ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নারায়ণগঞ্জে হকার্স মার্কেটে আগুনে পুড়লো ৩০ দোকান Logo আইভী ৬ কোটি টাকা বেতন পেয়ে ২৫ কোটি টাকায় বাড়ি বানিয়েছেন : সাখাওয়াত Logo বন্দরে ডকইয়ার্ড শ্রমিক নূর হোসেন নিহত Logo বিএনপি নেতা আলোচিত সন্ত্রাসী আকরাম জালিয়াতির দুই মামলায় গ্রেপ্তার Logo বিক্ষোভ সমাবেশে শত ” শত নেতাকর্মী নিয়ে যোগদান করেন মোঃ আব্দুল্লাহ হক শাকুর Logo ছক কষে অপেক্ষায় ছিল আ.লীগ, অন্য জেলার নেতাকর্মীরাও জড়ো হন গোপালগঞ্জে Logo শান্ত-লিটনদের জন্য পাওয়ার হিটিংয়ে প্রসিদ্ধ কোচ আনছে বিসিবি! Logo কান্নার দৃশ্যে গ্লিসারিন ব্যবহার করতে হয়নি : শুভশ্রী Logo রাজনীতি নয়, অতীত কর্মকাণ্ড ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে সোহাগ হত্যা Logo এনসিপির গাড়িবহরে হামলা, রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ

সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী বিহারী কলোনি এলাকায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ডিলার নাহিদের মাদক ব্যাবসা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ জেলা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আদমজিনগর নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড এলাকায় নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাচ্ছে ডিলার নাহিদের রমদম মাদক ব্যবসা।সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা এলাকার সচেতন মহল বাসীর।ডিলার নাহিদ হলো আদমজী নতুন বাজার এলাকার পক্ষি মজিবুর রহমানের ছেলে। তবে নাহিদ এলাকায় সচার আচার না দেখা গেল দূর থেকে তার আরও দুই ভাই মিজান ওরফে ডিলার মিজান এবং রাব্বি এই দুইজনকে দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন।মাদক সম্রাট নাহিদ রাব্বি মিজানের কারণে মাদকে ভাসছে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ও বিহারি কলোনি এলাকা। এর মধ্যে নাহিদ যাদের দিয়ে ব্যবসা করাচ্ছে তাদের নাম হলো – (১)আদমজী এলাকার কাশেমের ছেলে বিল্লাল চিনিতো মাদক ব্যবসায়িক ও ছিনতাইকারি। (২) মো: কালামের ছেলে সোলাইমান কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়িক ও মাদক মামলার আসামি (৩) আদমজী এলাকার জাহাঙ্গীর ভুইয়ার ছেলে সজীব ভুইয়া একসময়ের আওয়ামী লীগের মতিউর রহমান মতি বাহিনীর সেল্লার দাদা ছিলেন এখন প্রকাশ্যে না করলেও ধরাছোঁয়ার বাহিরে বিপুল মাদক চালানের হিরো হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে সেল্টারদাতা আছেন – নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির আস্থাবাজ ও কাছের নেতা হারুনুর রশিদের ছেলে সাহেদ্দুজামান ইথুন এবং কুখ্যাত আওয়ামীলীগের দশোর ও পাতি নেতা কামাল ভূঁইয়ার ছেলে মোহাম্মদ সাকিব ভূঁইয়া মাদকের সেল্ডার দাতা ও ৩ নম্বর বিহারী ক্যাম্পের সেল্টার দিয়ে যাচ্ছে উকিল, ও লামিম নামের এই লোকেদের নিয়ন্ত্রণে চলছে মাদক। এসব মাদক ব্যবসায়ী মাদকের ভান্ডারে কারণে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী এলাকায় হাত বাড়ালেই মিলছে ফেন্সিডিল, ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য।