মোঃ মামুন হোসেন : আজকের সমাজে রাজনীতি যেন একটি পেশায় পরিণত হয়েছে। অনেকেই রাজনীতিকে জনগণ ও দেশের সেবার মাধ্যম হিসেবে না দেখে, বরং ক্ষমতা ও অর্থের উৎস হিসেবে গ্রহণ করছেন। যাদের জীবিকা শুধু রাজনীতি, তারা প্রায়শই জনসেবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে প্রতারিত করে থাকেন। ক্ষমতার লোভে তারা দুর্নীতির পথ বেছে নেন এবং স্বার্থসিদ্ধির জন্য জনস্বার্থকে উপেক্ষা করেন। জনগণের টাকায় গড়া বাজেটের অপচয়, সরকারি প্রকল্পে লুটপাট ও কমিশন বাণিজ্য এই চক্রেরই অংশ। ফলে সমাজে বৈষম্য বেড়ে যায়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। রাজনীতির প্রকৃত লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের সেবা ও জনগণের মঙ্গল। কিন্তু যাদের জীবিকা শুধু রাজনীতি, তাদের কাছে ক্ষমতা আর অর্থের মোহই মুখ্য। এভাবে তারা জাতিকে অবক্ষয়ের পথে ঠেলে দিচ্ছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
এ ধরনের রাজনীতিকরা জনসেবার কথা বললেও, বাস্তবে তাদের আসল লক্ষ্য থাকে ক্ষমতা ও অর্থের অপব্যবহার। তারা নীতি-নৈতিকতা ভুলে গিয়ে অবৈধ লেনদেন, কমিশন বাণিজ্য ও তদবিরের মাধ্যমে নিজেদের আখের গোছান। ফলে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হয় এবং সাধারণ জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাজনীতি কোনো পেশা নয়, এটি জাতির সেবা ও কল্যাণের ব্রত। কিন্তু যারা এটিকে জীবিকার উৎসে পরিণত করে, তাদের কাছে জনস্বার্থের চেয়ে নিজের স্বার্থই বড়। এই ধরনের দুর্নীতিবাজ রাজনীতিকদের কারণে সমাজে বৈষম্য ও অন্যায় বেড়ে যায়। তাই তাদের প্রতিহত করতে জনগণকে সচেতন হতে হবে এবং সঠিক নেতৃত্ব বেছে নিতে হবে। তারা নীতি-নৈতিকতা ভুলে গিয়ে অবৈধ লেনদেন, কমিশন বাণিজ্য ও তদবিরের মাধ্যমে নিজেদের আখের গোছায়। এরা ক্ষমতা পেলে রাষ্ট্রের অর্থ ও সম্পদ লুটপাটে মেতে ওঠে। দেশের কল্যাণ নয়, ব্যক্তিগত স্বার্থ তাদের কাছে মুখ্য। এভাবে তারা সাধারণ মানুষের অধিকার ও স্বপ্নগুলোকে পদদলিত করে চলে। জনগণের অর্থে গড়ে ওঠা প্রকল্পগুলোতে দুর্নীতি চালিয়ে, তারা নিজেদের সম্পদ বৃদ্ধিতে ব্যস্ত থাকে। ফলে সমাজে ন্যায়বিচার ও সুশাসনের অভাব দেখা দেয়। এ ধরনের নেতারা দেশের অগ্রগতিকে ব্যাহত করে এবং জনমনে হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি করে। তাদের রুখতে জনসচেতনতা আর জবাবদিহিতা জরুরি।
রাজনীতি কোনো পেশা নয়, এটি জাতির সেবা ও কল্যাণের ব্রত। সঠিক রাজনীতির মূল লক্ষ্য হলো জনগণের কল্যাণ সাধন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সমাজে শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখা। কিন্তু আজকের দিনে দেখা যাচ্ছে, অনেকেই রাজনীতিকে শুধুই অর্থ-উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করছে। তারা দেশ ও জনগণের সেবার অঙ্গীকার ভুলে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারে মেতে উঠছে। তাদের উদ্দেশ্য থাকে নিজের আখের গোছানো, আর সাধারণ মানুষের স্বপ্নভঙ্গ। রাজনীতি যদি সৎ ও নীতিনিষ্ঠ হয়, তাহলে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের জীবনমান নিশ্চিত হয়। তাই রাজনীতিকে জীবিকা নয়, সেবার ব্রত হিসেবে দেখা উচিত।এই ধরনের দুর্নীতিবাজ রাজনীতিকদের কারণে সমাজে বৈষম্য ও অন্যায় বেড়ে যায়। তারা ক্ষমতা ও প্রভাবের অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন করে। সরকারি সম্পদ লুটপাটের মাধ্যমে সমাজের ধনী-গরিবের ব্যবধান আরও বাড়ে। এতে একদিকে জনসাধারণের জীবনমানের অবনতি ঘটে, অন্যদিকে ধনী-ক্ষমতাবানদের প্রভাব আরও শক্তিশালী হয়। সমাজে অরাজকতা ও হতাশা ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের নেতারা দেশের উন্নয়ন ও ন্যায়বিচারের পথে সবচেয়ে বড় বাধা। তাই তাদের রুখতে জনসচেতনতা ও আইনশৃঙ্খলার কার্যকর প্রয়োগ প্রয়োজন। সরকারি সম্পদ লুটপাটের মাধ্যমে সমাজের ধনী-গরিবের ব্যবধান আরও বাড়ে। এই ধরনের দুর্নীতিবাজ নেতারা জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ লুটপাট করে নিজেদের পকেট ভারী করেন। ফলে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক চাহিদার সঠিক সুবিধা থেকে। তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ডের কারণে সমাজে ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠা কঠিন হয়ে যায়। ধনীরা আরও ধনী হয়, আর গরিবরা আরও গরিব হয়। এভাবে বৈষম্য ও সামাজিক অস্থিরতা বাড়তে থাকে। তাই জনসচেতনতা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এসব লুটপাটকারীদের রুখতে হবে। এভাবে বৈষম্য ও সামাজিক অস্থিরতা বাড়তে থাকে। ধনী-গরিবের ব্যবধান বৃদ্ধি পেলে সমাজে হতাশা ও ক্ষোভ জন্ম নেয়। ন্যায্য বণ্টন না হলে মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস ও অসন্তোষ তৈরি হয়। দরিদ্র জনগণ বঞ্চিত হয় ন্যূনতম সেবাসমূহ থেকে, আর ধনী শ্রেণি আরও প্রভাবশালী হয়। এতে সমাজে স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়, অপরাধ ও সহিংসতা বাড়ে। দুর্নীতি, লুটপাট ও ক্ষমতার অপব্যবহার সমাজকে ধীরে ধীরে অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দেয়। তাই বৈষম্য দূর করতে এবং সামাজিক শান্তি বজায় রাখতে সুশাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। সুশাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। এগুলো সমাজের ভিত্তি মজবুত রাখে এবং জনগণকে সমান সুযোগ ও অধিকার প্রদান করে। সুশাসন মানে হলো প্রশাসনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং নীতিনিষ্ঠতা। অন্যদিকে, ন্যায়বিচার হলো সবার প্রতি সমান আচরণ, কোনো প্রকার বৈষম্য ছাড়া। যখন সরকার ও প্রশাসন ন্যায়বিচার ও সুশাসন নিশ্চিত করে, তখন সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা হয়। দুর্নীতি, অন্যায় ও বৈষম্য রোধ হয়। ফলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয় এবং জনগণ পায় সঠিক ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন।