নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ডিআইজি (এডমিন), ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরাবর জালাল উদ্দীন নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুর আলম, এসআই ওয়াসিম আকরাম সহ চারজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গত ২৪ জুলাই ২৫ ইং তারিখে নিম্ন লিখিত ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা শুরু মিয়ার ছেলে জালাল উদ্দিন।
বিবাদীরা হলেন, ১) মোঃ আবু তাহের, পিতা-আকাশ আলী, ২) আবু তৈয়ম, (সাবেক আহ্বায়ক কৃষক দল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা), ৩) এস.আই ওয়াসিম আকরাম, ৪) মোঃ শাহিনুর আলম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা।
বাদী মোঃ জালাল উদ্দিনের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদীগণ পরস্পর যোগসাজসিক ভাবে আমি সহ আমার ১৮ জন অংশিদারের ক্রয়কৃত নিম্ন তফসিল বর্ণিত ভূমি বেআইনী ভাবে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে আমাদের বৈধ দলিল দস্তাবেজ, নামজারী, জমাভাগ ও দখল থাকা স্বত্বেও আমাদের ক্রয়কৃত জায়গা হইতে আমাদেরকে উচ্ছেদের পায়তারায় লিপ্ত। ষরযন্ত্রমূলক ভাবে ১ ও ২ নং বিবাদী অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন লোক নিয়ে আমাদের মালিকানাধী জায়গায় উক্ত ১নং বিবাদী মালিক উল্লেখ করিয়া বিগত ১০/০৭/২০২৫ইং তারিখে সকাল আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সময় সাইনবোর্ড স্থাপন করেন। আমাদের অংশিদার মোঃ আমিনুল হক বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় উক্ত বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অফিসার ইনচার্জ উক্ত অভিযোগটি আমলে নিয়ে এসআই ওয়াসিম আকরামকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন। উক্ত ওয়াসিম আকরাম তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ না করিয়া ১ ও ২নং বিবাদীর কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করিয়া ১নং বিবাদীকে সাথে নিয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সহযোগীতায় অভিযোগ দায়েরকারী আমার অংশীদার মোঃ আমিনুল হক সহ আমাদের ৪ জন মালিক ও ২ জন লেবারের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করিয়া আমাদের পক্ষে অভিযোগকারী মোঃ আমিনুল হক ও ১ জন লেবারকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করিয়া জেল খানায় প্রেরণ করিয়াছেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনী ও অযৌক্তিক। উক্ত ১ ও ২ নং বিবাদী ৩ ও ৪ নং বিবাদীর সহায়তায় ও পরামর্শে আমাদেরকে মামলা দিয়া দিনের বেলা প্রকাশ্য আমাদের জায়গা দখলের হীন উদ্দেশ্যে অদ্য সকাল হইতে ওয়াসিম আকরামের প্রচ্ছন্ন সহযোগীতায় একদল সন্ত্রাসীদের পাহাড়ায় আমাদের ৬ শতক জমির চারদিকে উচু দেওয়াল নির্মান করিতেছে। আমাদের পক্ষ হইতে থানা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করিলে তাহারা আমাদেরকে কোন প্রকার সহযোগীতা করিতে পারিবেনা বলিয়া সাফ জানিয়ে দেয় এবং আমাদেরকে উক্ত জমির সীমানায় না যাওয়ার জন্য সতর্ক করে। ৫ই আগষ্ট ২০২৪ইং পরবর্তী সময়ে পুলিশের এমন আচরনে আমরা শঙ্কিত।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে উপরোক্ত বিষয়ে উপযুক্ত সমাধান ও সহযোগীতা প্রত্যাশা করছে বাদী জালাল উদ্দিন ।
বাদী জালাল উদ্দিন জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সহ চার জনের নামে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি উক্ত বিষয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ডিআইজি (এডমিন) ডিআইজি (ঢাকা রেঞ্জ) ও নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।