তাই সচেতন মহল দাবী তুলেন এই মাদককারবারী মাদক সম্রাট নাহিদের বিরুদ্ধে এখনি সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় তার মাধ্যমে যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে।তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ থানার অন্যান্য এলাকায় মাদকের ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা নিলেও নিচ্ছেননা ডিলান নাহিদ সহ তার সহযোগীতাদের ব্যবস্থা।ইতিমধ্যে এই এলাকায় মাদক সম্রাট নাহিদ এখানকার মাদকের নব্য ডন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তার কাছে গেলেই মাদক পাওয়া যায় বলে জানান স্থানীয়রা। তার ভয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী কেউ মুখ খুলতে চায় না। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, মাদক সম্রাট নাহিদের এর বিরুদ্ধে ডজনখানেক মাদক, তবে সচেতন মহল মনে করেন, শুধু ছিচকে মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে মাদক নির্মূল কিছুতেই সম্ভব নয়। এছাড়া থানা পুলিশের দূর্বল চার্জশিটে, মামলার দীর্ঘ সূত্রতা সাক্ষীর অভাবের কারণে আইনের ফাঁক-ফোঁকড় দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে যাচ্ছে।জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাঝে মাঝে কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দিচ্ছে। এই সাজা আপিল যোগ্য বিধান থাকায় এরা সাজা শেষ হওয়ার আগেই জামিনে বের হয়ে আসছে।সচেতন মহলের অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে যে সব মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রেফতার হয় তার বেশীর ভাগই সেলসম্যান অথচ মাদকের মূল গড ফাদাররা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে থাকছেন ধরা ছোয়ার বাহিরে। তাদের সেলসম্যানরা গ্রেফতার হলে মূল ব্যবসায়ীরা তাদের আদালত থেকে জামিনে মুক্ত করে আবার একই ব্যবসায় নিয়োজিত করান।এছাড়া মাদক সম্রাটরা কখনো কখনো কোন না কোন রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে। আবার কেউ কেউ নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে জমজমাট পরিসরে মাদক ব্যবসা করছে। এ মাদকের বিষয়ে এলাকার সচেতন মানুষ যদি কোন প্রতিবাদ করে তবে মাদকের গডফাদার নাহিদের সে সব লোকজনকে কোন না কোন ভাবে ফাঁসিয়ে দিয়ে উল্টো তাদেরকে হয়রানি করতে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে।পুলিশের দাবী মাদক ব্যবসায়ীরা সমাজের এবং দেশের শত্রু, মাদককারবারি করে কেউ পার পাবে না।

