নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মো: হাসিনুজ্জামান বলেছেন, সিদ্ধিরগঞ্জে যে কয়টি হাট বসেছে আজ আমরা সবগুলো হাট পরিদর্শন করেছি। পরিদর্শন করে আইনশৃঙ্খলার অবস্থা এবং লোকাল কমিউনিটির সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে জানলাম।
আমাদের পক্ষ থেকে যে সব নির্দেশনাগুলো ইজারাদার যারা আছেন তার পাশাপাশি ওনাদের সেচ্ছাসেবক যারা রয়েছেন তাদের সাথে কথা বলেছি এবং তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়েছি।
আমাদের যত নাম্বার রয়েছে তাদের জন্য খোলা থাকবে। যে কোন ইস্যুতে, যে কোন আইনশৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট যদি তাদের কোন সহযোগিতা দরকার হয় তাহলে তা বাস্তবায়ন করার জন্য ৪টি মোবাইল পেট্রোল টিম রেখেছি, যারা গাড়ীতে করে সব সময় হাটগুলোর নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে।
পাশাপাশি আমাদের রিজার্ভ ফোর্স থাকবে। যারা কোন ধরণের সিচুয়েশন হলে মোবাইল পার্টি মোটরসাইকেল বা গাড়িতে করে মুভমেন্ট করবে এবং যে ধরণের আইনগত সহায়তা দরকার তা প্রয়োগ করবে। আগামী কাল ৩ তারিখ থেকে প্রত্যেকটি হাটে আমাদের ফোর্স থাকবে, অফিসার্স ফোর্স থাকবে।
যে কোন আইনগত বিষয়ে দরকার হলে আমরা সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছি। আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা এবং সদরে যারা রয়েছে তাদের কাছে আমাদের অনুরোধ কোন ধরণের বাজার কেন্দ্রীক বিশৃঙ্খলা এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি দেখলে আমাদের জানাবেন।
সোমবার (২ জুন) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ডের সিআইখোলা বালুর মাঠের অস্থায়ী পশুর হাট পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহীনূর আলম বেপারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সবাই সতর্ক থাকবেন, অপরিচিত কারো দেয়া কোন কিছু আপনারা খাবেন না। টাকা পয়সা নিয়ে লেকের পাড়ে ঘুরবেন না, প্রয়োজনে ব্যাংকে জমা অথবা হাটের ইজারাদারের নিকট গচ্ছিত রাখবেন। এছাড়া বিক্রির সময় যাচাই করে টাকা নিবেন। আপনাদের সেবায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ সব সময় প্রস্তুত। যে কোন মুহুর্তে, যে কোন সময় প্রয়োজন হলে আমাকে জানাবেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিআইখোলা বালুর মাঠ অস্থায়ী কোরবানীর পশুর হাটের পরিচালক ও নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো: রওশন আলী চেয়ারম্যান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ হালিম জুয়েল, মো: ইউসুফ খান ও মহানগর যুবদলের সদস্য শহিদুল ইসলামসহ প্রমূখ।