচের করা হলে, সেটাই চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণের ক্ষেত্রে একেবারে সঠিক হবে।’
এমন দাবির পক্ষে বললেন না বিপক্ষে ঠিক বোঝা গেল না, কিন্তু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল তিন ম্যাচ কেন ১৬ ম্যাচের হলেও আপত্তি নেই অজি অধিনায়ক কামিন্সের। তবে অলিম্পিকের উদাহরণ টেনে ফাইনাল ম্যাচ কেমন হয় তাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি, ‘আমরা এরমধ্যেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি জিতেছি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিরপের ফাইনাল শুধু তিন ম্যাচের সিরিজ নয়, ১৬ ম্যাচের সিরিজও হতে পারে। অলিম্পিকে কিন্তু খেলোয়াড়রা পদক জেতার জন্য একবারই সুযোগ পায়।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

ভারতকে গুড়িয়ে বিশ্বসেরা অস্ট্রেলিয়া

আপডেট সময় ০৪:৫১:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে সাউদাম্পটনে ফাইনাল ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল ভারতের। অথচ গোটা মৌসুমেই দারুণ খেলেছিল দলটি। ভারতীদের ভাগ্য এবারও বদলায়নি। গতকাল ওভালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসরের ফাইনালের শেষ দিনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পন করে রোহিত শর্মার দল। ভারতের দরকার ছিল ২৮০ রান, অস্ট্রেলিয়ার ৭ উইকেট। ভারত যোগ করতে পারে কেবল ৭০ রান। চতুর্থ ইনিংসে ৪৪৪ রানের বিশাল লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে ২৩৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। ২০৯ রানের বিশাল জয় নিয়ে প্রথমবারের মতো টেস্ট চ্যাম্পিয়ন হলো অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের পর টেস্টের শ্রেষ্ঠত্বের রাজদ- পেয়ে গেল ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফলতম দল। প্রথম দল হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ- আইসিসির সবগুলো ট্রফি জেতার নজিরও গড়ল অজিরা।
বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারত চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছিল ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৪ রান নিয়ে। দলের সেরা দুই ব্যাটার বিরাট কোহলি ও আজিঙ্কা রাহানে যথাক্রমে ৪৪ ও ২০ রান নিয়ে গতকালের খেলা শুরু করেন। এই দুই ব্যাটার গতকাল সকালের প্রথম আধ ঘণ্টা কাটিয়ে দেন অনায়াসেই। এরপরই স্কট বোল্যান্ডের দুর্দান্ত এক ওভার। হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা কোহলিকে ড্রাইভে উৎসাহিত করলেন বোল্যান্ড। ভারতীয় ব্যাটিং সেনসেশন ভুলটা করেই বসলেন। খোঁচা দিয়ে দ্বিতীয় সিøপে স্মিথের ক্যাচ হলেন ব্যক্তিগত ৪৯ রানে। এক বল পর রবীন্দ্র জাদেজাকে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরিয়ে দিলেন বোল্যান্ড। এক ওভারে এই দুই উইকেট হারিয়েই খেই হারিয়ে ফেলে ভারত। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা।
কোহলি-রাহানের ৮৬ রানের জুটি ভাঙার পর রাহানে আর শ্রীকর ভরতের ৩৩ রানের জুটিতেই যা একটু লড়াই হয়েছে। স্টার্ক ৪৬ রান করা রাহানেকে সাজঘরে ফেরালে ক্রিজে নামেন শার্দুল ঠাকুর। তবে আগের ম্যাচে অর্ধশতকের দেখা পাওয়া এই অলরাউন্ডারকে এই ইনিংসে রানের খাতা খোলার আগে ফেরান নাথান ল্যায়ন। বাকিরা কেবল এলেন আর গেলেন। ভরতের সংগ্রহ ছিল ২৩ রান। অজিদের পক্ষে ল্যায়ন নেন ৪ উইকেট আর বোল্যান্ডের শিকার ছিল ৩ ভারতীয়। প্রথম ইনিংসে চাপের সময়ে নেমে পাল্টা আক্রমণে ১৬৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা ট্রাভিস হেড।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম দুই আসরের শিরোপা গেল তাসমান পাড়ের দুই দেশ নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায়। অন্যদিকে ২০১৩ সালের পর আইসিসির আর কোনো শিরোপাই জিততে পারেনি ভারত। অথচ এই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা চারটি বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জিতেছে ভারত। ২০১৭, ২০১৯, ২০২১ সালের পর চলতি বছরেও জয় পায় তারা। অথচ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে এসে সেই অজিদের কাছে হারতে হলো তাদের। সিরিজে একটি হারের পরও ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকে। এমনটা চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও চান ভারতীয় অধিনায়ক। তাইতো রোহিতের চাওয়া অন্তত মিনটি ম্যাচে হোক শিরোপা নিষ্পত্তি, ‘গত দু’বছর ধরে অনেক পরিশ্রম করে আমরা ফাইনালে উঠেছিলাম। কিন্তু মাত্র একটা ম্যাচেই ফাইনালে খেতাবের ফয়সালা হয়ে গেল। আমি চাইব, ফাইনাল অন্তত তিন ম্যাচের হোক। পরের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেই ফাইনাল তিন ম্যাচের করা হলে, সেটাই চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণের ক্ষেত্রে একেবারে সঠিক হবে।’
এমন দাবির পক্ষে বললেন না বিপক্ষে ঠিক বোঝা গেল না, কিন্তু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল তিন ম্যাচ কেন ১৬ ম্যাচের হলেও আপত্তি নেই অজি অধিনায়ক কামিন্সের। তবে অলিম্পিকের উদাহরণ টেনে ফাইনাল ম্যাচ কেমন হয় তাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি, ‘আমরা এরমধ্যেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি জিতেছি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিরপের ফাইনাল শুধু তিন ম্যাচের সিরিজ নয়, ১৬ ম্যাচের সিরিজও হতে পারে। অলিম্পিকে কিন্তু খেলোয়াড়রা পদক জেতার জন্য একবারই সুযোগ পায়।’