এলাকার সচেতন মহল জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও র‍্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিবি, ও থানা পুলিশকে একদম সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে এদের ধরে এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হউক।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

নারায়ণগঞ্জে হকার্স মার্কেটে আগুনে পুড়লো ৩০ দোকান

সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী বিহারী কলোনি এলাকায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ডিলার নাহিদের মাদক ব্যাবসা

আপডেট সময় ১১:৫৮:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ জেলা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আদমজিনগর নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড এলাকায় নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাচ্ছে ডিলার নাহিদের রমদম মাদক ব্যবসা।সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা এলাকার সচেতন মহল বাসীর।ডিলার নাহিদ হলো আদমজী নতুন বাজার এলাকার পক্ষি মজিবুর রহমানের ছেলে। তবে নাহিদ এলাকায় সচার আচার না দেখা গেল দূর থেকে তার আরও দুই ভাই মিজান ওরফে ডিলার মিজান এবং রাব্বি এই দুইজনকে দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন।মাদক সম্রাট নাহিদ রাব্বি মিজানের কারণে মাদকে ভাসছে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ও বিহারি কলোনি এলাকা। এর মধ্যে নাহিদ যাদের দিয়ে ব্যবসা করাচ্ছে তাদের নাম হলো – (১)আদমজী এলাকার কাশেমের ছেলে বিল্লাল চিনিতো মাদক ব্যবসায়িক ও ছিনতাইকারি। (২) মো: কালামের ছেলে সোলাইমান কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়িক ও মাদক মামলার আসামি (৩) আদমজী এলাকার জাহাঙ্গীর ভুইয়ার ছেলে সজীব ভুইয়া একসময়ের আওয়ামী লীগের মতিউর রহমান মতি বাহিনীর সেল্লার দাদা ছিলেন এখন প্রকাশ্যে না করলেও ধরাছোঁয়ার বাহিরে বিপুল মাদক চালানের হিরো হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে সেল্টারদাতা আছেন – নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির আস্থাবাজ ও কাছের নেতা হারুনুর রশিদের ছেলে সাহেদ্দুজামান ইথুন এবং কুখ্যাত আওয়ামীলীগের দশোর ও পাতি নেতা কামাল ভূঁইয়ার ছেলে মোহাম্মদ সাকিব ভূঁইয়া মাদকের সেল্ডার দাতা ও ৩ নম্বর বিহারী ক্যাম্পের সেল্টার দিয়ে যাচ্ছে উকিল, ও লামিম নামের এই লোকেদের নিয়ন্ত্রণে চলছে মাদক। এসব মাদক ব্যবসায়ী মাদকের ভান্ডারে কারণে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী এলাকায় হাত বাড়ালেই মিলছে ফেন্সিডিল, ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য।তাই সচেতন মহল দাবী তুলেন এই মাদককারবারী মাদক সম্রাট নাহিদের বিরুদ্ধে এখনি সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় তার মাধ্যমে যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে।তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ থানার অন্যান্য এলাকায় মাদকের ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা নিলেও নিচ্ছেননা ডিলান নাহিদ সহ তার সহযোগীতাদের ব্যবস্থা।ইতিমধ্যে এই এলাকায় মাদক সম্রাট নাহিদ এখানকার মাদকের নব্য ডন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তার কাছে গেলেই মাদক পাওয়া যায় বলে জানান স্থানীয়রা। তার ভয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী কেউ মুখ খুলতে চায় না। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, মাদক সম্রাট নাহিদের এর বিরুদ্ধে ডজনখানেক মাদক, তবে সচেতন মহল মনে করেন, শুধু ছিচকে মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে মাদক নির্মূল কিছুতেই সম্ভব নয়। এছাড়া থানা পুলিশের দূর্বল চার্জশিটে, মামলার দীর্ঘ সূত্রতা সাক্ষীর অভাবের কারণে আইনের ফাঁক-ফোঁকড় দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে যাচ্ছে।জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাঝে মাঝে কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দিচ্ছে। এই সাজা আপিল যোগ্য বিধান থাকায় এরা সাজা শেষ হওয়ার আগেই জামিনে বের হয়ে আসছে।সচেতন মহলের অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে যে সব মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রেফতার হয় তার বেশীর ভাগই সেলসম্যান অথচ মাদকের মূল গড ফাদাররা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে থাকছেন ধরা ছোয়ার বাহিরে। তাদের সেলসম্যানরা গ্রেফতার হলে মূল ব্যবসায়ীরা তাদের আদালত থেকে জামিনে মুক্ত করে আবার একই ব্যবসায় নিয়োজিত করান।এছাড়া মাদক সম্রাটরা কখনো কখনো কোন না কোন রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে। আবার কেউ কেউ নিজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে জমজমাট পরিসরে মাদক ব্যবসা করছে। এ মাদকের বিষয়ে এলাকার সচেতন মানুষ যদি কোন প্রতিবাদ করে তবে মাদকের গডফাদার নাহিদের সে সব লোকজনকে কোন না কোন ভাবে ফাঁসিয়ে দিয়ে উল্টো তাদেরকে হয়রানি করতে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে।পুলিশের দাবী মাদক ব্যবসায়ীরা সমাজের এবং দেশের শত্রু, মাদককারবারি করে কেউ পার পাবে না।

এলাকার সচেতন মহল জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও র‍্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিবি, ও থানা পুলিশকে একদম সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে এদের ধরে এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হউক।