ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

আজ ২৩ জুন, দেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৪৯ সালের এই দিনে পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে জন্ম নেয়া আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরবর্তীতে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নামকরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এবারও ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি।

টিকাটুলির রোজ গার্ডেন থেকে বর্তমান ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্র্যালয়ে সুরম্য ভবন আসলে একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলের দীর্ঘ উত্থান-পতনের ধারাবাহিকতার ইতিহাস। পাকিস্তান আমলে এই দলটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশের মানুষের অধিকার আদায় এবং স্বাধীনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। বর্তমান আধুনিক বাংলাদেশও অনেক দূর এগিয়েছে এ দলটির নেতৃত্বে। আওয়ামী লীগ নামটি দিয়েছিলেন দলের প্রথম সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সে সময় রাজনৈতিক বাস্তবতায় ও কর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে ১৯৫৫ সালে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। স্বাধীনতার পর ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নাম নেয় দলটি। ১০৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া এই দল স্বাধীনতার পর দেশের নেতৃত্ব তথা সরকার গঠন করে। পরে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত ঘোষণা করে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল গঠন করে। বাকশাল গঠনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ কার্যত বিলুপ্ত করা হয়। তবে তবে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনের উদ্যোন নেন জিয়াউর রহমান। তিনি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন করার জন্য ১৯৭৬ সালের ২৮ জুলাই রাজনৈতিক দলবিধি ঘোষণা করেন। ফলে ওই বছর ২০ সেপ্টেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন শুরু হলে আওয়ামী লীগ পুন:প্রতিষ্ঠা করা হয়। সে সময় আবদুল মালেক উকিলের নামে বর্তমানের আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন করা হলেও মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে পৃথক আওয়ামী লীগ গঠন করা হয়। সে সময় অবশ্য মহিউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে বাকশাল রাজনৈতিক যাত্রা অব্যহত রাখে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযথ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সকল জেলা, উপজেলাসহ সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থকদের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন।

রাজনীতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সংগ্রাম ও দেশের রাজনৈতিক সংগ্রাম এক ধারায় এগিয়েছে দীর্ঘদিন। আওয়ামী লীগকে উভয় সংগ্রামেই শামিল হতে হয়েছে। ফলে জাতিরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম ও বেড়ে ওঠার ইতিহাস ও রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের জন্মবৃত্তান্ত সমান্তরাল কিন্তু অবিচ্ছেদ্য। মওলানা ভাসানী, শামসুল হক ও শেখ মুজিবুর রহমানের পথ ধরেই আজকের আওয়ামী লীগ।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাজনৈতিক সংগ্রাম, যুক্তফ্রন্ট গঠন ও ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়সহ বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ’৫০-এর দশকেই আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠে প‚র্ব পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল তথা প্রধান রাজনৈতিক শক্তি। তবে প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আব্দুল হামিদ খান ভাসানী রাজনৈতিক মতভিন্নতার জন্য ১৯৫৭ সালে দল ছেড়ে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করেন। এর পর পাকিস্তান আমলে আওয়ামী লীগের ইতিহাস মূলত সংগ্রামের ইতিহাস। দীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগের হাত ধরেই দেশে স্বাধীনতা এসেছে।

১৯৭৫ সালে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে পর চতুর্রমুখী ষড়যন্ত্রের মুখে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় আওয়ামী লীগও। ১৯৮১ সালের ফেব্রæয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন দিল্লিতে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু বড় মেয়ে শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছরের নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নব উদ্যোমে সংগঠিত হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতির হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের এক নবতর সংগ্রামের পথে যাত্রা শুরু করে আওয়ামী লীগ।

কর্মসূচি : প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার সূর্যোদয়ক্ষণে দলের কেন্দ্রীয় ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ৭টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

সকাল সাড়ে ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি প্রতিনিধি দল শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। টুঙ্গিপাড়ার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন দলের সভাপতিমÐলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও ইকবাল হোসেন অপু। এর পর দলের প্রতিষ্ঠবার্ষিকী উপলক্ষে বিকেল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দলের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতির বক্তব্য রাখবেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

আপডেট সময় ০৪:৩০:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩

আজ ২৩ জুন, দেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৪৯ সালের এই দিনে পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে জন্ম নেয়া আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরবর্তীতে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নামকরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এবারও ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি।

টিকাটুলির রোজ গার্ডেন থেকে বর্তমান ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্র্যালয়ে সুরম্য ভবন আসলে একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলের দীর্ঘ উত্থান-পতনের ধারাবাহিকতার ইতিহাস। পাকিস্তান আমলে এই দলটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশের মানুষের অধিকার আদায় এবং স্বাধীনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। বর্তমান আধুনিক বাংলাদেশও অনেক দূর এগিয়েছে এ দলটির নেতৃত্বে। আওয়ামী লীগ নামটি দিয়েছিলেন দলের প্রথম সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সে সময় রাজনৈতিক বাস্তবতায় ও কর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে ১৯৫৫ সালে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। স্বাধীনতার পর ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নাম নেয় দলটি। ১০৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া এই দল স্বাধীনতার পর দেশের নেতৃত্ব তথা সরকার গঠন করে। পরে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত ঘোষণা করে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল গঠন করে। বাকশাল গঠনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ কার্যত বিলুপ্ত করা হয়। তবে তবে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনের উদ্যোন নেন জিয়াউর রহমান। তিনি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন করার জন্য ১৯৭৬ সালের ২৮ জুলাই রাজনৈতিক দলবিধি ঘোষণা করেন। ফলে ওই বছর ২০ সেপ্টেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন শুরু হলে আওয়ামী লীগ পুন:প্রতিষ্ঠা করা হয়। সে সময় আবদুল মালেক উকিলের নামে বর্তমানের আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন করা হলেও মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে পৃথক আওয়ামী লীগ গঠন করা হয়। সে সময় অবশ্য মহিউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে বাকশাল রাজনৈতিক যাত্রা অব্যহত রাখে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযথ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সকল জেলা, উপজেলাসহ সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থকদের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন।

রাজনীতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সংগ্রাম ও দেশের রাজনৈতিক সংগ্রাম এক ধারায় এগিয়েছে দীর্ঘদিন। আওয়ামী লীগকে উভয় সংগ্রামেই শামিল হতে হয়েছে। ফলে জাতিরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম ও বেড়ে ওঠার ইতিহাস ও রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের জন্মবৃত্তান্ত সমান্তরাল কিন্তু অবিচ্ছেদ্য। মওলানা ভাসানী, শামসুল হক ও শেখ মুজিবুর রহমানের পথ ধরেই আজকের আওয়ামী লীগ।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাজনৈতিক সংগ্রাম, যুক্তফ্রন্ট গঠন ও ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়সহ বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ’৫০-এর দশকেই আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠে প‚র্ব পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল তথা প্রধান রাজনৈতিক শক্তি। তবে প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আব্দুল হামিদ খান ভাসানী রাজনৈতিক মতভিন্নতার জন্য ১৯৫৭ সালে দল ছেড়ে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করেন। এর পর পাকিস্তান আমলে আওয়ামী লীগের ইতিহাস মূলত সংগ্রামের ইতিহাস। দীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগের হাত ধরেই দেশে স্বাধীনতা এসেছে।

১৯৭৫ সালে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে পর চতুর্রমুখী ষড়যন্ত্রের মুখে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় আওয়ামী লীগও। ১৯৮১ সালের ফেব্রæয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন দিল্লিতে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু বড় মেয়ে শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছরের নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নব উদ্যোমে সংগঠিত হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতির হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের এক নবতর সংগ্রামের পথে যাত্রা শুরু করে আওয়ামী লীগ।

কর্মসূচি : প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার সূর্যোদয়ক্ষণে দলের কেন্দ্রীয় ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ৭টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

সকাল সাড়ে ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি প্রতিনিধি দল শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। টুঙ্গিপাড়ার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন দলের সভাপতিমÐলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও ইকবাল হোসেন অপু। এর পর দলের প্রতিষ্ঠবার্ষিকী উপলক্ষে বিকেল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দলের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতির বক্তব্য রাখবেন।